পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਟੋਲ77ਲੋ রুষsভগৰিনী নারীশিক্ষণ-মন্দিরে ミミ> কৃষ্ণভবিনী নারীশিক্ষ-মন্দিরের বাৎসরিক উৎসব-সভা হইয়াই তথাকথিত বৈষ্ণবসমাজে আচাৰ্য্যস্থানীয়া হইয়াছিলেন, সেজন্ত সাৰ্ব্বজনীন নারী-শিক্ষার হিসাব ইহাও গণ্য হইতে পারে না । অথচ আমাদের দেশের পুৰ্ব্বতন মনীষিগণ নে নারীজাতিক হীন ভাবে দেখিতেন একথাও সত্য নয়। ভগবদশক্তিকে র্যাহারা স্ত্রীমূৰ্ত্তিতে পরিকল্পনা করিয়াছিলেন, তাহীদের সম্বন্ধ একথা বলিলে অস্থয়া প্রকাশ করার মতই দাড়ায়। ইহা অপেক্ষা সম্মান কোন সমাজ নারীজাতিকে দিতে পারিয়াছে ? কিন্তু এদেশের মেয়েদের ভাগ্যেরই বোধ হয় কিছু দোষ ছিল, কেননা ইহা সত্ত্বেও নারীজাতির হীনত্বপ্রতিপাদক প্রমাণ আমাদের ধৰ্ম্মগ্রন্থে নীতিশাস্ত্রে প্রচুরই মিলে। স্ত্রী-পুরুষের ব্যবহার সম্বন্ধীয় যে-সমস্ত সাধারণ বাক্যও শাস্ত্রকারের তাঁহাদের শাস্ত্রে প্রয়োগ করিয়াছিলেন পরবত্তী যুগের পণ্ডিতমণ্ডলী সেগুলি ক্রমে কেবল নারীজাতির উপরই প্রয়োগ করিয়াছেন । স্মৃতিশাস্ত্রকার মগ্ন কস্তাদিগকে অ}দরে পালন এবং শিক্ষাদানের কথাও ত বলিয়াছিলেন কিন্তু জনসমজ বেশী করিয়া মানিল কেবল তাহাদের পিতৃকুলে, পতিকুলে আদায়ভাগিবের কথা, অনধিকারের কথা । আচার্য শঙ্কর তাহার ব্রহ্মচৰ্য্যকামী শিষ্যমণ্ডলী এবং সাধনেচ্ছু ব্যক্তিবর্গকে উপদেশচছলে ঘাহা বলিলেন তাহাতেও জনসাধারণ বুঝিলেন বা অন্ততঃ মুখে আবৃত্তি করিতে লাগিলেন "নারীই নরকের দ্বার’ ! একথা একবারও তাঁহাদের মনে আসিল না যে এই নারীরাও যদি আচার্য্যের নিকট ব্রহ্মচর্য এবং মুক্তিকামী হইয়া উপদেশ যাচ্ঞা করিতে পাইত ত;হা হইলে আচার্যের মুখে পুরুযের উণ্টা কথাও শুনিতে পাইতেন । এই যে জীবপ্রকৃতিজাত স্বভাব বা গুণের উপর দোষারোপ, পরস্পরের উপর পরস্পরের এই