পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b=కg প্রবাসী 为\&8之 বালিকাদের শিক্ষাবাবদ ব্যয় সমান সমান হওয়া উচিত এবং বালিকাদের শিক্ষা এক জন নারী কৰ্ম্মচারীর অধীনে शांक ●यं८ग्नांखन ! সামাজিক উন্নতি-সংক্রান্ত কার্ধ্যে যে-সকল কৰ্ম্ম আত্মনিয়োগ করিবেন তাঁহাদের শিক্ষার ব্যবস্থার বিশদ আলোচনা এই অধিবেশনে করা হয়। আলোচনায় অনেকে যোগদান করেন। যথা, ভেম এলিজাবেথ ক্যাডবেরী, কুমারী উইনগেট, চীনদেশের কুমারী চিয়ান এবং রুমেনিয়ার প্রসিদ্ধ কৰ্ম্মী রাজকুমারী কাস্তাকুজেন। স্বেচ্ছায় ও এই কার্থ্যের জন্ত বিশেষ শিক্ষা না পাইয়াও র্যাহারা সমাজসেবা করেন তাহাদের কাজ খুবই প্রয়োজনীয় বলিয়া সকলেই স্বীকার করেন ; কিন্তু বিশেষ শিক্ষাব্যতীত এই কার্ধ্যের স্থব্যবস্থা কোন নেতৃস্থানীয় লোক করিতে পারেন না। কিন্তু সমাজ-সেবার কাৰ্য্যে শিক্ষা দিবার ব্যবস্থার একাস্ত অভাব আছে। নারী ও সংবাদপত্রের কাজ, এই বিষয়ে আলোচনা করিয়া স্বইটজারল্যাণ্ডের লেখিকা কুমারী সেলভেগর বলেন, যে, যদিও নারীরা সংবাদপত্রের কার্ষ্যে স্থান লাভ করেন তথাপি সে স্থান শুধু নীচের দিকের, অর্থাৎ অল্প রোজগারের ও মধ্যাদার । নারীদের উচিত নিজেদের বিষয় নানা গভীর সমস্তার আলোচনা সংবাদপত্রে করা। শুধু খুঁটিনাটি বিষয়ের লেখা চালাইলে সংবাদপত্রে নারীর স্থান উন্নত হুইবে না। ইহার পরে প্রসবকালীন মৃত্যুর হার লইয়া বিশেষ আলোচনা হয়। আমাদের দেশের মাতৃত্ব একটা মহামারী বলিলেও চলে। কেননা, এই স্বাভাবিক ব্যাপারে বহুসংখ্যক নারী প্রতিবৎসর ভারতে প্রাণ হারান । এই বিষয়ের একটি প্রতিবিধান অবশ্যকৰ্ত্তব্য। কারণ এই মৃত্যুর অধিকাংশই স্থব্যবস্থা থাকিলে কখনও ঘটিতে পারে না। বোম্বাই হইতে আগত ডাঃ শ্ৰীমতী ঝিরাদ এই বিষয়ের বিশেষ ব্যাখ্যান করেন । পরিশেষে নারী ও শিশু ক্রয়-বিক্রয়, আইনে নারীর অধিকারাভাব ও বাল্যবিবাহ আলোচিত হয়। কুমারী শেফার্ড বলেন, যে, শিশু ও নারী ক্রয়-বিক্রয় সম্বন্ধে সমাজের মত দৃঢ়তররূপে প্রকাশিত ন হইলে শুধু জাইনের দ্বারা এই ঘৃণ্য ব্যাপার বন্ধ করা সম্ভব হুইবে না। যদিও বর্তমানে এই ক্ষেত্রে অধিকসংখ্যক লোক কার্ধ্যে নামিয়াছেন, তবুও এই কার্ধ্যে সকলের আরও বেশী সহানুভূতি প্রয়োজন। উদ্ধার-কার্ধ্যের জন্ত সকল প্রদেশে নিখিল বঙ্গ মহিলা সমিতির (All Bengal Women's Union to ) Nos on offs हeब्र थ८ब्रांखम । ५थन, अरुथि चशिकांश्च खेरुांब्र-stई