পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্রে সাম্প্রদায়িক ভাষা ঐরমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা ভাষায় যে তীব্র সাম্প্রদায়িকতা প্রবিষ্ট করান হইতেছে, তৎপ্রতি শিক্ষিত বাঙালীর দৃষ্টি কিঞ্চিৎ আকৃষ্ট হইয়াছে বলিয়া বোধ হয়। গত অগ্রহায়ণের প্রবাসীতে ঐ সম্বন্ধে আমার প্রবন্ধ ছাপা হইবার পর ‘অমৃত বাজার পত্রিক,’ ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’ ও ‘দৈনিক বস্বমতী’তে ঐ সম্বন্ধে সম্পাদকীয় লেখা আমি দেখিয়াছি। অন্য কোন - কাগজে আলোচনা হইয়া থাকিলে তাহা আমি দেখি নাই। ইহার ফলে যদি এ ব্যাপারে কোন সম্মিলিত চেষ্টা হয়, যাহাতে সাহিত্য ও ভাষা হইতে এই বিষ দূর হইতে পারে, তবে খুব স্বখের বিষয় হইবে । ‘প্রবাসী’-সম্পাদক এ আলোচনায় অগ্রণী হইয়া সকলের ধন্যবাদার্থ হইয়াছেন। কিন্তু সৰ্ব্বোপরি আনন্দের বিষয় এই, যে, রবীন্দ্রনাথ এদিকে মনোযোগ দিয়াছেন। ১৩৩৯ সালের বৈশাখের প্রিবাসী’তে “মৰ্ত্তব মাদ্রাসার বাংলা ভাষা” প্রবন্ধ প্রকাশিত হইবার পর ভাদ্র মাসের প্রবাসীতে রবীন্দ্রনাথের লেখা প্রকাশিত হয় । তাহার পরেও, ‘প্রবাসী"তে র্তাহার কয়েকখানি চিঠি মুদ্রিত হইয়াছে, যাহাতে কয়েক জন মুসলমান ভদ্রলোককে সাম্প্রদায়িক বাংলা সম্বন্ধে কবিবর নিজের মত জানাইয়াছেন। পৌষের ( ১৩৪২ ) প্রবাসীতে তিনি ঐরুপ একখানি পত্রে বলিয়াছেন যে ইউরেশীয়ানেরা ৯ যদি বাংলা লিখিতে আরম্ভ করে, তবে তাহারা মা, বাবা, এই কথার বদলে পাপ, মামা, কথা বাংলায় চালাইলে বাংলার প্রতি অত্যাচার করা হইবে। ইহার পূর্বেও (কোন মাসের প্রবাসীতে মনে নাই) রবীন্দ্রনাথ ঐরূপ কথা কোন মুসলমান ভদ্রলোককে লিখিয়াছিলেন এবং সে পত্র ছাপা হইয়াছিল। মুসলমান ভদ্রলোক বলিয়াছিলেন— ঘরে তাহার যে-সব কথা ব্যবহার করেন, লিখিত ভাষায় তাহা কেন ব্যবহার করিবেন না ? বৰ-“আত্মা শৰ। "মা"র পরিবর্তে যাহারা ঐ কথা ঘরে ব্যবহার করেন, লিখিত বাংলাতে নজের অনেক ইউরেপীয়ান বেশ বাংলা বলিতে পারেন।– প্রবাসীর সম্পাদক । - طــسجة و لا তাহা কেন চালাইবেন না? রবীন্দ্রনাথ এই মত প্রকাশ করিয়াছিলেন যে, ঘরে মুসলমানের (তথা ইউরেশীয়ানেরা) যাহাই ব্যবহার করুন না কেন, বাংলা রচনায় বাংলার প্রকৃতি বজায় রাখিয়া লিখিতে হইবে। ঐ বিষয়ে আজ একটু বিস্তৃত আলোচনা করিতে চাই । “আমরা ঘরে যে-সব কথা ব্যবহার করি, লিখিত বাংলায়ও তাহাই ব্যবহার করিব।” মুসলমান-ভাইদের এই যুক্তির উপর নির্ভর করিয়াই বোধ হয়, টেক্সট বুক কমিটি বাংলা রচন-শিক্ষা পুস্তকে হিন্দু ও মুসলমানদিগের জন্য পৃথক পৃথক পত্রলিখনপ্রণালী শিক্ষা দিবার ব্যবস্থা করিয়াছেন। যদিও ইহা স্মরণ রাখা কৰ্ত্তব্য যে সকল অথবা বেশীর ভাগ বাঙালী মুসলমান পরিবারে ঐক্লপ ভাষা কথ্যভাষারূপে ব্যবহার হয় কি না, তাহা সন্দেহের বিষয়। যদি কেহ মনে করেন যে পত্রাদির ভাষা যাহা ইচ্ছা হউক না কেন, উহাতে বাংলা ভাষার কিছু আসে যায় না, তাহাকে বাদ দিয়া শিক্ষিত বাঙালী সমাজের সম্মুখে সাম্প্রদায়িক পত্র লেখার কয়েকটি দৃষ্টান্ত উপস্থিত । করিতেছি । আমার হাতের কাছে যে কয়ুখানি বই রহিয়াছে, তাহা হইতেই ঐগুলি উদ্ধৃত করিতেছি । লক্ষ্য করিবার বিষয় এই যে, এই বইগুলির মত আরও বহু পুস্তক আছে যেগুলি মক্তব মাদ্রাসার পাঠ্য নহে, সাধারণ উচ্চ ও মধ্য বিষ্ঠালয়ের পাঠ্য। বলা বাহুল্য, এই পুস্তকগুলির রচনাশিক্ষণের যোগ্যতা সম্বন্ধে আমার কিছুই বক্তব্য নাই। কেবল সাম্প্রদায়িক পত্রলিখনপ্রণালীর দৃষ্টান্ত রূপেই ঐগুলির অংশবিশেষ উদ্ধৃত করিতেছি। সব পুস্তকই টেক্সট বুক কমিটির অনুমোদিত। পি. ঘোষাল ও এস. কে. বিশ্বাস প্রণীত (Middle Class. Book of Bengali Composition for Classes VII and VIII by P. Ghosal & S. K. Biswas) *g* হইতে* 3–

  • वत्राक्रब्र जिविठ जांब्रदो कथांखणि वकूडेt ठब्रिविठन्, फूल थांकिएल viांठंक प्रब्बी कब्रिज्ञां नरrनां५न कब्रिब्रां जऍरवन-4यवक.८णषक ।