পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਾਹਲੋ অনেক জিনিষ বাছাবাছির পর একটা নেকলে লে পছন্দ করলে । দামটা একটু বেশী, তা হোক, লীলার মুখের হাসির দামও কম নয় । বাসে ব’সে-ব’সে ললিত ভাবতে লাগল নেকলেসটায় লীলাকে কেমন মনোবে । শাথের মত শুভ্র গলায় সোনার হার, তাতে আবার লীলার মধ্যমণি। নকল নীলার মধ্যমণিটার দিকে তাকিয়ে লীলার আসল নীলার মত চোখ দুটা অনিলে কেমন উজ্জ্বল হয়ে উঠবে সে-কথা কল্পনা ক'রে ললিত বিভোর হয়ে গেল। কণ্ডাক্টার এসে টিকিট চাইলে কিন্তু তার তখন ভূ-সই নেই। মন্থলি টিকিটের অধিকারী ভেবে সে বেচারী চ'লে গেল। ললিতও অন্তমনস্ক ভাবে হেদোর মোড়ে নেমে পড়ল । বাড়ির দরজার কাছে এসে ললিত আর একবার মনে মন মহল দিয়ে নিলে কি ভাবে খবরটা খুব রঙীন ক’রে BK BBB S BB BBBBD KKSDS BBSBB BB তার সঙ্গেই আছে । ভিতরে এসে নীচে স্ত্রীকে দেখুতে পেলে না । একটু আশ্চর্য্য হ’ল, কারণ লীলা তার জলখাবার তৈরি করবার জঙ্গ এসময় নীচেই থাকে। উপরে শোবার ঘরে গিয়ে দেখে লীলা একটা চাদর মুড়ি দিয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। এমন অসময়ে ও শুয়ে কেন—রাগ হয় নি ত । নাঃ, রাগ হ’লে শুয়ে থাকবার মেয়েত ও নয় । তা যদি হ’ত ত ও এতক্ষণ অতিরিক্ত মনোবেtগের সঙ্গে সংসারের কাজ আরম্ভ ক’রে দিত ; উদাস গাম্ভীর্য্যের আবরণে ভিতরকার রাগকে এমন ক’রে ঢেকে ফেলত যে বাইরের লোক কিছুই পুঝতে পারত না । ললিত তাকে ভাল ক’রেই জানে— আদর পাবার জন্তে গোসার বিজ্ঞাপন ও কখনই দেবে না । স্ত্রীর মুথের উপরকার চাদরখানা সরাতেই তার ঈষৎ অরিক্ত ক্লাস্তু মুখচ্ছবি দেখে সে বুঝতে পারলে লীলার গ?খ করেছে । দেহের উত্তাপ পরীক্ষণ ক’রে দেখুলে জ্বর খুবই বেশী । লীলা তার স্পর্শ পেয়ে জেগে উঠল কিন্তু চোথ চেয়ে থাকতে পারলে না । ললিত তার মুখের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে—কখন জর এল লীলা ? —তুমি আপিসে চলে যাবার পর । -- এখন কি বডড কষ্ট হচ্ছে ? ললিত" লীলা నిలిS 一敬11 —কি কষ্ট হচ্ছে ? লীলার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল, সে মাথায় হাত দিয়ে বুঝিয়ে দিলে সেখানে যন্ত্রণা হচ্ছে । ললিত কাপড়-চোপড় না ছেড়েই স্ত্রীর শিয়রে ব’সে পড়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল। তার মনটা ভয়ানক খারাপ হয়ে গেল । আজকের বিকালটাকে মধুময় করবার জন্ত তিন দিন ধরে সে কত রকম জল্পনা-কল্পনা করেছে, কত মাথা ঘামিয়েছে । অবশেষে সবই কি মিথ্যা হয়ে গেল ? এত কল্পনা এত আয়োজন সমস্ত মূহুর্তের মধ্যেই ব্যর্থ হ’ল ! যে মুখকে সে আনন্দের আতিশয্যে রাঙিয়ে তুলতে চেয়েছিল, রোগ-রক্তিম সেই মুখের দিকে তাকিয়ে ললিত মানুষের অক্ষমতার কথা ভাবতে লাগল । অনেক ক্ষণ পরে লীলা একবার চোথ মেলে তার দিকে চfইলে । ললিত এ সুযোগ উপেক্ষা করতে পারলে না —লীলা তোমার জন্তে কি এনেছি দেখবে না ? ধ’লে নেকলেসের বাকসটা তাড়াতাড়ি তার হাতে তুলে দিলে । কম্পিত দুৰ্ব্বল হাতে সেটা খুলে লীল একবার মাত্র দেখেই অfবার বন্ধ ক’রে নিজের বুকের কাছে রেখে ললিতের দিকে তাকিয়ে একটু হাসলে। ক্লাস্তিতে তার চোখ দুটা মুদে গেল । ললিত কিন্তু সে হাসি দেখে আপনাকে পুরস্কৃত মনে করতে পারলে না ; সে হাসিতে উৎসাহ নেই, আনন্দ নেই, উত্তেজন নেই—আছে বুঝি শুধু কৃতজ্ঞতা । লীলার অবপন্ন মুখের দিকে তাকিয়ে তার অসহায় অবস্থার কথা ভাবতে ভাবতে ললিতের অস্তর বেদনামথিত হয়ে উঠল । આ ললিত ভেবেছিল লীলার অর্থ সামান্ত, দু-দিনেই সেরে যাবে । কিন্তু দেখা গেল যতটা সোজা মনে হয়েছিল ততটা নয়। ঔষধ পথ্য অথবা সেবা কিছুরই অভাব হ’ল না তৰু রোগ না ক’মে বরং বৃদ্ধির পথেই চলুতে লাগল। আত্মীয়ের অভাব এই সময়ই বোঝা যায়। রোগীর সেবা করতে পারে বাড়িতে এমন কেউ নেই, কাজে কাজেই ললিতকে আপিসে ছুটি নিতে হ’ল। বুড়ী ঝিয়ের দ্বারা সংসারের প্রায় সব