মুক্তি ফৌজ, মিশন-সমূহ, ব্রাহ্মসমাজ, সেবাসন ও ভারত §ss offs 1 (Servants of India Society) of থাকেন । বেগম শ নাওয়াজ বলেন, যে, লীগ অফ নেশুন্সের সংগৃহীত সংখ্যাসমূহের পর্য্যলোচনায় বুঝা যায় যে ভারতবর্ষ নৈতিক দিক দিয়৷ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশগুলির সমকক্ষ। উপরোক্ত বর্ণনা পাঠ করিলে বুঝা যাইবে ষে অন্তর্জাতিক নারী সংঘের অধিবেশনে বত ভিন্ন ভিন্ন বিষয় লইয়া আলোচনা হইয়াছে। বিষয়গুলি সকল ক্ষেত্রে নুতন না হইলেও নানা দেশের সমর্থনে ও সহানুভূতিতে এই আলোচনার মূল্য খুবই অধিক বলিয়া ধার্ঘ্য হইতে পারে। আলোচনা ব্যতীত সম্মিলনের একটা সামাজিক দিকও ছিল । ষ্টীমার-পার্টি, চা-পার্টির সাহায্যে ভিন্ন ভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের পরম্পরের সহিত মেলামেশা ও বন্ধুত্বের সুযোগ দেওয়া হয়। যথার্থ বলিতে গেলে এই সামাজিক মিলনের মধ্য দিয়াই প্রকৃত ও চিরস্থায়ী বন্ধনের সূচনা হয়। সম্রাটের মৃত্যুর জন্য অনেকগুলি সামাজিক নিমন্ত্রণ প্রভৃতি শেষ অবধি বন্ধ হইয়া যায়, কিন্তু যে কয়টি হুইয়াছিল সেগুলি খুবই উপভোগ্য হইয়াছিল। একদিন সকলে ষ্টীমার বরিয়া বেলুড় দেখিতে যান। প্রতিনিধির সকলেই বেলুড় মঠ দেখিয়া মোহিত হইয়াছিলেন। এতদ্ব্যতীত কলিক তার বহু স্কুল-কলেজ ও নারী-প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিবর্গকে দেখান क्ष्म्न । পরিশেষে কলিকাতা কর্পোরেশনের তরফ হইতে মেয়র ও অল্ডারম্যানরা অধিবেশনের প্রতিনিধি ও দর্শকদিগকে একদিন অভ্যর্থনা করেন । মেয়র সকলকে কলিকাতায় স্বাগত সম্ভাষণ করেন। প্রতিনিধিদিগের তরফ হইতে ডেম এলিজাবেথ ক্যাডবেরী, রাজকুমারী কাপ্তাকুজেন ও ভ্রমতী ফরিদ্ধনজি প্রত্যুত্তর দান করেন। এইখানেই অধিবেশনের কার্য্য শেষ হয়। ভারতবর্ষ আবহমান কাল হইতে বিশ্বমানবের বার্তায় বিশ্বাস করিয়া আসিয়াছে। বিশ্বজনীন শান্তি ও সখ্যের আদর্শ ভারতে চিরস্তন । কবি রবীন্দ্রনাথ বৰ্ত্তমান ভারতে এই বাণী পুনরায় নূতন করিয়া উচ্চারণ করেন ও র্তাহার বিশ্বভারতী আন্তজাতিক শিক্ষা ও সভ্যতার মিলনক্ষেত্র । এই জন্ত শান্তি ও আন্তজাতিক সখের মন্ত্রে দীক্ষিত বিশ্বaারীসংঘ ধে ভারতকে নিজেদের মিলনক্ষেত্র রূপে নিৰ্ব্বাচন কৱিলেন ইহা অতি স্বর্থের বিষয় । জধিবেশন বিশেষ সফল হইয়াছে। কারণ, ভারতের চিরঅন্থস্থত আদর্শের সহিত এই অভিজতিক সংঘের আদর্শের অপুৰ্ব্ব সমৰয় ।