পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

همبسته প্রবাসী ১N©Gই সেকোন কাজ করছে কিংবা আমারই অগোছালো আলমারীট গোছাতে বসেছে, অমনই আমি কাজ ফেলে নিতান্ত অসময়ে গিয়ে চুপ করে গুয়ে পড়তাম। হঠাৎ জামায় এমন কাজের সময় গুয়ে পড়তে দেখে নন্দ ব্যস্ত হয়ে বলে উঠত, “এমন সময় গুয়ে পড়লে যে ঐ শরীর ভাল লাগছে না ?” তার কর্মরত মূৰ্ত্তি আমার ভাল লাগলেও তাকে কাছে পেতে যে আরও ভাল লাগত এটা অস্বীকার করি কি ক'রে ? তাই একটা দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে পাশ ফিরে বলতাম, “কি জী—নি, বুঝতে পাচ্ছি না।” আর নন্দার দূরে থাকা হ’ত না, কাজ ফেলে ব্যস্ত হয়ে কাছে আসতে আসতে বলত, “এই ত দিব্যি ভাল ছিলে, এখনই আবার হ’ল কি ? গা ভাল ত, দেখি।” কপালে হাত দিয়ে নন্দার উদ্বেগ খানিকটা কমত আর আমার উদ্বেগটা বাড়ত। কারণ জানতাম আমায় ভাল দেখলে নন্দা আর কাছে বসে থাকবে না । নন্দার স্বন্দর মুখে সশস্ক উৎকণ্ঠার ছায়া দেখতে আমার ভারী ভাল লাগে । কেন জানি না, আমার জন্তে নন্দার এই সোদ্বেগ আকুলত, সস্নেহ সতর্কতী—এ যেন আমার মনে এক সগৰ্ব্ব তৃপ্তি এনে দেয়। আমার জন্যে, শুধু আমার জন্তে নন্দার সমস্ত চিত্ত ত্রস্ত, বাস্ত,চিস্তিত,—এই কথা ভাবতে ভাবতে নিষ্ঠুর উল্লাসে সমস্ত মন ছেয়ে যায়। এই মধুর স্বার্থপরতা যেন কিছুতেই এড়ানো যায় না। আমার নন্দার সামান্ত দুঃখ উদ্বেগ মুছিয়ে নিতে আমার আকুলতার অন্ত নেই, তবু আমার জন্যে সে দুঃখ পাক, এ নিৰ্ম্মম মাধুর্য্যটুকু উপভোগ করার লোভ যেন সামলানো যায় না। তাই যখন দেখলাম স্বনন্দার স্বপ্ন-উতল চোখে উৎকণ্ঠার ছায়া মিলিয়ে গেছে, ওষ্ঠ্যধরে ফুটেছে তৃপ্তিস্বিপ্ত হাসি, তখন উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলাম। ওর ওই আয়ত অ'থির তারায় কঁপিবে শঙ্কাতুর কাতরতা, সে যে কি স্বন্দর। ওর স্বন্দর মুখে ফুটে উঠবে ক্লিষ্ট ব্যাকুলতা —সে দেখার লোভ ষে আমার কি ! বুঝলাম স্বনন্দ পালাতে পারে, তাই গভীর উদাস মুখে বললাম, “গা দেখলেই যদি সব অমুখের সন্ধান পাওয়া যেত, তাহ’লে লোকে মরত না কখনও—* ব্যস, আর দরকার ছিল না। জন্তে আমার মুখে হাত চাপা দিয়ে ভংগনী-মধুর কণ্ঠে বলে উঠল, “ছিঃ ! ঐ সব অলক্ষুণে কথাগুলো বলে জামায়ু দুঃখ না দিলে বুঝি স্বস্তি পাও না ? আচ্ছা, আমায় দুঃখ দিতে তোমার মায়াও হয় না একটু 1’ শেষুের দিকে কণ্ঠ তার অভিমান-কাতর হয়ে আসত। নিজের কাছে টেনে নিয়ে বলতাম, “আর আমায় ফেলে পালাতে তোমার একটুও মায়া হয় না বুঝি ?” “পালাব আর কোথা ? কাজ করব না ?” "না, কাজ তোমায় করতে হবে না। আমায় কষ্ট দিয়ে কি কাজ তোমার হবে শুনি ?” এবার সুনন্দ হেসে ফেললে । কি সুন্দর সে হাসি ! চাদের আলোর মত চিত্ত-মিথ-কর, ফুলের মত মৰ্ম্ম-মুখ-করা । হাসতে হাসতে বললে, “কি ছেলে মান্তষ তুমি গো ! এ সময়ে তোমার কাছে বসে থাকলে চলবে কি ক’রে ?” “তা জানি নে, কিন্তু তোমায় নইলে আমার চলবে না এটা জানি-- ” বলে ননাকে কাছে টেনে নিতাম । “তুমি বড় লোভী হচ্ছ কিন্তু দিন দিন, উপোস করামে, দরকার হয়ে পড়েছে।” “কি প্রকার ? সূক্ষ্ম না স্কুল ?” “শেষেরটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, তাহলে আমারই লোকসানের ভয় বেশী।” “কিন্তু প্রথমটায় আমার লোকসান এত বেণী যে সে আমার সইবে না নন্দা।” তার পর কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে চুপি চুপি বলতাম, ‘সত্যি বল স্থ, লোকসান কি আমারই একলার ? “না গো মশাই না, সে কথা জান বলেই না জামায় এমন ক’রে জন্ম করতে পার—” ব'লে স্বনন্দ তার রক্তপাগল-কর, মধুবর্ষ ওষ্ঠাধরের চকিত স্পর্শের ৰিছাতে আমায় মুখ, আহত, পাগল ক’রে ছুটে পালাত । তাই বলছি, সে নন্দার চুর্ণবিশিষ্টও আর খুজে পাওয় যাবে কি ? আমার কল্পিত অমুখের ভয়ে যার মুখে ছল ছল বিষণ্ণতা নেমে আসত, আজ সত্যকার অক্ষস্থতা তাঃ এনগেজমেন্ট নিবারণ করে না। না ডাকলেও যে অকারণে कांtबच्च श्रब्यूशरङ कांग्रह कांग्रह क्ब्रिड, चांख क्रिगब्र फॉ८क