পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

عسيج عمحو ؟ প্রবাসী $N98R মূৰ্ত্তি ধারণ করে, সে ব্যবস্থা টেক্সট বুক কমিটির অঙ্গুমোদিত পাঠ্যপুস্তকের দ্বারা করা হইতেছে। উক্ত কমিটির নির্দেশমত লিখিত না হইলে কোন পুস্তক পাঠ্য হইতে পারে না। নতুবা, বোধ হয় অন্ততঃ স্থনীতি বাবু, স্বকুমার বাবু ও চারু বাবুর পুস্তকে সাম্প্রদায়িক ভাষা শিক্ষার উপদেশ ও বিধান থাকিত না । এ-কথা বলিয়া রাখা ভাল যে আমার উক্তি সংশোধনসাপেক্ষ । চিঠিপত্রে সাম্প্রদায়িক ইচ্ছানুসারে বাংলা ভাষাকে যদি ভাঙিয়া-চুরিয়া গড়িয়া লওয়া সঙ্গত হয়, তবে আমি ক্রটি স্বীকার করিব । এ-বিষয়ে বহুমান্য ব্যক্তিগণের (যথা, রবীন্দ্রনাথ, প্রবাসী-সম্পাদক, ও অন্ত শ্রদ্ধেয়গণের ) মত শিরোধাৰ্য্য । শুনিতে পাই, কতিপয় ইংরেজ নাকি মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছেন। ইংলওে বসিয়া কি তাহারা নিজেদের ntut füf; faftara sta “Bakhedmatey zonabey alishun,” “Arzdostey Bakhedmatey kiblagah zonab,” “Khadem,” “Khaksor” “Rakeme Banda” Nurchasm” švēsif ffag «tra ? ệtās সম্বন্ধে অভিজ্ঞ কোন বাঙালী উত্তর দিতে পারেন। বান্দা নাচার ! বিদ্যালয়ের ছাত্রদিগের মধ্যে এই প্রকার ভাষাগত সাম্প্রদায়িকতা প্রচারের সামাজিক ও রাষ্ট্ৰীয় ফুফলের কথা ছাড়িয়া দিলেও, কাৰ্য্যগত অসুবিধাও আছে। মনে করা যাউক ষে কোন শ্রেণীর ছাত্রদিগকে শিক্ষক মহাশয় “পিতাকে পড়া শুনা সম্বন্ধে একখানি পত্র’ লিখিতে বলিলেন। হিন্দু ছাত্রেরা কি “পিতৃদেব” এবং মুসলমান ছাত্রের ‘ওয়ালিদ সাহেব” লিখিতে বাধ্য হইবে ? এবং ঐক্লপ না লিখিলে কি নম্বর পাইবে না ? অধিকন্তু, কোন ছাত্র যদি “আরজদন্তে বখেদমতে” লিখিতে গিয়া “আজরদান্তে বদেখমতে" লিখিয়া বসে তবে, উহা যে ভুল তাহা বুঝাইয়া দিবার মত আরবী পণ্ডিত সব স্কুলে থাকিবে ত ? প্রসঙ্গক্রমে, একটি কথা উল্লেখ করিতেছি । সাম্প্রদায়িক ভাষা সম্বন্ধে সাময়িক পত্রে আলোচনা হইবার পর সম্প্রতি কোন “স্কাশঙ্কালিষ্ট" মৌলানা সাহেব নিজের কাগজে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা প্রবেশিকা পাঠ্যখানির বিরুদ্ধে ভীষণ ভাবে লাগিয়া গিয়াছেন। যিনি নিজ মুখে কোন কংগ্রেসী-সম্মেলনীতে বলিয়াছিলেন, “আমি জাতিতে বাঙ্গালী, ধর্শ্বে মুসলমান” তিনি বাস্তবিকই এই প্রবন্ধ লিখিতেছেন, অথবা অন্ত কেহ লিখিয়া তাহার নামে চালাইতেছে, জানি না। যদি তিনি নিজে উহার লেখক না হন, তবে অতীব আনন্দের বিষয় হইবে। যাহা হউক, মহধি দেবেন্দ্রনাথের “আত্মজীবনী” প্রথম আক্রমণের বিষয়। জবাকুসুম সঙ্কাশং ইত্যাদি মন্ত্রের যে স্বপ্নাতীত অলীক অর্থ করা হইয়াছে, তাঙ্কার জন্য লেখকের কল্পনাকে বাহাদুরী দিতে হয়। “কাগুপের" কথার অর্থ মাতালের পুত্র, “স্বৰ্য্যদেবের পিতাঠাকুর খুব মদ খাইতেন বলিয়া ঠাহীর নাম হুইয়াছে কহুপ বা মাতাল ।” “একে জড় উপাসনার মন্ত্র" তাহার উপর, “বিশ্ববিদ্যালয় মুছলমান ছাত্রকে শিখিতে ও বলিতে বাধা করিতেছেন—প্রণতো'ৰ্ম্মি ।- "আলোচ্য পুস্তকের অধিকাংশ প্রবন্ধই হয় পৌরাণিক উপকথ, ন! ছয় হিন্দুর মহিম গরিমার গৌরব গাণ! p...অধিকাংশ প্রবন্ধই এইরূপ পৌরাণিক হিন্দুয়ানীর ভাব, সংস্কার ও বিশ্বাসের অভিব্যক্তিতে পরিপূর্ণ, কিন্তু মুছলমানের দৃষ্টিতে ঐগুলি...এছলামবিরোধী কুসংস্কার ব্যতীত एत्रांब्र किडूहे बरह ।” “সীতার অগ্নিপরীক্ষা” “বেহুলার গল্প,” “প্রভাতচিন্তা” রবীন্দ্রনাথের “গুপ্তধন,” ও “গান্ধারীর আবেদন,” গিরিশচন্দ্রের “সিদ্ধার্থ ও বিশ্বাসার” (), নবীন সেনের “বুদ্ধের গৃহত্যাগ,” দেবেন্দ্রনাথ সেনের “মা”, সত্যেন্দ্রনাথের “নম নম গিরিরাজ” ইত্যাদি অর্থাৎ গদ্য ও পদ্য প্রত্যেক পাঠটিই “এছলামবিরোধী ও মোছলেম-বিদ্বেষী ভাব ও ভাষায় পরিপূর্ণ।” এমন কি “বিষাদসিন্ধু"ও বাদ পড়ে নাই। “এই পুস্তক খানির সহিত এছলামের ও ইতিহাসের এমন কি, সাধারণ বিবেকবুদ্ধির সম্পর্ক খুব কমই আছে।” সৌভাগ্যবশতঃ, লেখক মহোদয়ের উপযুক্ত শক্তি নাই ; নতুবা কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যবিক্রেতাদের দোকানের সমস্ত পুস্তকই বোধ হয়, “এছলামবিরোধী" বলিয়া পোড়াইয়া ফেলিতেন ! এইরূপ মনোবৃত্তির পরিচয় পাইয়াই বোধ হয়, লোকে বিশ্বাস করিত যে আলেক্জাণ্ডিয়ার বিখ্যাত গ্রীক-পুস্তকালয়, আরবেরা দগ্ধ করিয়া ফেলিয়াছিল । কিন্তু লেখকের খুব বেশী অধ্যবসায় দরকার। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা” কেন, সমগ্র দেশের, সহস্ৰ সহস্ৰ নগর, গ্রাম, নদনদী, পৰ্ব্বত সবগুলির নাম-সংস্কার