পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੇ ਹੋਏ সন্ন্যাসষোগ

গান্ধীর সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য বিশেষ বাগ্র ছিলেন, এমন কি একদিন তিনি মহাত্মার সহিত মৌনদিবসে দেখা করিয়াছিলেন। মহাত্মাকে জাৰ্ম্মেনী সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা șạfą fsf Svētā fuif ni Gwa, “May God bless Germany,' अर्थ-अॅचव्र छांtईनौब्र मजण कङ्गन । cवां५ হয় ইহারই প্রতিদানস্বরূপ তিনি এই প্রবন্ধ লিখিতেছেন । প্রবন্ধের সারমর্শ্ব এইরূপ —ভারতে এখনও কোথাও কোথাও নাকি নরবলি-প্রথা প্রচলিত অাছে, নরবলি এবং সতীদাহ কবে এবং কিরূপে ইংরেজ গবর্ণমেণ্টের কৃপায় ভারত হইতে উঠিয়া গিয়াছে, কিরূপ বর্বরভাবে নরবলি ও সতীদাহ সম্পন্ন করা হইত, তাহার সচিত্র বর্ণনা, কালী ঘাটের ছবি এবং এখনও আমরা কি-প্রকার অমানুষিক তাবে পশুবলি দিয়া থাকি ; ঠগীদের বর্ণনা, তাহাদের অত্যাচার কবে কোথায় ছিল এবং কিরূপে তাহা ক্রমে ক্রমে ংরেজ-শাসনের গুণে লোপ পাইয়াছে, ইত্যাদি ইত্যাদি । এইরূপ অনেক বিষয়েরই বর্ণনা তিনি দিতেছেন ও দিতে থাকিবেন যেহেতু প্ৰবন্ধটি ধারাবাহিকরূপে বাহির হইতেছে। পরিশেষে আমার বক্তব্য, প্রত্যেক দেশেরই দোষগুণ আছে । কোন জাতি যতই সুসভ্য হউক না কেন, ইচ্ছা করিলে তাহার বহু কলঙ্ক জগতের সম্মুখে প্রচার করিতে বিশেষ বেগ পাইতে হয় না । শ্বেতজাতি যে কেন ভারতের কুৎসা প্রচার করিতেছে, তাহার কারণ স্বম্পষ্ট । পরিতাপের বিষয়, এই সকলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করিতে আমরা এখনও ষত্ববান হই না । সন্ন্যাসযোগ ঐসুধীরকুমার সেন বিভূতির বয়স বখন তিন বৎসর তখন জলটুঙ্গি গ্রামে এক সন্ন্যাসী অtসিয়াছিলেন । সে অনেক দিনের কথা । কামারপাড়ার এক বহুকালের প্রাচীন বটবৃক্ষমূলে বালছলি পাতিয়া, ধুনি জালাইয়া সন্ন্যাসী আস্তান গাড়েন । সন্ন্যাসীর দীর্ঘ জটা, সৰ্ব্বাঙ্গে বিভূতি, মুথে সদা বম্ বম্ ধ্বনি ; দীর্ঘাকৃতি গৌরবর্ণ পুরুষ, বয়স আন্দাজ করা যায় না। সন্ন্যাসী ফলমূল ছাড়া আর কিছু আহার করেন না, তাহাও একবার মাত্র, এবং নিদ্রা নাকি একেবারেই ধান না, সমস্ত রাত্রি খুনি জালাইয়া জাগিয়া থাকেন এবং জপ-তপ করেন । স্ত্রী মোক্ষদা প্রমুখাৎ সন্ন্যাসীর নানাবিধ অলৌকিক ক্ষমতার কথা শুনিয়া গুনিয়া হরনাথের কান প্রায় পচিয়া যাইবার উপক্রম হইল। সন্ন্যাসী-ফকিরে হরনাথের কোনদিনই বড় বিশ্বাস ছিল না । একবার তাহার ছেলেবেলায় তাহাদের বাড়িতে অকস্মাৎ এক সাধু উপস্থিত হইয়া সামনের অমাবস্তায় বালক হরনাথের আকস্মিক মৃত্যুর ভবিষ্যদবাণী করিয়া ফাড়া কাটাইবার অছিলায় তাহার বাপের নিকট হইতে ঠকাইয়া টাকা লইয়া যায়। পরে শোনা বায়, ঐ সাধু পাশ্ববর্তী গ্রামের এক গৃহস্থকেও এভাবে ঠকাইয়া গিয়াছে। সেই হইতে গাঙ্গুলী-বাড়িতে সাধু-সন্ন্যাসী চুকিতে পাইত না । হরনাথের ধে সন্ন্যাসীর উপর বিশ্বাস জন্মিয়াছিল তাহ নহে । কিন্তু ছেলে বিভূতিকে লইয়া সে কিছুদিন যাবৎ বিষম দুশ্চিন্তায় পড়িয়াছিল। বিভূতির তিন বছর বয়স হইল, কিন্তু এখনও মুখে বোল ফুটে নাই । সকলেই বলিত, ছেলে বোবা হইবে। বৃদ্ধ নিশি গাঙ্গুলী বলিয়াছিলেন, ‘এখন থেকে চেষ্টা-চরিত্তির ক’রে সাধু-সন্ন্যাসী দেখাও, ভাল হ’লেও হ’তে পারে । দৈবে একটু বিশ্বাস রেখে ভাই, তোমাদের কবৃরেজ-ডাক্তারের বাবারও সাধ্যি নেই যে বোবার মুখে বোল ফোটাতে পারে ? বলিয়া তিনি সপ্ল্যাণীদের বোল ফুটাইবার অলৌকিক ক্ষমতা সম্বন্ধে তার প্রত্যক্ষ দেখা কয়েকটা কাহিনীও বিবৃত করিয়াছিলেন ।