পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ মাদল পঞ্জিতেও প্রতাপরুদ্রের সহিত দক্ষিণের যুদ্ধের কাহিনী বর্ণিত আছে।–“এ রাঙ্গাঙ্ক ৮ অঙ্কে সেতুবন্ধ কটকাই কলে । বিদ্যানগর গড় ভাঙ্গি ঘউড়াই দেলে।” অর্থৎ এই রাজার সাত বৎসর রাজত্বকালে সৈন্তসহ সেতুবন্ধ আক্রমণ করিলেন । বিদ্যানগরের কেল্লা ভাঙিয়া ভূমিসাৎ করিয়া দিলেন । ১৫১৩ খ্ৰীষ্টাব্দে কৃষ্ণদেব রায় নেলোর জেলায় অবস্থিত উড়িষ্যার উদয়গিরি আক্রমণ করেন—সে যুদ্ধে উড়িয্যর শাসনকর্তা পরাজিত হন এবং রাজার সম্পৰ্কীয় কোনও অস্তঃপুরমহিলাকে বন্দী করিয়া বিজয়নগর-রাজ লইয়া যান। পরে কোণ্ডারিডের যুদ্ধে স্বয়ং রাজ প্রতাপরুদ্র পরাস্ত হন । রাজা কৃঞ্চদেব রায় কোণ্ডাপল্লী তিন মাস অবরোধ করিয়া জনৈক রাজপুত্র এবং তাহার মাতাকে ( অর্থাৎ উড়িয্যার রাজমহিষী প্রতাপরুদ্রের পত্নী ) বন্দী করিয়া বিজয়নগরে প্রেরণ করেন । অবশেষে রাজমহেন্দ্রী পর্য্যস্ত অগ্রসর হইয়া রাজা কৃষ্ণ.দব রায় ছয় মাস উক্ত নগর অবরোধ করিয়া রাখেন। অবশেষে বিপন্ন হইয়া রাজা প্রতাপরুদ্র দেব তাহার সহিত রাজকন্তর পরিণয় দিয়া উড়িষ্যা-রাজ্যকে আসন্ন বিপদ হইতে উদ্ধার করেন এবং নিজেও রক্ষা পান । কোগুffরডে এবং কাঞ্চীর বরদরাজস্বামীর মন্দিরে এই সব কাহিনী উৎকীর্ণ হইয়া লিপিবদ্ধ আছে। শুধু তাই নয়, সুযোগ বুঝিয়া আবার এই ভীষণ যুদ্ধকালে গৌড়ের রাজা হোসেন শাহ উড়িষণ-রাজ্য আক্রমণ করেন। প্রতাপরুদ্র ভোই বিদ্যাধরকে রাজ্যশাসনের ভার দিয়া স্বয়ং বিজয়নগরের সহিত যুদ্ধ করিতে যান। ভোই বিদ্যাধর বিশ্বাসঘাতকতা করিয়া গৌড়রাজের সহায়তা করে। DSBBS BB BB BB BBS BBBBBB BBBD ১৭ অঙ্কে গউড়ক মুগল বাহিলে। কটক নিকটে সে টার পকাইলে। কটক রখিয়া হোঁইথিলে ভোই বিদ্যাধর । সে যাই ধরিলে সারঙ্গ গড়। পরমেশ্বরঙ্ক চক ছড়াই চাপরে বসাই চড়াই গুহাপর্বতে বিজে করাইলে। ঐ পুরুষোত্তম আদি গৌড় পাতিশা অমর স্বরধান প্রবেশ হোইলে। বড় দেউলে যেতে পিতুলিমানে থিলে সবকুহি খুন কলে। দখিন কটকাইরে ধে রজা যাইখিলে সেঠারে রক্ত বাৱত পাইলে বড় ক্রোধ করি মাসকবাট দশদিনে আইলে ।” উড়িষ্যায় ক্রীচৈতন্ত 속 ইত্যাদি—অর্থাৎ গৌড় হইতে মুসলমান আক্রমণ করিল। কটকের নিকটেই তাহারা তাম্বু ফেলিল। কটক-রক্ষার ভার ছিল ভৌই বিদ্যাধরের । সে সারঙ্গ গড়ে গিয়া রহিল । ঐ৭গন্নাথকে নৌকায় চড়াইঃা-চড়াইগুহাতে লুকাইয়া রাখিল । শ্ৰীপুরুষোত্তমক্ষেত্রে গৌড় বাদশাহের ওমরাহ সুলতান প্রবেশ করিল, বড় দেউ-ল অর্থাৎ ঐ৭গন্নাথমন্দিরে যত দেবদেবী বিগ্রহ ছিল সব নষ্ট করিয়া ফেলিল । রাজা দক্ষিণে যুদ্ধে ছিলেন—সংবাদ পাইয়া ক্ষুদ্ধ হইয়া এক মাসের পথ দশ দিনে আসিলে ন ।” ইত্যাদি । এই মাদল পটিতে আছে যে রাজা প্রতাপরুদ্র গৌড়-সৈন্তদিগকে তাড়াইল গড় মন্দারণ পর্যন্ত লইয়। গিয়াছিলেন, কিন্তু সেখানে তিনি ভৌই বিদ্যtধরেক্স বিশ্বাসঘাতকতার যুদ্ধে অবরুদ্ধ হন । শেষে ভোই fবদ্যাধরের মধ্যস্থতায় সন্ধি হয় । রাজা প্রতাপরুদ্র দল ভেইষ্ট বিদ্যাধরের হস্তে প্রকৃতপ্রস্তাবে রাজ্যের শাসনভার অপর্ণ করেন । এই বিষম সঙ্কট, ম-র খ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্তের নীলাচলে অবস্থান ও দক্ষিণে ভ্রমণ কি সম্ভবপর ? বুন্দাবন দাল এই অসম্ভব ঘটনা-লিপিবদ্ধ করেন নাই । তিনি হোসেন শাহের নামোল্লেখে বলিয়াছেন— “যে সেন সাহা সৰ্ব্ব উড়িৎীয় দেশে । দেবমুৰ্বি ভাঙ্গিলেক দেউল বিশেষে ॥” অপর স্থলে ऋश्छांहरुझे प्लांछ भझांकांक शरुन ! মহাতমোগুণ বুদ্ধি জন্মে ঘন ঘন ॥ ওড় দশ কোটী কোচী প্রতিম প্রাসাদ । ভাঙ্গিলেক, কত কত করিলে প্রমাদ ॥ বৃন্দাবন দাসের বর্ণনার সহিত মুদিলা পল্লি, পৰ্ত্ত গীজ-বৃত্তান্ত এবং উৎকীর্ণ শিলালিপির মিল আছে। কিন্তু শ্রীচৈতন্তচরিতামৃত হইতে আধুনিক ঐচতষ্ঠ-জীবনী-লেখকগণও মহাপ্রভুর প্রথমবারেই নীলাচলযাত্রা ও দক্ষিণ-ভ্রমণ উল্লেথ করেন । দুঃখের বিষয়, শ্ৰীচৈতন্তভাগবত অসম্পূর্ণ ও খণ্ডিতাবস্থায় পাওয়া যায়, সম্পূর্ণ গ্রন্থ থাকিল অনেক ঐতিহাসিক তথ্য এবং শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্তের সম্পূর্ণ প্রকৃত জীবনকাহিনী কতকটা পাওয়া যাইত । ঐচৈতন্ত যখন দক্ষিণদেশ হইতে প্রত্যাগমন করিয়া । সন্ন্যাসের পঞ্চম বৎসরে গৌড়ে যাত্রা করেন, তখন রেমুণা