পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टंङTछे পাশের ঘর ১৭১ তা বলতে পারেন, তার ইচ্ছামত । কিন্তু আমার আমি তত ক্ষণ চট করে ওঁর জন্তে ডিমের কচুরি ক’থান মনে হয়—” Cख्छा छ नििहे ।” “তোর কি মনে হয় রে?”—উৰ্ম্মিলা মুখ টিপিয়া মালতী অনেক চেষ্টায় আপনাকে সংবরণ করিয়া হাসিল । কহিল, “মা, তোমাদের ভদ্রতাবোধ কি একেবারে নেই ? “আমার মনে হয় মেয়েদের জীবনযাত্রায় পুরুষকে যে একান্ত প্রয়োজন এই মনোভাবটাই ভুল।” “ওরে বাস রে, তুই ষে মস্ত কথা বললি ! জানি নে বাপু এসব কথার উত্তর । তোর মত আমরা আধ্যাত্মিক চিস্তাও অত করি নে আর সমাজতত্ত্ব কিংবা মনস্তত্ব নিয়েও অত মাথা ঘামাই নে । কিন্তু দেরি কি, এবার চল ব্যাডমিণ্টন খেলবি নে ?” মালতী তাহার বন্ধুদের সহিত কথা কহিতেছিল এবং ঘন ঘন দ্বারের দিকে চাহিতেছিল। কুমুদার এত ক্ষণ চা অনিবার কথা । কিন্তু এখনও আসিল না । আt:, আজ বিরক্তিতে তাহার সমস্ত মন ভরিয়া উঠিয়াছে ! “আমি এখনই আসছি ভাই, তোমরা দয়া ক’রে একটু অপেক্ষ কর ।” ভিতরে চায়ের তাগাদ দিতে আসিয়া দেখিল, বাবা সেই মাত্র কোট হইতে ফিরিয়া আসিয়া একটা সোফায় যসিয়া জিরাইয়া লইতেছেন। অদূরে ষ্টোভে চায়ের জল চড়ানো । ম চায়ের সরঞ্জাম বাহির করিয়া ধৌত করিতেছেন। কিন্তু দূরে বা নিকটে কোথাও দাদী কুমুদার চিহ্ন অবধি নাই । মালতী বিরক্তিপূর্ণ স্বরে কহিল, “কুমুদ কোথায় গেল ? মা দেখছি প্রশ্রয় দিয়ে দিয়ে বি-চাকরগুলোকে একেবারে মাটি ক’রে দেবে!” তাহার মা মিনতি করিয়া কহিলেন, “রাগ করিস নে মা ! কুমুদ আজকের মত ছুটি নিয়েছে। কালীঘাটে তার কি মানত আছে শোধ দিতে গেছে। তুই অনেক ক্ষণ চা চেয়ে গেছিস, আমি তখন থেকে ছটফট করছি । কিন্তু তোর বাবা এসে পড়লেন । মানুষটা তেতে-পুড়ে এল ! জুতো-মোজা খুলে নিলুম, দু-দণ্ড হাওয়া করতে একটু ঠাণ্ড হলেন । ঐ তো দেখি চায়ের জল ফুটছে, তা তুই এক কাজ কর না মা, তত ক্ষণ চ ভিজতে দে । ক’ পেয়ালা তৈরি করে নে। তোর বাবাকেও এক পেয়াল দিল । আমার বন্ধুদের বসিয়ে রেখে এখানে আমি ডিমের কচুরি আর চা করি । আর তারা ই ক’রে কড়িকাঠ গুণতে थंॉरु !” 爱 মালতীর বাবা সহস্তে কহিলেন, “বুড়ির মায়ের সঙ্গে দেখছি বুড়ীর এক দণ্ড যনে না । কেন তুমি ওকে রাগিয়ে দাও গো । যা যা বুড়ি, তোর বন্ধুদের সঙ্গে গল্পগাছা কর গে । তোর মাকে দিয়ে চা তৈরি করিয়ে আমি দু-মিনিটের মধ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছি, পাহারা রইলুম । একটুও দেরি হ’তে দেব না ।” মালতী রাগ করিয়া কহিল, “তোমার না থাকতে পারে কিন্তু আমার ভদ্রতাঙ্কান যথেষ্ট রয়েছে । দাড়াও, আমি ওদের ব’লে আসছি, আর আমার ছবির এ্যালবামটা বার ক’রে দিয়ে আসছি । তত ক্ষণ সেইটে দেখতে দেখতে ওদের কাটবে। আমি এসে চা করছি। কিন্তু বাবা দেখো, আমি বলে দিলুম, ঝি-চাকরকে মা এত প্রশ্রয় দেয় যে শেষপর্য্যস্ত সবাইকে বিগুড়িয়ে না দিয়ে থাকতে পারবে না । কুমুদা গেল কালীঘাটে মানত শোধ করতে, কেন গেল ? কেনই বা এসব কুসংস্কারকে আমল দেওয়া 1* মালতীর মা এবারে একটু ক্ষুব্ধ স্বরে কহিলেন, “ছিঃ মা, অমন ক’রে বলতে নেই। কুমুদ দুঃখী মানুষ হ’লেও তাঁরও তো জীবনে এমন অনেক বিশ্বাস থাকতে পারে য। তার কাছে কুসংস্কার নয়, পরম ধৰ্ম্ম ।” “তোমার সঙ্গে তর্ক করা বৃথা ।” গেল । মালতীর বাবা সহাস্তে কহিলেন, “বুড়ির প্রকৃতিটা একটু অসহিষ্ণু । একটুতেই রেগে ওঠে। কিন্তু রাগলে ওকে চমৎকার দেখায় ।” কচুরি-ভাঙ্গ শেষ করিয়া একটা প্লেটে সাজাইতে সাজাইতে মালতীর মা কহিলেন, "মিছে নয়, তুমি হাসিতামাশা করছ বটে, কিন্তু ভয়ে এক এক সময় আমার হাত-পা ওঠে না ।” মালতী চলিয়৷