পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੋਗ ਹੈ। তোকে যা বলছি তাই কর।” নিত? অগত্য চলিয়া গেল । উপর তলায় পাঁচ-ছয় খানি বড় বড় ঘর । সামনের দিকে গাড়ী-বারান্দার ছাদ, ভিতরের দিকেও একটি চতুষ্কোণ বারান্দা । নীচে প্রকাও ডাইনিং-ক্ষম থাকা সত্বেও যামিনীর খাওয়া-দাওয়া বেশীর ভাগ এই বারান্দাটিতেই হয়। বর্ষাকালে ইহার সামনে বোলে সবুজ তেরপলের পরদা জলের ছাট আটকাইবার জন্ত, আর ঘোর গ্রীষ্মে দুলিতে থাকে খশখশের পর্দা । কালে-ভদ্রে . নীচে তিনি খাইতে যান যদি অভিথি-অভ্যাগতের আবির্ভাব হয়, নয়ত কোন কারণ বশতঃ সুরেশ্বর ষদি তাহাকে ডাকিয়া পাঠান । মমতা সৰ্ব্বদা মায়ের সঙ্গেই খায়, স্বজিতের কিছু ঠিক নাই। সে মায়ের সঙ্গেও খায়, নিজের ঘরেও খায়, আবার নীচে বাবার সঙ্গেও খায় । নিতার ডাকে মমতাও বার-দুই অলিন্ত ভাঙিয়া অবশেষে উঠিয়া পড়িল । রোদ উঠিলে শুইয়া থাকিতে তাহারও ভাল লাগে না, তবে যামিনীর মত এ-বিষয়ে অতটা মতের দৃঢ়তা তাহার নাই । মাঝে মাঝে জাগিয় বিছানায় গুইয়া আলসেমি করিতে তাহার বেশ ভালই লাগে, তবে মায়ের ডাকাডাকির চোটে এ-কুখটা সে কোন দিনই পুরাপুরি উপভোগ করিতে পায় না । মায়ের স্নান করাও শেষ হইয়া গিয়াছে শুনিয়া সে তাড়াতাড়ি মুখ ধুইবার জন্ত ছুটিয়া চলিয়া গেল । বাহিরে তখন নিত্য অার রেবতী-ঝি মিলিয় শ্বেত্তপাথরের টেবিলে চায়ের সরঞ্জাম সাজাইয়া রাখিতেছে। যামিনী আসিয়া বসিতে-না-বসিতেই তাহদের প্রাতরাশ আসিয়া উপস্থিত হইল। কালকের খাবার অনেক বাচিয়াছে, তাই আজ আর সকালে কিছু তৈয়ারি করা হয় নাই । লুচি, মাংস, সন্দেশ, পান্তুয়া, দরবেশ মিঠাই বোঝাই করিয়া মস্ত বড় একটা ট্রে বিদুষ্ঠাকুরবি উপরে পাঠাইয়া দিয়াছেন । লুচিগুলি ও মাংসটা বেশ করিয়া আবার গরম করিয়া লওয়া হইয়াছে । যামিনী খাবারের পরিমাণ দেখিয়া একটু হাসিয়া বলিলেন, “থাম্, থামূ, অতগুলো নামাস নে, কে অত খাবে ? উনি আর খোকা উঠলে পর তাদের দিল।” निडा d-रक नांभांहेग्नां ब्रांथिब्रां वणिज, “श्रांद्र s ७ জন্মস্বত্ব ২১১ মেলা রয়েছে, পিসীমা আমাদের-মৃদ্ধ কটি গড়তে মান , रु'एन्न नेि ब्रुइन ।” 歌 যামিনী বলিলেন, “মেলা আছে বলেই কি ঐ ছুসের ময়দার লুচি আমি আর খুকি খেতে পারব ? আমি şi मद्रकांब ड्रग निष्कि, बांकि फूहे डफ़ॉब घछ निरन बृ " তিনি দুটি প্লেটে ধান-চার করিয়া লুচি ও একহাড় করিয়া মাংস তুলিয়া লইলেন। মিষ্টি নিজের জন্ত কিছুই লইলেন না, মমতার প্লেটে একটা সন্দেশ আর একটা পান্ধয়া তুলিয়া দিলেন। নিত্য আবার খাবার-বোঝাই ট্রে ধান তুলিয়া লইয়া চলিয়া গেল । মমতা মুখ হাত ধুইয়া চুল আঁচড়াইয়া আসিয়া মায়ের সামনের চেয়ারখানায় বসিয়া পড়িল । বলিল, “মা, রাত্রেও কিছু খেলে না, এখনও কিছু খচ্ছি না যে? বা রে, আমার পাসের খাওয়া তুমি কিছুই থাবে না নাকি ?” যামিনী বলিলেন, “এক গদা বাসি জিনিষ খেলে অম্লখ করবে যে গরমের দিনে ? তবু রাত্রে বৃষ্টি হয়েছিল ব’লে মাংসটা এখনও খাওয়া যাচ্ছে, না হ’লে ত তাও যেত না । এখন পোকা না গণ্ডেপিণ্ডে গেলে তাহলেই হয় ।” মমতা থাইতে খাইতে বলিল, “খোকার আবার বাসি খাবার যা পছন্দ, ঠিক বাবার মত । কাকাও বালি মাংসটাংস খুব ভালবাসেন, না মা ?” যামিনী বলিলেন, “তা ত ঠিক হানি না মা, হ’তে পারে ” মমতা বলিল, “অনেক ত খাবার বেঁচেছে, ওঁদের কিছু পাঠিয়ে দাও না মা ? মামাবাড়িতেও ত দিত পার? লুসি আর বেটু খুব খুশী হবে।” যামিনী বলিলেন, “মামার বাড়িতে ত দিতেই পারি। তবে তোমার কাকীমা আবার যা গোড়া হিন্দু এসব খাবেন কিনা কে জানে ? মিষ্টি খানিকট পাঠিয়ে দেব।” তিনি রেবতীকে দিয়া বিন্দুকে ডাকিয়া পাঠাইলেন, বলিলেন, “দেখ ঠাকুরবি, মিহিরদের ওখানে কিছু লুচি মাংস আর মিষ্টি পাঠিয়ে দাও, আর ঠাকুরপোদের ওখানে মিষ্টি খানিকটা পাঠিয়ে দাও । হরি-ঠাকুরকে ব’লো ঠাকুরপোর ওখানে যেতে, নইলে আবার ছোয়া-চুই নিয়ে গোলমাল বেধে যাবে ”