পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S\లిg কমিটি নিজের নিজের এলাকার সব গ্রামের ও শহরের প্রাপ্তবয়স্ক ও নাবালক নিরক্ষরদের সংখ্যা ঠিক করিয়া ফেলুন। তাহা স্থির হইলে প্রতিবৎসর ঐ সকল স্থানের কত লোককে লেখাপড়া শিথাইতে হইবে, তাহা মোটামুটি বুঝা যাইবে । মোটামুটি বলিতেছি এই জন্য, যে, প্রতিবৎসর কতকগুলি নূতন শিশু জন্মিবে—তাহারা শুকদেব নহে, নিরক্ষর, এবং যাহার হাত-খড়ির বয়সের নীচে বলিয়া যাহাদিগকে কোন বৎসর শিক্ষার্থীর সংখ্যায় ধরা হয় নাই, পর বৎসর তাহদের অনেকে শিক্ষার্থীর তালিকাভূক্ত হইবে। এই কাজটি অত্যন্ত কঠিন মনে হইতে পারে। কঠিন যে বটে তাঁহাতে সন্দেহ নাই । ইহা দুঃসাধ্য, কিন্তু অসাধ্য নহে । কারণ, শুধু পড়িতে ও লিখিতে শিখাইয়া দেওয়া সামান্ত লেখাপড়া-জনি বলিকবালিকাদের দ্বারাও হইতে পারে । আট-দশ বৎসরের ছেলেমেয়েরাও এই বিদ্যাদানকার্যে প্রভূত সাহায্য করিতে পারে । বস্তুতঃ পাঠশালায় যাহারা নুনিকল্পে অসংযুক্ত ও সংযুক্ত বর্ণপড়িতে ও লিথিতে শিথিয়াছে, তাহারাও এই কাজ করিতে পfরে। তাদের চেয়ে বেশী বয়সের ও বেশী লেখাপড়া-জানা লোকেরা ত নিশ্চয়ই তাহা করিতে পারে । চীনদেশে নিরক্ষতার বিরুদ্ধে অভিযানে ছোট ছেলেমেয়েরাও সাহায্য কfরয়াছে । আমরা কিছু দিন পূৰ্ব্বে একটি সংবাদ ছাপিমুছিলাম, বে, চীনের একটি ছোট ছেলে তাঁহার ষাট বৎসর বয়সের পিতামহী বা মাতামহীকে লিখিতে পড়িতে শিখাইয়াছে। আমাদের দেশের বিদ্যালয়সমুহে প্রাচীন কালের একটি রীতিই এই ছিল, যে, ছাত্রদের মধ্যে যাহার বেশী শিথিয়াছে তাহারা তহীদের চেয়ে অজ্ঞ ছাত্রদিগকে শিক্ষণ দিত এবং তাহা করিতে হওয়ায় এই শিক্ষাদাতা ছাত্রদের জ্ঞান গভীরতর ও অধিকতর ভ্রাস্তিগুষ্ঠ হইত । আমরা যে ভাবে লেখাপড়ার বিস্তায়সাধনের কথা বলিতেছি, তাহার জন্ত গ্রামে গ্রামে এবং শহরের পাড়ায় পাড়ায় পাঠশালা স্থাপন করিতে পারিলে এবং অবৈতনিক শিক্ষকদের দ্বারা তাঁহা চালাইতে পারিলে ভাল হয় । কিন্তু এই প্রকারে পাঠশালা স্থাপন না করিলে যে নিরক্ষতা দূর হইতেই পারে না, তঞ্চ নহে। প্রত্যেক গৃহস্থের বাহিরের ঘর ও বারাও, প্রত্যেক চণ্ডীমণ্ডপ, গ্রামের প্রত্যেক "Čoisillolo) SNご8ー。 বড় বড় গাছের তলা প্রভৃতি পুরুষজাতীয় লোকদিগকে শিক্ষা দিবার জন্য ব্যবহৃত হইতে পারে । ছোট ছোট মেয়েদের শিক্ষাও এইরূপ সব জায়গায় হইতে পারে, অন্তঃপুরেও হইতে পারে । তার চেয়ে বড় মেয়েদের শিক্ষণ প্রত্যেক অন্তঃপুরে হইতে পারে । প্রত্যেক শিক্ষাদাতা বা শিক্ষাদাত্ৰীকেই যে কয়েক জন ছাত্র বা ছাত্রীকে এক সঙ্গে শিখাইতে হইবে, ইহাও অবশুপ্রয়োজনীয় নহে। কেহ কেহ কেবল মাত্র একটি ছেলে বা একটি মেয়েকে, একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে বা একটি প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে পড়িতে ও লিখিতে শিথাইতে পারেন, তাহার লিখন-পঠনক্ষমতা জন্মিলেই আর একটিকে তিনি শিথাইতে আরম্ভ করিতে পারেন । এই কাজের জন্ত প্রত্যেকে প্রত্যহ পনর মিনিট সময় দিলেও বৎসরান্তে দেখা যাইবে, যে, কয়েক জনের নিরক্ষরতা দূর হইয়াছে । বাহারা এই সব অবৈতনিক শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীদের কাছে শিখিবে, তাহারা যদি আবার স্বয়ং অন্ত অনেককে শিথtয় তাহা হইলে শিক্ষা বিস্তারের কাজ খুব দ্রুত হইতে পারে, যেমন চক্রবৃদ্ধির নিয়মে স্থদে আসলে মুলধন খুব দ্রুত বাড়ে । সোভিয়েট রাশিয়ার অনেক রাষ্ট্রে এইরূপ আইন হইয়াছে, যে, যাহারা কোন সাৰ্ব্বজনিক ( পাব্লিক ) বিদ্যালয়ে অর্থাৎ রাষ্ট্রের ব্যয়ে পরিচালিত বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করিয়াছে, তাহাদিগকে কিছুকাল (ধরুন দু-তিন বৎসর ) বিনা বেতনে বৎসরে ২০০ ঘণ্টা শিক্ষাদানের কাজ করিতে হইবে, তাহা না করিলে তাহারা কোন কোন পৌর स्रशिकांग्न झहेtउ रुश्sिड श्रु I झेश छांशा श्रांशेन । ‘রাষ্ট্রের ব্যয়ে’র অর্থ সৰ্ব্বসাধারণের প্রদত্ত করের ব্যয়ে । যাহারা সৰ্ব্বসাধারণের সম্পূর্ণ বা আংশিক ব্যয়ে শিক্ষা লাভ করে, তাহার রাষ্ট্রের নিকট ঋণী । অপরকে শিক্ষা দিয়া এই ঋণ শোধ করিতে হইবে, এইরূপ আইন দ্যায়সঙ্গত । আমাদের দেশেও আমরা কেহ কেহ, অর্থাৎ র্যাহারা সরকারী বৃত্তি পান বা বিনা বেতনে বিদ্যালয়ে ও কলেজে শিক্ষণ লাভ করেন, শিক্ষার জন্ত দেশের লোকের কাছে খুব বেশী পরিমাণে ঋণী, কেহ কেহ অংশতঃ ঋণী ; কারণ সরকারী, সরকারীসাহায্যপ্রাপ্ত বা বে-সরকারী যেরূপ প্রতিষ্ঠানেই আমরা শিক্ষালাভ করি না কেন এবং বেতন যতই দিই না