পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२8 অমৃতের অনুসন্ধানও করিতে পারি। ঋষিশ্রেষ্ঠ যাজ্ঞবল্ক্যকে গিনি বিচারে পরাভূত করিয়াছিলেন সেই ব্ৰহ্মবাদিনী বাচকবীর মত ব্ৰহ্মবাদিনী হই । শারীরিক বলে নারী অবলা, তfহাদের মস্তিষ্ক লঘুতর, সে জন্ত তাহারা মস্তিষ্কের কার্য্যে অপটু, অদ্য পরিচালনার গুণে মস্তিষ্কের ক্রটি হইতে তাহার অনেকটাই মুক্ত হইয়াছে—ক্রমে যেন অধিকতর ভাবে একটি মুক্ত হয় । আজিকার কালোচিত বিদ্যা যখন নারী একে একে সমস্তই আয়ত্ত করিতে চাহিতেছে, তখন

    • খং লব্ধা চাপরং লাভং মন্ততে নাধিকং ততঃ” দেশের সেই চিরগৌরবের পর বিদ্যা লাভের স্থানেই কেন পিছাইয়া থাকিবে ? এখানকার কঠোগুলির শিক্ষণ ও স্বাস্থ্য লাভের জন্ত নানা ব্যবস্থা দেখিয়া ও তাঁহাদের হস্তনিৰ্ম্মিত শ্রেষ্ঠ শিল্পকলার প্রাচুর্য দর্শনের সঙ্গে তাঁহাদের বালকণ্ঠ-নিঃস্থত বেদধ্বনি শুনিয়া আর একটি মহাকন্তী-প্রতিষ্ঠানের কথা মনে পড়িতেছে । সেখানে কয়েকটি গ্রাজুয়েট ছাত্রী বেদস্ত পরীক্ষার জন্ত প্রস্তুত হইতেছেন, শ্ৰীমদ্ভাগবত প্রভৃতির চর্চা করিতেছেন, সেই কুমারী-কন্যাপীঠ শারদেশ্বরী আশ্রমের

১৩৪ই কথা বলিতেছি । এই দৃষ্টাস্তে এ আশা করা আমার আজ দুরাশা বলিয়া মনে হয় না । কেনই বা মনে হইবে ? দৈহিক বলে নারীর ক্রটি থাকিতে পারে, কিন্তু মানসিক বলে আত্মিক বলে সে ক্রটি কেন থাকিবে ? এই যে নরনারী-ভেদ এ ত আমাদের ব্যবহারিক জগতের পরিচয় মাত্র। যে ভূমিতে নরনারীর সংজ্ঞা একই, সেইখানকার পরিচয় দিতে সৰ্ব্ব দেশ-কালের পুঞ্জীভূত জ্ঞানস্বরূপ শ্ৰীমদ্ভাগবত গীতায় ভগবান বলিতেছেন —অন্তাং প্রকৃতিং বিদ্ধি মে পরাং জীবভুতাং—যয়েদং ধার্যাতে জগৎ । আমরা জীবরা সকলেই তার সেই পরা প্রকৃতি । সেই পরিচয়ে আমাদের জাতি একই। সেই তত্ত্বানুশীলনের পথ ও শিক্ষাও দেশে আমাদের জন্ত বিস্তৃত হউক । নারীদের শেষ শিক্ষালাভ স্বরূপে ইহাই আমরা আদ্য কামনা করি ।*

  • গত ৭ই এপ্ৰে'ল চন্দননগরের কুঞ্চভীবিনী নারীশিক্ষ-মন্দির বাৎসরিক উৎসবে সভানেত্রীর অভিভাষণ ।

প্রবাসী বাঙালী ও স্বাস্থ্যরক্ষণ শ্ৰীপান্নালাল দাস, জয়পুর (রাজপুতান ) আধুনিক বাংলার বাহিরের বাঙলীর ইতিহাস ইংরেজরাজত্বের প্রারম্ভ হইতে গণনা করিলে দেখা যায় পূৰ্ব্বে প্রবাসী বাঙালী দ্বারা ভারতের অন্যান্ত প্রদেশের—বিশেষতঃ বিহার-উড়িষ্যা, অগ্ৰিা-অযোধ্যা, রাজপুতানা ও পঞ্জাবে— বাঙালীর গৌরবের যে প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল , তাহা কেবল তাহাদের মানসিক উৎকর্ষ ও শিক্ষাগুণেই হয় নাই, ত{হীদের শারীরিক বল এবং সৎসাহসও এই প্রতিষ্ঠালাভে সহায়তা করিয়াছিল। ইংরেজ-রাজ্যস্থাপনের প্রারম্ভে ও সিপাহী-বিদ্রোহের সময় অনেক ঘটনা হইতে তাহার প্রমাণ পাওয়া যায় । প্রায় অৰ্দ্ধ শতাব্দী পুৰ্ব্বে আমার এক নিকট-আত্মীয় অfগ্ৰা-অযোধ্যা প্রদেশে কার্য্যোপলক্ষে সপরিবারে বাস করিতেন ; তাহর পুত্রের উপযুক্ত স্কুল-কলেজের অভাবে, শিক্ষাদীক্ষায় তাহীদের পিতার সমকক্ষ হইতে না-পারি লও শারীরিক শক্তিত ও নির্ভীকতায় তখনকার গুণ্ডা-উপদ্রবিত লক্ষে শহরে এরূপ খ্যাতি লাভ করিয়ছিলেন যে, অত্যন্ত দুৰ্দ্দস্তি লোকেরাও তfহাদিগকে ভয় ও শ্রদ্ধার চক্ষে দেখিত । এরূপ অনেক শহরেই তখন বলবান সাহসী প্রবাসী বাঙালী ছিলেন । পুৰ্ব্বে রুরকি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বঙালী ছাত্রের মানসিক এবং শারীরিক শক্তির প্রতিযোগিতার প্রবাসী বাঙালীর মানসন্ত্রম অক্ষুণ্ণ রাখিয়াছিল। ইংরেজী ব্যায়াম-কৌশল অর্থাৎ সার্কাসের ক্রীড়া ভারতবর্ষে প্রথমে