পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৬ ū •& &3 Ꮠ? SNご3a শাস্ত্রী-মহাশয় বোধ হয় চিকিৎসকের পরামর্শে, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের তায় চন্দননগরের গঙ্গার ধীরে একখানি বাট ভাড়া লইয়া কিছুদিন বাস করিয়াছিলেন । সেই বাটীর কিয়দংশ কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে গঙ্গার ভাঙনে ভাঙিয়া পড়িয়াছিল, এখনও সেই লাটির অবশিষ্ট অংশ বিদ্যমান আছে কি গঙ্গাগর্ভে গিয়াছে তাক জানি না । কারণ সেই পাটর সম্মুখস্থ পথ গঙ্গায় ভাঙিয়া পড়াতে সে-পথে আমি বহুকাল যাই নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয় যেপটী ত ল’স কবিতেন, শস্বী-মহাশয়ের বটি তাহার দক্ষিণপুপর্ণ কোণে, হাটখোলা নামক পল্লীতে ছিল । সে সময় একদিন দেখিল’ম, আমার পিতার সঠিত এক শুভ্ৰ শ্মশ্রীধারী বুদ্ধ ভদ্রলোক আমাদের বটীতে আসিলেন । স্বামীব এক গুন বন্ধও সেই সময় আমাদের বীিত ছিলেন। বাবা অ'মাদিগকে ডাকিয়া সেঙ্গ অগস্তুককে প্রণাম করিতে বলিলেন । অ'মরণ উভয়ে প্রণাম করিলে বাবা বলিলেন, “তোমরা ইহাকে জান না? ইনিই পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী।” বহুকাল পূৰ্ব্বে কৃষ্ণ শ্বাশধারী শাস্ত্রী-মহাশয়কে একদিন মাত্র দেখিয়ছিলাম, হুতরাং এতদিন পবে সেই শ্বেত শশধারী বুদ্ধকে চিনিতে পাবি নষ্ট, তাহীতে বিস্ময়ের বিষয় কিছুষ্ট নাই । বিশেষতঃ তিনি মে :চন্দননগরে অসিয়াছেন, বা পাবার সহিত তাহtধ অtলাপ-পরিচয় হইয়াছে, তাহা আমরা হানিতাম না । পরে শুনিয়াছিলাম সে গঙ্গার তীরে বেড়াইতে গিয় ল'বার সঙ্গে শাস্ত্রী-মহাশয়ের আলাপ হইয়াfछल । अfभtrमद्भ বাটী হইতে মুক্টিলার সময় শাস্ত্রী-মহাশয় আমাকে এবং আমার বন্ধকে, অবকাশ পাইলেই তাহার আবাসে যাইবার জন্ত আমন্থণ করিয়া গেলেন । আমরা তাহার সেই আমন্ত্রণ রক্ষায় কথনই ক্ৰটি করি নাই, সময় পাইলেই ঠাহর কাছে ঘাইতাম । শাস্ত্রী-মহাশয়ের কাছে দুই-এক দিন গিয়াই বুঝিতে পারিলাম যে তাহার স্কায় উন্মুক্ত হদয়, সরলপ্রাণ এবং সৰ্ব্বহিতকামী ব্যক্তি সাধারণতঃ দেপিতে পাওয়া যায় না । তিনি আমাদের সঙ্গে যে কত বিষয়ের কত গল্প করিতেন, তাহার ইয়ত্ত নাই । যে-fদন যে-fবষয়ের কথা প্রথমে আৱস্থ হইত সে দিন দুই-তিন ঘণ্টা ধরিয়া সেই বিষয়েরই গল্প চলিত। বলা বাহুল্য যে, অধিকাংশ সময় তিনিই তুই-তিন বৎসর পূৰ্ব্বে, বক্তণ হইতেন, আমরা শ্রেত হইতাম । এক দিন বিস্তাকুরাগ সম্ব.দ্ধ কথা হইল। শাস্ত্রী-মহাশয় বলিলেন, “বিদ্যানুরাগ কাহাঁকে বলে, তাহ আজকাল এ-দেশের ছেলের ধারণাই করিতে পারে না। আমি বিলাতে গিয়া এক অতি দরিদ্র গৃহস্থের বাড়িতে বাসা লষ্টয়াছিলাম। সেই বাটতে মাত্র চারি জন বাস করিতেন । গৃহস্বামীর বয়স বোধ হয় আশী বৎসর, কঁহার স্ত্রীর বয়সও পচাত্তর-ছিয়াত্তর বৎসর হইবে । দুইটি কল্প—বড়ব বয়স প্রায় ষাট, ছোটর বয়সও সীত:প্ল-অটোগ্র বৎসর হইবে । এই চাfর জন লোক লইয়া সেই সংস’র। অবস্থা আতি হীন বলিয়। আমাকে বে:৫ার বা ভীড়’টিয়া রাথিয়াছিলেন । আমার সমস্ত কার্যা সেই দুই জন প্রৌঢ় কুমারী করিতেন । আমার ঘর পরিষ্কার করা, বিছানা করা, পোষাক পরিষ্কার করা, মায় জুতা বুরুষ পর্য্যস্ত র্তীতারা দুই ভগিনীতে করিতেন । আহাৰ্য্যই তাহারা দিতেন । সংসারে সেই তিন জন স্ত্রীলোক--ৰুদ্ধ এবং তাহারই কঙ্গারা সমস্ত দিন “লেস” বুনিতেন আর বুদ্ধা সেই লেস ফিরি করিয়া বিক্রয় করিতেন । ইহাই ছিল তাহাঁদের উপজীবিকা । বুদ্ধা সমস্ত দিন প্রায় বাহিকে পাকিতেন, দিনমানে বাটীত হিকে বড় দেখিতে পাইতাম না। তিনি আদিতেন সদ্ধার পর । ঐ তিনটি স্ত্রীলোক গৃহকাৰ্যা করিয়া যে-সময় লেস বুনিতেন, সেই সময় কোলের উপর একথানি করিয়া বই খুলিয়া রাথিতেন । হাতে লেস বুনিতেছেন, আর আপিন-মনে পুস্তক পড়িতেছেন, বাজে গল্প নাই, পরচর্চা নাই, ঝগড়া-কলহ নাই, যেন কলের পুতুলের মত কাজ করিয়া যাইতেন। লেস ধুনিতে বুনিতে মাঝে মাঝে পুস্তকের পাতা উন্টাইতেন । আমি তাহাঁদের শ্রমশীলতা, ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা দেখিয়া অবাক হইয়া চাহিয়া থাকিতাম। আমি যে-কক্ষে শয়ন করিতাম তাহার পাশের কক্ষেইবুদ্ধ গৃহস্বামী শয়ন করিতেন। একদিন রাত্রি প্রায় একটার সময় আমার ঘুম ভাঙিয়া গেল, দেখিলাম যে বৃদ্ধের কক্ষে আলো জলিতেছে ; জানালার ফাটল দিয়া সেই আলোক আমার শখ্যার উপর আসিয়া পড়িয়াছে । তত রাত্রিতে বুদ্ধের কক্ষে আলো দেখিয়া আমার একটু ভয় হইল, ভাবিলাম হয়ত র্তাহার কোন অসুখ করিয়া থাকিবে । আমি সংবাদ লইবাব