পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ ইতালী ও আবিসিনিয়ার বিৰোধ هلات لا অবশেষে সংক্ষেপে আমার মন্তব্যটি জানাই— চার অধ্যায়ের রচনায় কোনো বিশেষ মত বা উপদেশ আছে কি না সে তর্ক সাহিত্যবিচারে অনাবশ্যক। স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে এর মুল অবলম্বন কোনো আধুনিক বাঙালী নায়ক নায়িকার প্রেমের ইতিহাস । সেই প্রেমের নাট্যরসাত্মক বিশেষত্ব ঘটিয়েছে বাংলা দেশের বিপ্লবপ্রচেষ্টার ভূমিকায় । এখানে সেই বিপ্লবের বর্ণনা অংশ cओम आज : এই বিপ্লবের ঝোড়ো আবহাওয়ায় দু-জনের প্রেমের মধ্যে ষে তীব্রতা ষে বেদন এনেছে সেইটেতেই সাহিত্যের পরিচয় । তর্ক ও উপদেশের বিষয় সাময়িকপত্রের প্রবন্ধের উপকরণ । ৮ চৈত্র ১৩৪১ । ইতালী ও আবিসিনিয়ার বিরোধ ঐবিমলেন্দু কয়াল, এম-এ ইউরোপের রাষ্ট্র-বিপ্লবের কথা ছাড়িয়া দিলে, অন্ত দেশের মধ্যে মেক্সিকোর বিদ্রোহবহ্নির কাহিনী যুদ্ধ-বিরোধী ব্যক্তিগণের হৃদয় অধিকার করিয়াছে । আফ্রিকার মধ্যে আবিসিনিয়াকে কেন্দ্র করিয়া ইতালীর ষে মনোভাব সম্প্রতি দেখা গিয়াছে তাহাতে পুৰ্ব্ব-আফ্রিকায় আর এক সমরানল প্রজ্জ্বলিত হইতে পারে বলিয়া অনেকে আশঙ্কা করিতেছেন । স্বাধীন আবিসিনিয়ার অধিবাসীরা আমাদেরই মত “কালা আদমী” অর্থাৎ কান্ত্রী। পৌরাণিক যুগের গ্রীক-সাহিত্যে সমধিক প্রসিদ্ধ ‘ইথিয়োপিয়া’ই বৰ্ত্তমান আবিসিনিয়া । নানাপ্রকার ধাতব দ্রব্য ও তৈলে সমৃদ্ধ প্রাচীন কাব্য-কাহিনী-বর্ণিত ইথিয়োপিয়া বহু বৎসর ধরিয়া ইউরোপের রাজ্যসম্প্রসারণ-ক্ষুধার খাদ্য বলিয়া পরিগণিত হইয়া আলিতেছে ; বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইউরোপীয় জাতি ইহাকে গ্রাস করিবার জন্ত লোলুপ দৃষ্টিতে অপেক্ষা করিয়াছে। তাহার রাজ্য-বৰ্দ্ধন-ক্ষুধার তৃপ্তিসাধন করিবার নিমিত্ত সম্প্রতি বুভূক্ষু ইতালী আবিলিনিয়ার উপর লালসাসকুণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়াছে। পৃথিবীর সর্বদেশের নিগ্রোজাতির কল্যাণকল্পে প্রতিষ্ঠিত আমেরিকার 'ক্ৰাইসিস পত্রে মিঃ রেজাল নামক এক ব্যক্তি ইতালীর এই মনোভাব সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করিয়াছেন। ইনি ১৯৩e সালে বর্তমান ইথিয়োপিয় সম্রাটের রাজ্যাভিষেকের দিনে আবিসিনিয়ায় উপস্থিত ছিলেন । আফ্রিকার মধ্যে মাত্র এই রাষ্ট্র বৈদেশিকগণের কবল হইতে নিজেকে বাচাইয়া রাথিয়াছে। বর্তমান অবিসিনিয়া উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার অন্তান্ত দেশ অপেক্ষ অধিকতর ক্ষমতাশালী বলিয় পরিগণিত । ইহার রাজধানী আদিস আবাবা ; সম্রাট মেনেলিকের - রাজত্বকালে ইহার আয়তন ৩৫e,••• বর্গ-মাইল বলিয়া পরিগণিত হয়। বৰ্ত্তমান পৃথিবীর মধ্য ইহাই একমাত্র রাজ্য যেখানে সম্রাটের সাৰ্ব্বভৌমত্ব এখনও অক্ষুধ রহিয়াছে। সম্রাটের পূৰ্ব্বনাম রস তাফারি, ১৯৩২ সালে রাজ্যগ্রহণের সময় তিনি “হেল সেলালী’ নাম গ্রহণ করেন । ইহার পুরা নাম—সম্রাট প্রথম হেল সেলসিী, “রাজার রাজা, ঈশ্বরের প্রতীক, জুদার বীর-কেশরী, রাঙ্গী শেবার বংশধর ।” গোন্ধারে অবস্থিত ইতালীয় দূতের আপিসে ও ওয়ালওয়ালে এই কলহ মুৰ্ত্ত হইয়া দেখা দিয়াছে। প্রথমটিতে এক জন ইতালীয় এবং দ্বিতীয়টিতে দুই শত আবিসিনীয় ও ত্ৰিশ জন ইতালীয় নিহত হইয়াছে বলিয়া সংবাদ পাওয়া যায় । প্রথমটির জন্ত আবিসিনিয়া ক্ষমা চাহিয়াছে ও ক্ষতিপূরণ কfরতে সম্মত আছে । আবিসিনিয়ার প্রতিবাদ সত্বে ও ইতালী ওয়ালওয়াল জোর করিয়৷ অধিকারে রাখিয়াছে। বর্তমানে এই অঞ্চলে তৈলের খনি আবিষ্কৃত হওয়ায় ইথিয়োপিয়া ইতালীকে বিতাড়িত করিবার চেষ্টা করিতেছে ; এই কারণে ইতালীর"