পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज्ञत**Nधं র সঙ্গে নেওয়া চলে।” লবির কান্না থামিল না, পুট থটা মুছিয়া লইয়া বলিল, “আমার জন্তে তাহলে গঙ্গার থেকে একটা বৌ-পুতুল এনে ৷” লাবি কাদিয়া কাদিয়াই বলিল, “আমারও ” কাজকৰ্ম্ম, সারণ হইলে গৌরী রাণীর বাড়ি গিয়া দেখিল iানেও যোগে স্নানের পরামর্শ চলিতেছে। গৌরীকে খয়রাণী বলিল, “কি ভাই, যাবে নাকি আমাদের ? তুমি ত সাতজন্মে কোথাও যাও না, এই সুযোগে টু ঘর থেকে বেরোনোও হব, পুণ্যি করাও হবে। মরা ট্রামে পাব দল বেঁধে, ট্রাম-চড়ার সর্থটাও ওই সঙ্গে টয়ে নিতে পারবে ।” গৌরী একটু দুঃখের সহিত গৰ্ব্বের সুর মিলাইয়া বলিল, } ভাই, তোমাদের সঙ্গে ট্রামে বাওয়া আর ঘটল না ; ন ওঁর বন্ধুর মোটরে যাবার ব্যবস্থা করেছেন ।” }ণী বলিল, “তবে ত তোমার পোয় বীর, আর রবের সঙ্গে ট্রামে যাবে কেন ?” গৌরী বলিল, “গরিব দে কে তা ত ভাল করেই জান । ব আর ঠাট্টা করছ কেন ? সঙ্গে যাই আর নাই যাই, মি এলাম তোমারই একটু দয়া ভিক্ষা করতে । বলতে ংস হয় না, কি জানি কি ভাবৃবে তুমি ” রাণী বলিল, নৰ্ভয়েই কও, অত ভেবে কি হবে ?” গৌরী বলিল, “আমি ত কলকাতা শহরের কিছুই খ নি, তাই ওই সঙ্গে কাল সব দেখে আসব। তিনকড়ি র মা বোনের কাল চীনের পর সারাদিনই বেড়াবে, রের এ-মোড় থেকে ও-মোড় কিছু আর বাকী রাখৃব তা পরের সঙ্গে ছেলেপিলে নিয়ে যাওয়া ত আর না, ওগুলোকে ঘরেই ফেলে যেতে হবে । শুধু দটার জন্তে ভাবনা। তুমি যদি ওকে তোমার ঝিদের ই একটু রাখতে দাও, আর—আর—কি বলে—একটু— গৌরী থামিয় গেল। রাণী বলিল, “বাপ রে বাপ, না কথা তার আবার এত অমৃত-আমতা ! থাকবে ছুটী এখানে, তাতে কি পৃথিবী উন্টে যাবে ?” નોો সলজভাবে বলিল, “না, ও এখনও মাই-দুধ নি কি না ।” ਭੂਝੋਂ వీa রাণী হাসিয়া বলিল, “অ’চ্ছা, আচ্ছা, তার জন্তে এত আকাশ-পাতাল ভাবতে হবে না । তুমি লাবিটাকেও এইখানে রেখে যাও । মেয়েদের ব্যবস্থা ত হইল, এখন পুটি লক্ষ্মীছড়িী না বিপদ বাধাইলেই হয় । যে-কথাটি যfহীকে বলা বারণ, সবার আগে তাহীকেই সেই কথা বলিয়া আসি মেয়ের রোগ । সাধে কি আর গৌরী মেয়েদের কাছ হইতে এতক্ষণ কথাটা লুকাইয়া রাখিয়ছিল । পুটি সতি-তড়ি:তাড়ি ঠাকুমার কাছে গৌরীর নামে লাগাইতে ছুটিবে। এইবেল কিছু ঘুম দিয়া উহার মুথ না বন্ধ করিলে অদ্বৈ"দয় দেখা তাহ:র মাথায় উঠিয়া যাইবে । বৌমানুযের এই সব ঘোড়া ডিঙ্গাইয়া ঘাস খাইবার চেষ্টা শাশুড়ী দু-চক্ষে দেখিতে পারেন না । বুড়ী শাশুড়ী রহিল ঘরে পড়িয়া আর বৌ চলিলেন গঙ্গারানের পুণ্য করিতে। ভাগ্যি চোখে তেমন দেখিতে পান না, তাই কোন প্রকারে লুকোচুরি করিয়া সরিবার আশা আছে। নহিলে এ-সব কল্পনা সে স্বপ্নেও কfরত না । পুটি:ক এক মুঠ আমচুর ঘুম দিয়া আজিকার মত চুপ করাইয়। রাখিতে পারিলে কাল যদি সে ঠাকুমীকে বলিয়াও দেয় ত কিছু আসিয়া যায় না। ধর হইতে একবার বাহির হইয়া পড়িলে বুড়ী যতই গলি দিক না গেীরীর ত আর গীয়ে লাগিবে না । ফিরিয়া আসিলে অবগু এক পালা খুব চলিবে । তা’ পেটে থাইতে পাইলে পিঠে অমন দুই-চারি ঘা সহিয়া সয় । গৌরী ছেলেমেয়েদের ডাকিয়া সকাল-সকল খাওয়াইয়া শুইতে বলিল । মন ধনী বলিল, “কেন মা, এখুনি শোব কেন ? রোজ ত কত রাত ক’রে পড়াশুনে ক’রে তবে শুই ।” পুটি নাচিয়া উঠিয়া বলিল, “আমি জানি, জানি।” গৌরী তাহাকে তাড়া দিয়া বলিল, “ভান ত একেবারে রাজা ক’রে দিয়েছ আর কি ? চুপ ক’রে থাক এথন ।” তার পর মনাকে ডাকিয়া আদর করিয়া বলিল, “তুমি বাবা লক্ষ্মীটি, কাল সকালে ৯টার সময় ঠাকুমাকে এক-পো দুই কিনে এনে দিও, এই তোমার কেঁাচার খুটে আমি পয়সা বেঁধে দিলুম। কিছুতেই এ কথা যেন ভুলো না । সকালেই আমি গঙ্গা নাইতে চলে যাব, তুমি যদি না এনে দাও ত তার সারা দিন খাওয়াই হবে না ।”