পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سیا(sse কয়েকটা টাকা জিতেছে । কাল টাকার চেক পেয়েছে কিন্তু স্ত্রীর কাছে এখনও এ-সকল কথা কিছুই বলে নি । ইচ্ছাটা নগদ টাকা ও খবরটা একসঙ্গে দিয়ে লীলাকে একেবারে চমৎকৃত ক’রে দেবে । সামান্ত আনন্দও মাকুযকে আত্মহারা ক’রে দিতে পারে যদি তা অপ্রত্যাশিত ভাবে আসে । আপিলে পৌছতেই বন্ধুরী হৈ হৈ ক’রে উঠল। হরেন এসে বলল, কি খাওয়াবে বল ! ললিত বিস্ময়ের ভান ক’রে বললে—কি খাওয়াব, কিছুই নয়! --डाँड्र प्रttन ? —মানে অতি সোঙ্গা । তোমাদের কিছু খাওয়ানোর কথা ছিল ব’লে ত আমার মনে পড়ছে না । —কথা আবার থাকবে কি, তোমারই ফি পাচ-শ খানি টীকা পাওয়ার কথা ছিল ? —টীকা –কিসের টাকা ? —আহা কিছুই জানেন না উনি, আপিসমৃদ্ধ লোক জেনে গেল আর উনি--- পরেশ একথানা পুরনো ষ্টেটসম্যানের পাতা ললিতের সামনে ফেলে দিয়ে বললে—মশাই লুকোবার চেষ্টা কল্বলে কি হবে, এদিকে ছাপার কাগজে যে বার্তা প্রচার হয়ে গিয়েছে । শনিবার খবর বেরিয়েছে আর আজ সেমিধার, हडिमtथा खैनि किङ्कहे छांनृप्ङ भां८ब्रन नि ! ७ब्रा उ কাগজে ওইবার আগে জানিয়ে দেয়—এত দিনে হয়ত টাকাও পেয়ে গেছ । ললিত আর চাপতে না পেরে হেসে বললে—না টাকা ঠিক পাই নি—তবে চেক পেয়েছি বটে ; তা তোমরা যখন ছাড়বে না তথন দু-এক টাকা খরচ করা যাবে কাল । আজ কিন্তু তোমরা আমার কাজগুলো তুলে দিয়ে আমায় একটু সকাল-সকল ছেড়ে দিও—চেকখানা ভাঙাতে হবে ত । সকলে বলে উইল, নিশ্চয়, নিশ্চয় । ললিতকে সেদিন আর বিশেষ কিছুই করতে হ’ল না । সে শুধু এর-তার সঙ্গে গল্প করেই সময় কাটাতে লাগল । হরেন প্রশ্ন করলে—গিল্লির জন্তে কি নিচ্ছ ? ললিত বললে—কি আবার নেব ? —বাঃ, তার জন্তে কিছু একটা উপহার-টুপহার নিয়ে স্বাবে না ? yo. --f ઉં ક્યાં સ્વાત્રા * SN?8ー。


چيجي

-কি হবে পয়সা বাজে নষ্ট করে ? —বেশ যা হোক। গিল্লির জন্তে খরচ করলে পয়সা নষ্ট হয় । যা বললে বললে, এ-কথা খবরদার আর কখনও :মুখে এন না –ৰ্তার কানে গেলে অনর্ধপাত ক’রে ছড়িবেন। ছেলেমানুষ তোমরা আমার কথা শোন—একটা কিছু সোনার জিনিষ কিনে নিয়ে গিয়ে দাও । তাতে তিনিও খুশী হবেন, তোমারও অসময়ের সাহায্য হবে। নয়ত্ব নগদ টাকাটা যদি সবই ঐহস্তে তুলে দাও তবে এটা ঠিক জেনে রেখে দিও তিনি নিশ্চয়ই ছিটের কাপড় আর এলুমিনিয়ামের হাড়ী কিনেই সমস্ত শেষ ক'রে দেবেন। —তা বটে, তবে অসময়ে কাজে লাগার কথা যা বললে ওতে আমার বিশেষ ভরসা নেই। সোনার জিনিষ ওঁর। গায়ে একবার চড়ালে বিধবা হবার আগে আর সহজে নামান না। যদি বা নামান ত সেটা হয় ক্যাশবাক্সে চোকে নয় ত স্তাকরার বাড়ি যায় প্যাটার্ণ বদলাতে । ও জিনিষ হস্তগত করা তোমার আমার মত পুরুষের কৰ্ম্ম নয় । আপিসের ঘড়ীতে ঢং ঢং ক’রে দুটো বাজল । ললিত তাড়াতাড়ি চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়লো । সাহেবের কাছে ছুটি নিয়ে সে রাস্তায় বেরিয়ে এল ; ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে জামার পকেটে রেখে ললিত সাবধানে পথ চলতে লাগল। যে-রকম পকেট-মারের ভয় পকেটের ভেতর একটা হাত রাখাই ভাল। নূতন নোটগুলা স্পর্শ করতেও বেশ লাগে । হরেন মঙ্গ মতলব দেয় নি । তার কাছে স্বীকার না করলেও গহনা-কেনার যুক্তিটা ললিতের ভালই লেগেছে। ওতে আহার-ওষুধ দুই হবে। তাছাড়া গহনা পরলে লীলাকে ভারী মৃন্মর দেথায় । সুন্দরী স্ত্রীলোকদের জন্তেই ত গহনার স্বষ্টি। কুৎসিতার কেন যে গহন পরে তাদের কুরূপকে বাড়িয়ে তোলে, ললিত তা বুঝতে পারে না । একটা জুয়েলারীর দোকানের সামনে শো-কেসের মধ্যে নানা রকম জিনিষ সাজান ছিল। ললিত সেই দিকে দেখতে দেখুতে ভাৰতে লাগল ভিতরে ঢুকবে কিনা । একটু ইতস্ততঃ ক’রে অবশেষে সে ঢুকেই পড়ল ।