পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ বিবিধ প্রসঙ্গ—বঁশকুড়া সম্মিলনীর হাসপাতাল বিস্তার SBN9 বন্দীদিগকে মুক্তি দেওয়া হয় । সেই জন্ত অনেকে আশা করিয়াছিলেন, যে, সম্রাট পঞ্চম জর্জের আগামী রজত-জয়ন্তী উপলক্ষে বিনাবিচারে বন্দীদের মুক্তি হইবে । কিন্তু ভারতীয় ও বঙ্গীয় উভয় ব্যবস্থাপক সভাতেই প্রশ্নের সরকারী উত্তর হইতে জানা গিয়াছে, যে, সাধারণ ভাবে তাহীদের মুক্তি হইবে না, এক এক জনের বিষয় বিবেচনা করিয়া কচিৎ কাঁহাকেও মুক্তিদান নিরাপদ বিবেচিত হইলে বরাবর যেমন এক-আধ জনকে মুক্তি দেওয়া হইয়া আসিতেছে, পরেও তাঁহাই হইবে । অন্ত দিকে নুতন নুতন যুববিয়স্ক লোকদিগকে ধরিয়া বিনা বিচারে আটক করা হইতেছে। অদ্য ২৭শে চৈত্রও একটি ছাত্রের এই প্রকারে স্বাধীনতা লোপের সংবাদ পাইলাম । এই প্রকারে বন্দীকরণের সম্বন্ধে আমাদের বক্তব্য কতবার যে লিপিবদ্ধ করিয়াছি, তাহার সংথ্যা লিথিয়া রাখি নাই । অন্ত সম্পাদকেরাও তাহা করিয়াছেন । ব্যবস্থাপক সভfর সভ্যেরাও সেইরূপ মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন । সরকারী উত্তর প্রায় একই প্রকার বরাবর হইয়া আদিতেছে । তাহারই প্রতিধ্বনি মধ্যে মধ্যে ষ্টেট্স্ম্যানের মত কাগজে পাওয়া যায় । এই কাগজে অল্প দিন আগেও লেখা হইয়াছে, যে, বিনা বিচারে কাহাকেও বন্দী করা হয় বলা ভুল, তাহীদের বিচার জজের করিয়া থাকে । কিন্তু রুদ্ধদ্বার কক্ষে সে কি প্রকার বিচার যাহাতে অভিযুক্ত ব্যক্তি তাহার বিরুদ্ধে প্রিযুক্ত প্রমাণ পরীক্ষা করিতে বা উকীল মোক্তার ব্যারিষ্টারের দ্বারা পরীক্ষা করাইতে পারে না, তাহার বিরুদ্ধে যাহারা সাক্ষ্য দিয়াছে তাহাদিগকে জেরা করিতে বী করাইতে পারে না, তাহার বিরুদ্ধে প্রযুক্ত প্রমাণ থওনার্থ আত্মপক্ষসমর্থক সাক্ষী ও প্রমাণ উপস্থিত করিতে পারে না, এবং জজদের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করিতে পারে না ? ষ্টেটসম্যানে লেখা হইয়াছে, অন্তরীন বা নজরবন্দী সকলের বিরুদ্ধেই যথেষ্ট প্রমাণ আছে। প্রমাণ থাকিলেও আদালতে তাহদের প্রকাশ্য বিচার কেন হয় না তাহার কারণ যাহা বলা হইয়াছে, তাহ অতীব হস্তিকর । প্রাণভয়ে নাকি কোন সাক্ষী তাহদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে চায় না! অথচ প্রকাশু আদালতের বিচারে কত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আদি অভিযোগে কত বিপ্লবীর কঠোর শাস্তি কত বার হইয়া গেল। কই সেগুলার কোন সাক্ষীকে ত কেহ খুন করে নাই, করিবার চেষ্টাও করে নাই। এখনও সেরূপ মোকদ্দম কয়েকটা চলিতেছে, এবং সেরূপ নুতন মোকদ্দমার উদ্যোগ চলিতেছে । কবে কথন দু-একটা এরূপ মোকদ্দমার সাক্ষী খুন-জখম হইয়াছিল বলিয়া ত ঐ সব মোকদ্দমা করিতে পুলিস নিবৃত্ত হয় নাই । যক্ষমাচিকিৎসালয়ের জন্য দান বঙ্গে যুগ্মা রোগ খুব বেশী বাড়িতেছে । এই জন্ত এখানে একাধিক ঘন্মাচিকিৎসালয়ের বিশেষ প্রয়োজন আছে । শেঠ রামকুমার বাঙ্গা কালিম্পঙে এইরূপ একটি চিকিৎসালয় স্থাপনের জন্ত দুই লক্ষ বিরাশী হাজার টাকা দান করিয়া সৰ্ব্বসাধারণের কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়াছেন । বাঁকুড়া সম্মিলনীর হাসপাতাল বিস্তার বাঁকুড়ায় বাকুড়া সন্মিলনীর একটি মেডিক্যাল স্কুল আছে। তাহ ষ্টেট মেডিক্যাল ফ্যাকান্টির অনুমোদিত । স্বৰ্গীয় নফরচন্দ্র কোলে মহাশয়ের পুত্র শ্ৰীযুক্ত ভূতনাথ কোলে ও র্তাহার সহোদর ঐ স্কুলের হাসপাতালে অস্ত্রচিকিৎসা-বিভাগেs শষ্যার সংখ্যা বাড়াইবার জন্ত বহু সহস্র টাকা দান করার সেই টাকায় নুতন বাড়ি নিৰ্ম্মিত হইয়াছে ৷ বঙ্গের গবর্ণর তাহার দ্বার উদঘাটন করিয়া আসিয়াছেন । ইহার ছবি অন্তক্র প্রকাশিত হইল । কোলে মহাশয়েরা সকলের কৃতজ্ঞতfভাজন । বঙ্গের সর্বত্র সমুদয় চিকিৎসা-বিদ্যালয়ে রোগীদের চিকিৎসার স্থান এইরূপে বৃদ্ধি পাইলে প্রভূত মঙ্গল হইবে । বাকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল স্কুলে পূৰ্ব্বে শ্ৰীযুক্ত ঋষিবর মুখোপাধ্যায় মহাশয় যে জমী ও অট্টালিকা আদি দান করিয়াছিলেন-বস্তুতঃ যাহা না দিলে বাঁকুড়া মেডিক্যাল স্কুল স্থাপিত হইতে পারিত না, তাহার উপর আরও দান করিয়াছেন। বাঁকুড়ার এই বিদ্যালয়ে বঙ্গের সব জেলা হইতে ছাত্রের আসিয়া শিক্ষালাভ করে। মুখোপাধ্যায়