পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՇԵai দণদণর দুরভিসন্ধি وهي مسواجه কয়েক ঘর মাত্র থাকায়, প্রতির বন্ধনে একটু আঁট থাকাটা 'স্বাভাবিক। শশী কিন্তু থিয়েটার-পাটির কমরেডদের চিন্তাফুল দৃষ্টির ও প্রশ্নের ভাষা ও ভাবের মধ্যে বিদ্রুপের লুকোচুরিই পাচ্ছিল। বাড়ির সকলেই বেশ চুপচাপ—যেন কিছু হয় নি। কথাবাৰ্ত্তাও বেশ সংযত। সেইটাই কিন্তু শশীর কাছে কদৰ্থপূর্ণ ঠেকছিল। নরেশ ইস্কুল থেকে ফিরে, বারবাড়িট গম্ভীর মুখে পার হয়ে, ভিতর বাড়িতে নাকি হাসিমুখে টুকেছিল -- সেটা শশীর দৃষ্টি এড়ায় নি। তার রগ দুটো দপদপ, ক’রে উঠল । “হু—এই কালে এই বিষ । আচ্ছা, আজ আর নিদ্রা নয়, হিসেব শেষ ক'রে তার পর যা মনে আছে—নl ধ, ওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, অপরের ত খাচ্ছি না, নিজের শেয়ার রয়েছে।"- শশী নীরবে মাথা গুজে আহার শেষ করলে। বড়বউ একটি কথাও উচ্চারণ করতে সাহস পেলেন না । নিয়মমত দুধের বাটি পাতের কাছে ধ’রে দিতেই—“ও আর কেন" বলে শশী উঠে পড়ল –তিন কদমেই বারবাড়ি। বড়বউ ভয়ে আড়ষ্ট ছিলেন,—শশীর মেজাজ জানতেন । যা বলবেন, শশী আজ সেটা কি ভাবে নেবে—এই তার ভয় । তিনি অবাক হয়ে দাড়িয়ে রইলেন। ঠাকুরপো দুধ থৈলে না, এইটাই তাকে কেবল আঘাত করতে লাগল। ভাবলেন—দুধের বাটি নিয়ে নিজে বারবাড়িতে যান। এই সময় জগং এসে পড়ল। সব শুনে জগৎ মান করলে,— "বোধ হয় তার পেট ভাল নয়,—কাল খাইও ।” র্তার মন কিন্তু বুঝল না,—নিজেও কিছু খেলেন না । এই সময় নরেশ এসে বাপকে বললে, “আমার খাতা কাগজ, পেন্সিল—সব গিয়েছে বাবা, আর কিছু নেই—” “বেশ হয়েছে,—যা ও'গে যা বলছি" বলে তার ম! এমন এক ধমক্‌ দিলেন, সে কেঁপে উঠলো ! ছক্কন বাইরে এক ডিবে পান আর তামাক দিয়ে গেল । শশী আজ অঙ্কের একোদিষ্ট করবেই,~–উপকরণ সংগ্ৰহ #'রে বসেছে। মাসাধিকের পরিশ্রম গরুর গর্তে গিয়েছে, ীিয় দক্ষিণা-সিদ্ধের চাদর। “যাক, ফ্রেশ ফাদলে আর তক্ষণ। একটা সাংঘাতিক ভুল ধরা পড়ে নি, তাই পাওনাট কখনও ১১ টাকা কখনও ১৪, কখনও ১৭ দাড়াচ্ছিল । সাত আনা জলপানিটে যে তিরিশ দিনে পায়, অথচ ফেব্রুয়ারি ষে ২৯ দিনে ! তাই ত বলি—এত হয় কি করে! উঃ ভারী ধরা পড়েছে।” শশী নূতন ক’রে ফালে বটে, কিন্তু সামনে সেই স্বথাত সলিল— প্রতি পদক্ষেপে সেই ‘সওয়া’ ‘পউনে, সাড়ের পেচা আর সুৰ্য্যোদয়ের দণ্ড, পল, পাশ ফিরতে দেয় না । হাত বাড়ালেই যেন রুষ্ট সজারুর গায়ে হাত পড়ে। তাঁকে কিন্তু পুঙ্খানুপুঙ্খ করতেই হবে— ‘সেয়ার বাঁচাতে হবে । এ যে বঁাশকালির চেয়ে গেটে !—বেণী মাষ্টার কি-একটা সাফাইসঙ্কেত বলে দিয়েছিলেন, মনে পড়ছে না। শশী চক্ষু বুজে সেটা স্মরণ করতে বসল। একাগ্রতায় কি না হয়। ভাঙের মিঠে প্রভাব সাহায্য করলে, শশীকে ঘুম পাড়িয়ে দিলে! সে স্বপ্ন দেখলে, বেণী মাষ্টার বলছেন, “আ মুখ, শুভঙ্করের ছেলে হয়ে বাপের নাম ডুলুচ্ছিস্ ! এত বুদ্ধি ধরিস, আর এটা ধরতে পারলি নি ওটা অঙ্ক নয়! ওটা তোকে তাড়াবার ভদ্র ফনি । আর থাকতে আছে, চলে আয় । পশুপতি রয়েছে । আমরা থাকতে তোর ভাবনাটা কি ?" শশীর প্রাণে যা থেলছিল, এটা ছিল তারই ছায়া-চিত্র। সে যেন অকূলে কুল পেলে । মুখে হাসি দেখা দিলে – “উঃ কি দুরভিসন্ধি! ওটা অঙ্গই ময়ূ-ত না ত সাঁইত্রিশ পাত কযেও শশীশৰ্ম্ম কূল পায় না! যা ভেবেছিলুম আর স্বপ্নে যা শুনলুম, একদম ঘাটে ঘাটে মিল । ওটা অঙ্কই নয়। মা বলে থাকেন মন নারায়ণ,—very true–কিন্তু কি দুরভিসন্ধি । আসল মতলবটা ছিল, শুধু তাড়ানো নয়, আমার মাথাটা বিগড়ে দিয়ে বিষয়দম্পত্তির একেশ্বর হওয়া । —এই হওয়াচ্ছি !—তাই ত কাগজ নেই যে ” নরেশের ভারতবর্ষের মানচিত্ৰখানা সামনে ছিল, “ও আর কেন, ঐ বাপ-মার ছেলে—জুচ রি শিখবে ত!”—ভারতসমূদ্র মন্থন আরম্ভ ক’রে দিলে । তিন ভাগ জলকে তোলপাড় ক'রে থস্ খপ্‌ ক’রে কলম চালালে। সেটা টেবিলের উপর দোয়াত চাপা—চিৎ হয়ে রইল । ( . ) শশী প্রত্যহ মৰ্ণিং-ওয়াকে যায়। বড়বউ চায়ের জল