পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৫২ প্রকাও র্যাক মাঠের মধ্যে বর্তমান রাজার নবনিৰ্ম্মিত রাজপ্রাসাদটি অবস্থিত। স্বমুখের শান-বাধানে চত্বরের ঠিক মধ্যস্থলে একটি ফোয়ারা। প্রাসাদের হাতার ডানদিকে পুরনো কলোর ছাদে তৈরি দেওয়ালহীন দরবারগৃহ আর বাদিকে সুবর্ণপাতমণ্ডিত গুম্বজদ্বয়বিশিষ্ট গোবিন্দজীর মন্দির— আলিসার পরে গুটিকতক স্বর্ণকুন্ত সংস্থাপিত। মন্দিরাভ্যন্তরে গোবিন্দজী এবং গৌরনিতাই প্রভৃতির মৃন্ময় বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরসংলগ্ন বিশাল নাটমণ্ডপের বিরাট স্তম্ভসমূহ বিচিত্রিত। রাজপ্রাসাদের পিছন দিকে ইটের পাচিলে ঘেরা ক্রিকেট খেলার প্রকাগু মাঠ। মণিপুরের বর্তমান রাজা চুড়ার্চাদ সিংহ স্বয়ং নাকি এক জন পাকা ক্রিকেট খেলোয়াড় । ব্লাউস ও শাড়ী পরিহিত দুটি মণিপুরী লৈছাৰী (কুমারী) ইম্ফলের প্রধান দ্রষ্টব্য স্থানগুলো দেখে বাঙালীপাড়ায় জনষ্টন হাইস্কুলের শিক্ষক কুমুদ্ৰনাথ দে, এম-এ, মহাশয়ের বাসায় এসে উপস্থিত হলাম । বন্ধুবর হিমাংশু সেন এর কাছে একখানা পরিচয়পত্র দিয়েছিলেন। কুমুদ বাবু জামায় সমাদরে অভ্যর্থনা করলেন। ● প্রবাসী Nరి8R ঝাড়ের অবকাশপথ দিয়ে নজরে পড়ছে ছায়াঢাকা সারি সারি ঘর-বাড়ি আর দু-একটা চুণকাম-করা মন্দিরের চুড়ো। কোন-কোন বাড়ির সামনে বিকশিত পদ্ম ফুলে ভৰ্ত্তি এক একটি সরোবর। এ-সমস্ত স্থপরিচিত দৃগু দেখে মনে হচ্ছে যেন বাংলা দেশের পল্লীপথ দিয়ে চলেছি। ਾ - - - • • বর্শাধারী নাগ মাঝে মাঝে রাস্তার পাশেই ছতরির নীচে মণিপুরী স্ত্রীলোকের দোকান-পাট সাজিয়ে বসে আছে। দলে দলে তাম্বলরাগে রঞ্জিতাধর নম্ন-পেড়ে আজি-কাটা ফানেৰ-পর মেয়েরা চলেছে সার-বেঁধে নৃত্যচ্ছন্দে পদক্ষেপ করতে করতে উংসবে যোগ দিতে। এরা প্রায় সকলেই উজ্জল গৌরবর্ণ । স্বমুখের পানে তাকিয়ে মনে হচ্ছে যেন স্থবেশ নারীদলে । এক শোভন শোভাযাত্রা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে উৎসবক্ষেত্রের অভিমুখে। পথচারী পুরুষরা সংখ্যায় এত অল্প .ে খুমুদ বাবুর বাসা থেকে বেরিয়ে আমরা বর’এর পথে এই শোভাযাত্রার মধ্যে এরা যেন প্রক্ষিপ্ত। মেয়েৰে পা চালিয়ে দিলাম। রাস্তার দু-পারে কলাবন আর বঁাশ মধ্যে কারও কারও গলায় কয়েক নর স্বর্ণহার, কানে সোন4