পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS8 ‘তখন বলেছিলুম। যাক, যা হবার হয়েছে, আর পড়ার দরকার নেই । যা আছে তাই এখন থেকে দেখে-গুনে চালাতে পারলেই খুব হবে । আমার সঙ্গে থেকে কাজকৰ্ম্ম দেখু ’ বিভূতির পড়ার সখ মিটির আসিয়াছিল। মিছামিছি ফি জমা দিয়া বছরের পর বছর ধরিয়া ফেল করিয়া কোনই লাভ নাই । বীপের সঙ্গে বাহির হইয়া কাজকৰ্ম্ম দেখার প্রস্তাবটা মন নয়। বিদুর মুখে অtঞ্জকাল দিনে-রাতে হাসি নাই বলিলেই চলে। বিভূতি আর দেরি করিল না । ভাল দিন দেখিয়া হরনাথের সঙ্গে বাহির হইয়া ক্ষেতে চাষের কাজ দেখিতে আরম্ভ করিল। জলটুলি গ্রামের মধ্যে হরনাথ গাঙ্গুলী এক জন সম্পন্ন গৃহস্থ। গোলায় ধন আছে, গোয়ালে গঙ্ক আছে, একখানা চলতি মুদির দোকান আছে এবং প্রতিবেশীদের মতে সিন্দুকে অর্থ সঞ্চিত আছে । যাহাই থাকুক আর নাই থাকুক, মোটের উপর হরনাথের সংসার ভালভাবেই চলিয়া যায় । বিভূতি প্রথম প্রথম ক্ষেতের কাজ দেখাশুনা আরম্ভ করিয়াছিল, কিন্তু রৌদ্রে ঘোর পোড়া শরীরে সহিল না বলিয়াই দোকানে বসিতে আরম্ভ করিয়াছে । গ্রামের মধ্যে এই একখানি মাত্র দোকান, কাজেই জিনিষপত্র মন্দ বিক্রি হয় না। আগে হরনাথ নিজেই দোকানে বসিত। মাঝখানে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দোকান দেখিবার জন্ত মাহিনী করিয়া এক জন লোক রাখিয়ছিল । মাহিনী-করা লোকে সুবিধা হয় না বলিয়াই বিভূতি সেই কাজে বহাল হইছে। বিভূতি সকালে ঘুম হইতে উঠিয়াই দোকানে যায় । স্বৰ্য যখন মাথার উপরে ওঠে তখন বাড়ি আসে । খাওয়া-দাওয়ার পর একটু ঘুমায়। তার পর আবার দোকান খোলে । সন্ধ্যার পর, যখন ঘুটঘুটে আঁধার হয়, তখন দোকান বন্ধ করিয়া বাসায় ফেরে । তাহার পর খাইয়া ঘুমায় । বিদুর মুখে ভাল করিয়া হাসি আর ফুটে নাই বটে, কিন্তু মুখভারও যে করিয়া থাকে না তাহ শপথ করিয়া বলিতে পারে । ·ථා হরনাথের শরীর ক্রমশই ভাঙিয়া আসিতেছিল, সে-বার „g: eigiasi G. SN98R শীতের গোড়াগুড়ি বিছানা লইল । জর অাছে, মাথায় অসহ যন্ত্রণা, ইপিানি জন্মিয়াছে। এতগুলা রোগ যে তাহার মধ্যে এত দিন নিঃশব্দে বাসা বাধিয়াছে, নিঃশব্দে বাড়িয়াছে, তাহা হরনাথ কখনও ঘূণাক্ষরেও টের পায় নাই। কিন্তু যেদিন জানিল সেদিন আর রেহাই পাইবার কোনো পথই খুজিয়া পাইল না। প্রথমে রোগকে অমল দেয় নাই, উঠিত, স্নান করিত, ভাত খাইত, সবই করিত। তাহার পর এমন একদিন আসিল যেদিন তাহার জীবনের সমস্ত অধিকার, সমস্ত শক্তি একমাত্র ঐ শয্যাপার্থেই সঙ্কুচিত হইয়া মুখ লুকাইল । * ওদিকে বিন্দু অস্তঃসত্ব । রোগীর সেবা পর্যন্ত হইয়া উঠে না। হরনাথ দিন-দিন কঙ্কালসার হইয়া পড়িতেছে, পাশ ফিরিতেও কষ্ট হয় । বিভূতি পৃথিবীর মধ্যে অনেকগুলি কাজই করিতে পারিত না, রোগশয্যার পাশে বসিয়া সেবা করাও তাহার দ্বারা হইয়া উঠিল না । হরনাথের অবগু সেজন্ত কোনো আপত্তি ছিল না, সে তখন মরিয়া হইয়াই শুইরান্ধে, নিৰ্ব্বিকারভাবে অস্তিম শয্যায় শুইয়া চক্ষু বুজিয়া বাকী কয়টা দিন কাটাইয়া দিল । নিশি গাজুলী শুধু মুখের দিনের বন্ধু ছিলেন না, সেদিন আসিয়া শয্যাপাশ্বে দাড়াইয়াছিলেন । বিভূতি পায়ের ধারে বসিয়া কোলের মধ্যে মাথা লুকাস্টয়া কাদিতেছিল। গাঙ্গুলী বলিলেন, করনাথ, থোকা আর তার বউ রয়েছে, চেয়ে দেখ ।” হরনাথ অৰ্দ্ধনিৰ্মীলিত নয়নে একবার চাহিবার চেষ্টা করিল, একবার যেন আশীৰ্ব্বাদ করিতে হাতটা একটু তুলিলও, কিন্তু তার পর যে চক্ষু বুজিল, নিদারুণ অবসাদে তাহা আর মেলিল না । মরার চেয়ে গলি নাই বটে, কিন্তু মরার চেয়েও বেশী ঃখ বোধ হয় অৰ্দ্ধমৃত হইয়া বাচায় । হরনাথ মরিয়া বাচিল । বিভূতি কাজিল, দশ দিন হবিষ্য করিল, অশৌচান্তেবেপরোয় হইয়া শ্ৰাদ্ধ করিল। স্বধ হউক, দুঃখ হউক, তাহা লইয়াই মানুষের জীবন । বিভূতি আবার শোক ভুলিল । হরনাথ মারা যাওয়ার মাস-তিনেক পরেই বিদুর ছেলে इहेण । मां८ब्रद्र मङ यूथ, दां८°ब्र मेंङ ब्र', भl ७ यां* झहे জনে মিলিয়া নাম রাখিল সোনা । তখন সোনা কোলে