পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ নববর্ষ ›@ማቅ বাণীকে অনাদরে অবরুদ্ধ করতে চায় ? বসন্তের বাতাসে উদ্ভিদের প্রাণলোকে প্রকাশের প্রেরণা সৰ্ব্বজ্ঞ, তারই প্রাচুর্ঘ্য বিচিত্র বর্ণে গন্ধে অরণ্যে অরণ্যে আপনাকে ঘোষণা করছে। অন্তহীন দেশে কালে সৌন্দর্যের এই যে অপরিমেয় ঐশ্বর্য, একে কোন উদাসীন অবজ্ঞা করবে ? বিশ্বের মৰ্ম্মস্থলে আছেন যে আবিঃ তারই নব নব শোভাময় আবির্ভাবকে অসন্মান করার দ্বারা তপঃসাধনের কঠোরতাকে যদি জয়ী করতে চাই তবে সেই অবলুপ্ত প্রকাশকে নিয়ে মানুষের কিসের গৌরব ? ধরণীতলে মরুভূমিই কি তপস্বী ? জীবনকে রসহীন মরুক্ষেত্ৰ ক’রে রাখব এই কি সাধনা ? উস্কার করতে হবে মরুকে বিচিত্র রূপময়ী সফলতার পথে—পৃথিবী তো মহিষের কাছ থেকে এই সঙ্কল্পই প্রত্যাশা করে, কেন না মানুষের আত্মা আবিঃ, সে যে আপনার স্বষ্টিতেই আপনাকে প্রকাশ করে, আহার-বিহারের স্বচ্ছন্দতায় নয়। মানুষ হয়েছে কবি, মানুষ হয়েছে শিল্পী, জস্তুরা হয় নি। দেবতার মতোই মানুষও সেই কাব্যেই আপনার পরিচয় দিতে চায় যা “ন মমরি, ন জীর্যাতি।” নিত্য ব্যবহারের দ্বারা মান ও মূল্যঙ্গীন হয় না যার সৌন্দর্য্য, যার মহিমা । গ্রীসের ইতিহাস যখন প্রাণবান ক্রিয়াবান ছিল তখন সে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে, ভথন নিশ্চয় সে জীবিকাসমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল, ধন উৎপাদন করেছে, অর্জন করেছে, সঞ্চয় করেছে, কিন্তু সেই সাম্রাজ্যবিস্তারে বিষয়-ব্যাপারে সেই ধন সংগ্রহে তার ঐশ্বর্থ্যের {ণ হয় নি। গ্রীসের প্রকাশস্বরূপ আত্মা যেখানে শিল্পে কাব্যে বিজ্ঞানে দর্শনে আপনাকে যথাযথ প্রকাশ করতে পেরেছে সেইখানেই তার কীৰ্ত্তি “ন মমার, ন জীর্যাতি।” সেইখানে সে আত্মদা, আপনাকে দান করে গেছে সকল যুগের সকল মানুধের কাছে, সেইখানে গ্রীসের আত্মা সৰ্ব্বমানবের আত্মার মধ্যে সজীব সক্রিয়। আজ ইংলণ্ড পৃথিবীর সকল মহাদেশ জুড়ে আপন সাম্রাজ্যের পত্তন করেছে ; তার বাণিজ্যের জাল প্রসারিত সকল সমুদ্রেরই কুলে কুলে ; ভাবী কালে এক দিন এই সমস্ত প্রভূত জটিল ব্যাপারের কাহিনীমাত্র থাকবে, কিন্তু এর প্রেরণা থাকবে না, সে থাকবে মাম্বষের কানে কিন্তু তার প্রাণে নয়, যেমন আছে সেকেন্দর শাহের দেশবিজয়ের সংবাদ, যেমন আছে প্রাচীন ফিনিসীয়দের বাণিজ্যবার্তা ? কিন্তু ইংলণ্ডের আত্মা যেখানে আপন সাহিত্যে আপনাকে প্রকাশ করেছে সেখানেই সে থেকে যাবে মানুষের আত্মীয়, কেবল তার द६ोंध्र नग्न ! সুন্দরকে অবজ্ঞা করার শিক্ষণ আজ এ দেশে কোনেী কোনো ক্ষেত্রে সম্প্রতি দেখা দিয়েছে । ৰুে অম্বশ্বরে প্রকাশের পূর্ণত ভ্ৰষ্ট হয়, তাকে স্পৰ্দ্ধাপূর্বক বরণ করবার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে ; দরিদ্র্যের অনুকরণ করাকে কৰ্ত্তব্য ব’লে মনে করছি ; ভুলে যাচ্ছি দারিদ্র্যের বহি ছদ্মবেশে श्रांञ्चांद्र श्रयभांननां कद्रां श्द्र ! cझेईर्षाझे दौ८ब्रञ्च । ঐশ্বৰ্য্য মহৎ, ঐশ্বর্য দাস নয় ; ঐশ্বর্যাকে ভোগ করতে অবজ্ঞা করে বীর, কারণ ভোগ করতে চায় লুব্ধ, বুভুক্ষু । ষে ভোগীসক্ত সে দীনাত্মা –কিন্তু ঐশ্বৰ্য্যকে প্রকাশ করতে চায় বীৰ্য্যশালী, নিলেভি নিরাসক্ত মনে । তাজমহলে প্রকাশ পায় সেই শাজাহান যে চিরকালের মতো নিরাসক্ত, যে সৌন্দর্ঘ্যের তপস্বী। তাকে দীনতম দীনও ঈর্ষ্য করবে না,তার স্বাক্টর আনন্দে আনন্দিত হবে, জীর্ণ কুটীরবাসীও তার কীৰ্বির ঐশ্বৰ্য্যকে আপনার বলে স্বীকার করবে। সংখ্যা গণনা করলে পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষই বাকাদীন, শিক্ষার অভাবে শক্তির অভাবে বাক্যের দ্বারা আপনাকে প্রকাশ করতে জানে না ; সেই বাক্যদৈন্তের সাধনাকেই যদি তাঁদর প্রভি মমতা প্রকাশের উপায় ব'লে গণ্য করি তবে সেই দীনদেরই সকলের চেয়ে রঞ্চিত করা হবে । যে-ভাষার ঐশ্বৰ্য্য কাব্যে মহাকাব্যে মহানাটকে, বাণীর সেই ঐশ্বৰ্য্যক্ষেত্রেই বাক্যদীনদের অনঙ্গসত্র । স্থাপত্যে, ভাস্কর্য্যে, চিত্রকলায় সকল মানুষই প্রকাশদীপ্তির আনন্দ পায়, স্বষ্টিশক্তিতে সে নিজে যতই অকৃতী যতই নিম্প্রতিভ হোক। দেশের প্রতিভা দেশের প্রতিভাদীনের প্রতি করুণা দেখাবার জন্তে যদি প্রকাশের ঐশ্বৰ্য্যকে খৰ্ব্ব করে, তবে সে ঐ দরিদ্র দরই অপমানিত করে, কারণ তাদের ব্যবহারে এই কথাই বলা হয় যে স্বষ্টিকৰ্ত্তা মানবাত্মার: শ্রেষ্ঠ আত্মপ্রকাশ দীনদের জন্তে নয়, যেমন অবজ্ঞার সঙ্গে উচ্চবর্ণের হিন্দু বলে থাকে তাদের পুজার দেবতা তাদের পূজার দেবমন্দির হরিজনদের জন্তে নয়। দেবতা যেমন সৰ্ব্ববর্ণনিৰ্ব্বিশেষে সকল মানুষেরই, শিল্পেশ্বর্যের প্রকাশও