পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२२ অস্থয়া দৃষ্টি, ইহা যে একটি উদ্দেশ্য লইয়াই রচিত হইয়াছে তাহা তাহার একবারও মনে করিলেন না । নারীछडिद्र অসারত্ব প্রতিপাদ্য বহু শ্লোক বহু গ্লানি দেশের ধৰ্ম্মশাস্ত্রে প্রক্ষিপ্ত এবং ব্যবহারিক শ্লোকে গ্রথিত হইতে লাগিল্প । यमन कि cय मशडब्रिड गडौ नाबिजौ मञ्चमडी গান্ধারী দ্ৰৌপদী প্রভৃতি অগণ্য স্ত্রীরত্বের সমাবেশে রচিত, সেই মহাভারতও এ দৃষ্টি হইতে সৰ্ব্বত্র উত্তীর্ণ হইতে পারেন নাই। দেশের এই যুগটিই নারীদের পক্ষে সৰ্ব্বাপেক্ষা অন্ধকারময় । আবার এই দেশেরই বৈষ্ণব সাধকগণ এই নারীত্বের কয়েকটি স্বভাব বা বৃত্তিকে তাহদের সাধনপথে আদর্শরূপে ধরিয়া জগতকে এক অভিনব বস্তু দান করিয়াছেন । র্তাহারা দেখাইয়াছেন সেই পথে ভগবানের সঙ্গে যেমন একটি জীবন্ত সম্বন্ধ স্থাপন করা যায় এমন আর কোন পথেই নয়। সাধক-কবি এই নারী ভাবে অনুপ্রাণিত হইয়া ভগবৎ উদ্দেশে এদেশে অনেক গান গাহিয়াছেন এবং এখনও গাহিতেছেন। এই ভাবে বহু গাথা রচিত হইয়াছে । শিল্পী, ভাস্কর মানবের উৎকৃষ্ট মনাবৃত্তিগুলিকে ( যথা—দয়া স্নেহ প্রেম ভক্তি আশা প্রভৃতিকে ) এই নারী-রূপ প্রদান করিয়া তাহাঁদের শিল্পকে জগতে অমর করিয়াছে, বহু ধৰ্ম্মচর্য্যেও নারীর এই তীব্র অনুভূতিময় অস্তরকে সাধনপথে আদর্শ বলিয়৷ গ্ৰহণ করিয়াছেন । কাব্যে সাহিত্যে নারীদের অবিসংবাদী স্থানের ত কথাই নাই শুধু বাকী থাকিয়া গেল আসল মানুষগুলারই কথা ! তঁহিীদেরও যে জ্ঞানের বুভূক্ষ, বিস্কার পিপাসা, শিক্ষিত জীবনের প্রয়োজন থাকিতে পারে এই কথাগুলাই কেবল সমাজের চক্ষে বাদ পড়িয়া গেল । এই যে শিক্ষা শঙ্ক অবগু পঠন পাঠন’ অর্থাৎ ব্যবহারিক অধ্যয়ন-অধ্যাপনের উপরই বলা যাইতেছে, নতুবা প্রকৃত শিক্ষা যাকাকে বলে—যাহার ফলে সংযমে দৃঢ়তায় মুশীলতায় চরিত্র গঠিত হয়, সে শিক্ষণ হইতে আমাদের দেশের নারীরা কখনই বঞ্চিত ছিল না, বরং ত্যাগে সংযমে এই পঠন-পাঠন বিদ্যাহীনারা এমন স্থানে অধিষ্ঠিতা ছিল যাহার পক্ষে বেশী বলিয়ো আজ শ্লাঘার মতই শুনাইবে । কিন্তু আজ আর সেদিন নাই । যে সমাজ তাহদের এই ব্যবহারিক বিস্তু থৈব্ৰেৰোচল;ে SNළෑෙ. না শিখাইয়াও গৃহের উচ্চ স্থানেই তাঁহাদের প্রতিষ্ঠিত রাখিয়াছিল এখন যুগধৰ্ম্মের প্রভাবে স্বভাবের বিপৰ্য্যয়ে সমাজ আর তাহীদের সেখানে স্থান দিতে পারিতেছে না । যেটুকু বা স্থান আছে তাঁহাতে আমাদের রুচিও নাই। দেশকলপাত্র বলিয়া আমাদের মধ্যে পরস্পর অপেক্ষক যে বস্তু আছে তাহার অস্তিত্ব এই রূপেই দেখা দেয় । তাই নারীদের এখন এই অপর বিদ্যালাভের প্রচুর প্রয়োজন হইয়াছে । এইরূপ নারীশিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠারও তাই বিশেষ প্রয়োজন। এই সাৰ্ব্বজনীন স্ত্রীশিক্ষা যেভাবে ধীরে ধীরে আমাদের দেশে ও সমাজে প্রবেশলাভ করিয়াছে এবং করিতেছে তাহার ধীরপদক্ষেপ যেন আমাদের চোখের উপরেই ধরা রহিয়াছে । ইহার বয়স অতি অল্প । ইহার আয়তন যেমন বুদ্ধি হইতেছে সমাজও ধীরে ধীরে তাহার বন্ধন শ্লথ করিতেছে। এখন সমস্ত এই ষে আধুনিক ধারার শিক্ষা আমাদের দেশের মেয়েদের উপযুক্ত কিনা । আমরা এ-বিষয়ে অনেক কথাই বলাবলি করি । যথা "পাশ্চাত্য দেশে ক্রমে সে শিক্ষায় 'ত্ৰাহি ত্ৰাহি ভাব আসিয়াছে, সমাজ বলিয়া গৃহ বলিয়া বস্তু ধে-শিক্ষায় আর দাড়াইতে পারিতেছে না, এশিক্ষায় আমাদের ঘরেরও ক্রমে সেই অবস্থা হইতেছে । আলোক আনিতে গিয়া কত আবর্জন যে ঘরে প্রবেশ করিল তাহা কি কেহ দেখিতে পাইতেছি না ?” এ ছাড়া আরও চের কথা । “এই জীবনযুদ্ধের উপযোগী শিক্ষার চাপে ছেলেগুলার ত স্বাস্থ্য ও মনুয্যত্ব গিয়াছে, মেয়েগুলারও এইবার গেল । ছেলেদের ব্যয় বহন করাই বাপ-মায়ের দিন-দিন অসাধ্য হইয়া পড়িতেছে, মেয়েদের জন্ত সেই ভার এখন দ্বিগুণ হইবে । ছেলেগুলাই দেশে উপার্জনের পথ পায় না, থাইতে পায় না, মেয়েদেরও পরস্পরকে শিক্ষা দিবার প্রয়োজন ফুরাইলে কিংবা ছেলেদের মত শিক্ষকেরও প্রাচুর্য ঘটিলে মেয়েদেরও এমনি দ্বারে ধারে ঘুরিতে হইবে।” ইত্যাদি বহু চিত্তাই আমরা করি এবং বাক্যেও বক্তৃতা দিই, আর কথাগুলার মধ্যে সত্যও যে আছে তাহাও স্বীকাৰ্য্য ; কিন্তু আমার মনে হয় প্রতিক্রিয়ার বস্তার জল এমনি ভাবেই আসে । সে-জলের সঙ্গে অনেক অবাঞ্জিত বস্তুও ভাসিয়া আসে, কিন্তু তাহার পথ রোধ করার উপায় নাই। “অন্ধ