পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

›ጫ\» নিজের কথা সে অহরহ ভf:ব না, বরঞ্চ নিজের কথাটাকে অনেকের কখায় অনেকের কল্যাণে একেবারে চাপা দিতে পাfরলেই যেন বঁাচে । তার দিদির জীবন হইতে প্রতিফলিত হইয়া একটা নূতন আলো যেন তার মনের উপর অtসিয়া পড়িল । আসিয়া পড়িয়া অনেক গৰ্ব্ব অনেক ধারণাকে যেন আস্তে আস্তে গলাইয়া দিয়া ভাঙিয়া গড়িতে লাগিল । পাশের ঘরে মৃদ্ধ গুঞ্জনে তখনও কথাবার্তা চলিতেছে। বিজয়নাথ আম্ফালন করিতেছে, “সৌরিশ সরকারকে আমি দেপাব মজা, বুঝলে কমলা। আমাদের বারিত পুকুরের সীমানা দিয়ে হেঁটে গেলে আমি তার পা ভাঙবো । পুকুরে সর তো দূরর কথা । মনে নেই তোমার সাজার উঠোনের

  • (8ldTHi';

১৩৪২ এক কাঠা জমি নি.য় আমাকে কত কথাই না শুনিয়েছিল। বাছাধন টেরটি পাবেন এইবারে । দাড়াও বাইরে থেকে আলি মুখ হাত ধুয়ে একবার । এসে অমনি শুয়ে পড়ব ।”— বিজয়নৰ দরজাটা খুলিল। পাশের ঘর-মালতীর কক্ষ হইতে তখন এস্রাজের মুর ভাসিয়া আসিতেছে । অনেক ক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয় মালতী এইবারে এস্রাজটা টানিয়া লইয়াছে । বিজয়নাথ মুখ হাত ধুইতে গিয়া থমকিয়া দাড়াইয়া খানিক ক্ষণ শুনিল । রুগ্ন সুপ্ত পুত্রের পাশে বসিয়া মুক্ত দ্বারপথে কমলা অনেক ক্ষণ সেই স্বর শুনিল । ক্ষণকালের জন্ত তাহীদের মন হইতে বারিত পুকুরের সীমানা, সৌরিশ সরকারের স্পৰ্দ্ধা, এক কাঠা জমি লইয়া মামলা করিবার প্রয়াস সমস্তই মুছিয়া গেল । পথিক শিল্পী শ্ৰীঅক্ষয়কুমার রায় বন্ধুবর নন্দলাল বহু, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে মাস্ত্রাঙ্গ-ভ্রমণের পথে হাওড়া ষ্টেশনে বসিয়া বিজয়ার প্রীতিসম্ভাষণের সঙ্গে এই রেখাচিত্ৰখানি পাঠাইয়াছিলেন । যদিও ইহা ব্যক্তিগত, তবুও সাধারণের কাছে তুলিয়া ধরিবার লোভ সংবরণ করিতে পাfরলাম না, কারণ কবি ও শিল্পীর কল্পনা হইল সাধারণেরই । তিনি প্রায়ই একটা ইচ্ছা প্রকাশ করিতেন যে, যানবাহনে আদর-আপ্যায়নে ভ অনেক দেশই ঘোরা গেল কিন্তু নিরুদেশ-যাত্রা আর হইল না –ষেধানে কেহ কাহারও থোজখবর আর রাখিবে না, দিনের পর দিন আমরা দুই জনে পথ ধরিঃাই কেবল চলিব—হাসপাতালে রোগশয্যার উপর সেই ইঙ্গিতের রেখাচিত্ৰখানি পাইয়া মনটা যেন একেবারে পথের স্বরে ভরিয়া উঠিল। “গ্রামছাড়া ঐ প্লাঙ্গ মাটির পথ ; জাম" মন ভোলায় রে t- ** পথে শিল্পীর ষে পরিচয় পাইরাfছ, আজি সেই স্মৃতিই রোগশয্যায় লেখনী লইতে প্রেরণা জোগাইয়া জাগিতেছে । তিনি কোন কোন ছুটি উপলক্ষে সময় সময় সপরিবারে র্তাহার ছাত্রছাত্রীদের লইয়া বনভোজন করিতেন বা তাবু লইয়া দিনের পর দিন পথ ধরিয়া চলিতেন—তাহাকে বলা যাইতে পারে যেন একটা চলন্ত বিদ্যালয় । সেই সব দলে সময় সময় অtণার যোগ দেওয়ার সৌভাগ্য হইয়াছে। তথন লক্ষ্য করিয়াছি, পথেই যেন শিল্পীর প্রকৃত স্বরূপ প্রকাশ পাইয়াছে,—যাহা শিক্ষিত সমাজের অনেক তত্ত্বকথা বিচারবিতর্কে সরগরম আসরে লক্ষ্য করি নাই ; সেই সব স্থানে সাধারণতঃ উদাসীন বা মৌনীই থাকিতে তাহাকে দেখা বায় ; কিন্তু সেই মৌনীই মুখর হইয়া উঠেন পথে । * এমন অনেক ছোটখাট জিনিষ, ঘটনা বা দৃষ্ঠাবলী আছে, যাহা আমাদের চোখে পড়ে নাই, আর পড়িলেও ভাহা মনের উপর কোন ছাপ রাখে নাই, কিন্তু তাঁহাই দেখিয়াছি শিল্পীর চোথে কত বড় মধুর আকারে দেখা দিয়াছে, ঘাঁহাতে তাহার • চলার গতিকে রোধ করিয়া ধাড়াইয়াছে বলিয়া সময় সময় বিরক্তি ধরিয়াছে, অনেক मृभम्न अब्रटिकब्र मङ शंक] ब्रि| उँहाँच्न क्लब्णोद्ध भछि