পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وبا Sa উপর লাল শামিয়ান টাঙানো হইয়াছে, অবত বৃষ্টির ভয়ে তাহার উপর তেরপল চাপাইতে হওয়ায় শামিয়ানার সৌন্দর্য্য বেশ খানিকটা কমিয়া গিয়াছে। দেবদার-পাত, कूण, ब्रथॆौन जéन निब्रा जमरष्ठ छाँउ नांखांन इहब्रां८छ् । भमठ মায়ের সাহাধ্যে সারা ছাত জুড়িয়া আলপনা দিয়াছে, তাহার মাঝে মাঝে রঙীন কঁচের এবং জয়পুরী মীনার কাজ-করা ফুলদানীতে শ্বেত ও রক্ত পদ্ম ধূপের স্বগন্ধে স্থানটি আমোদিত। নীচে বসিবার ঘরটিও গোলাপ ফুল ও নানা রকম ফার্ণ দিয়া খুব সুন্দর করিয়া সাজান । মমতা উদ্বিগ্ন হইয়া আছে, পাছে বৃষ্টি আসিয়া তাহার এত সাধের আয়োজন সব মাটি করিয়া দেয় । খাওয়াইবার জায়গার অবশ্য অভাব হইবে না, এত বড় বাড়িতে ঘর আছে অনেক । কিন্তু ছাদটি সাজাইতে তাহাকে ও তাহার মাকে পরিশ্রম অল্প করিতে হয় নাই, সেটা একেবারে ব্যর্থ হইলে মমতা বেচারীর মনে অত্যন্তই লাগিবে । সমস্ত কাওটাই তাহার মনের মত করিয়া যামিনী করিতেছেন, মেয়ের আনন্দের উপর কোনো ছায়াপাত যাহাতে না হয় সেদিকে তিনি তীক্ষ দৃষ্টি রাখিয়াছেন । মমতাকে তিনি মায়ের পক্ষেও যেন একটু অতিরিক্ত রকম ভালবাসিতেন । তাহার নিজের বাৰ্থ কৈশোর ও প্রথম যৌবনের যত সাধ, যত আকাঙ্ক্ষণ এই কস্তাটির জীবনে সার্থক হইয়া উঠুক এই ছিল তাহার জীবনের একমাত্র কামনা । সুজিত দিদিকে বিদ্রুপ করিতে আসিয়া এমন কড়া বকুনি খাইয়াছে যে রাগ করিয়া সে নিজের ঘরে খিল দিয়া বলিয়া আছে। অবত শেষ অবধি সেখানে থাকিতে সে পরিবে না, একবার লোকজন আসিতে আরম্ভ হইলে হয় । হজিত বোধ হয় মানুষের মুখ আর গল্পগাছা যতখানি ভালবালে, এত আর জগতে কোনো জিনিষ ভালবাসে না । সুতরাং অতিথি-অভ্যাগতের দল দেখা দিতে আরম্ভ করিবামাত্রই যে সে বাহির হইয়া আসিবে, সে-বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই । কাজকৰ্ম্ম সারিয়া মমতা এখন মায়ের ঘরের বড় আয়নার সামনে দাড়াইয়া সাজসজ্জা করিতেছে । পরীক্ষায় পাস করার জন্ত মা তাহাকে নূতন সোনালী রঙের বেনারসী শাড়ী ও জামা কিনিয়া দিয়াছেন, বাবা দিয়াছেন , : --i-113 i Ge SNS8達. এক জোড়া হীরার স্থল। মেয়ে পরীক্ষা পাস করায় তাহার কোনো জানন্দ হয় নাই, অন্ততঃ মুখে তিনি তাহাই বলিতেছেন । কিন্তু মমতার আনন্দটা অত্যন্ত সংক্রামক জিনিষ, তাহ সারা বাড়ি ছড়াইয়া পড়িয়াছে । তাহার হাস্তোজ্বল কচি মুখখানির দিকে চাহিয়া সুরেশ্বরও আনন্দিত না হইয়া থাকিতে পারেন নাই । মেয়ে হয়ত র্তাহার চেয়ে মাকে ভালবাসে বেশী, এই একটা ধারণা থাকিয়া থাকিয় তাহাকে ঈর্ষান্বিত করিয়া তুলিত। তাই যামিনীর উপহারের পাচ গুণ দামী একটা উপহার মেয়ের হাতে তুলিয়া দিয়া তিনি নিজের মনকে ভুলাইবার চেষ্ট৷ করিতেছিলেন । মমতার নিজের গহনাগাটি খুব বেশী ছিল না । সুরেশ্বর থাকিয়া থাকিয়া প্রচণ্ড রকমের হিসাবী হইয়া উঠিতেন । মমতার গহনা গড়াইয়া টাকা নষ্ট করিতে তিনি রাজী ছিলেন না । বিবাহের সময় ত এক রাশ গহনা দিতেই হইবে, তখন বরপক্ষ কি রকম কি আবদার ধরিবে, তাহ কিছুই বলা যায় না । শুধু শুধু এখন আর তাহ হইলে কেন টাকা খরচ করা ? সুতরাং মমতার জন্ত গহনা গড়ান হইল না । যামিনীর এ-সব দিকে বেীক বেশী ছিল না, তিনিও ইহা লইয়া বিশেষ তর্কাতর্কি করিলেন না । মেয়ে ত সারাদিন স্কুলেই কাটায়, उशत्र अड গহনা পরিবার অবসর কোথায় ? কিন্তু আজ মমতার ক্ষীণ তমুলতাটিকে বেষ্টন করিয়া হীরকের ট্যুতি জলিতেছে । যামিনীর বিবাহের পর মুরেশ্বর প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা খরচ করিয়া তাহাকে এক প্রস্ত হীরার অলঙ্কার কিনিয়া দেন । উহা বেশীর ভাগ সময় ব্যাঙ্কেই পড়িয়া থাকিত, যামিনী বধুজীবনের প্রথম বৎসর উহ! বার-দুই অঙ্গে ধারণ করিয়াছিলেন, তাহার পর আর পরেন নাই । আজি সবগুলি আনাইয়া মনের মত করিয়া মেয়েকে সাঙ্গাইতেছেন । থাকিয়া থাকিয়া তাহার নিজের স্বৰ্গগত জননীর কথা মনে পড়িতেছে। যামিনীকে সাজাইবার কি আগ্রহই না তাহার ছিল ! পুতুলখেলার মত তিনি যামিনীকে লইয়া খেলিতেন যেন । তাছার সাধ তিনি অনেকটাই মিটাইয়া গিয়াছেন। কিন্তু এই খেলার ফলভোগ করিতে রাখিয়া গিয়াছেন হতভাগিনী কস্তাকে ।