পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

">9 £ 2t=s>HT $. করবার সাহায্য আমা দ্বারা হবে না, তা সে যত টাকাই দিক না কেন । রবীনের দীপ্ত মুখের পানে চাহিয়া পুলিন এতটুকু হইয়া গেল। কিন্তু রাগ সে করিল না । সাংসারিক অসচ্ছলতার মধ্যেও বন্ধু অস্তরে যে সততার অগ্নিকণা জালিয়া রাথিয়াছে, সে আগুনকে পবিত্র হোমানলের মতই তার মনে হইল । 尊 聯 聯 聯 আরও কয়েকটি বৎসর পরে । রবীনের আর যৎসামান্ত হইয়াছে, কিন্তু তদনুপাতে পোষ্য সংখ্যা হইয়াছে দ্বিগুণ । উপার্জনের সামান্ত কয়টি টাকা মায়ের হাতে তুলিয়া দিয়া সে নিশ্চিন্ত । অভাবঅনটনের সঙ্গে যুঝিয়া অfপন স্নেহপক্ষপুটে আগুলিয়া রবীনের মা এই কয়টি প্রাণীকে বাহিরের ঝড় জল হইতে এতকাল বাচাইয়া আসিয়াছেন । কি করিয়া কোথা হইতে যে তিনি টাকা সংগ্ৰহ করিয়া অভাব-অভিযোগ মিটাইয়া দেন—সে-সংবাদ রবীন জানে না, রবীনের বউও জানে না । শ্রাবণের এক অপরাহ্লে মেঘ করিয়া বৃষ্টি নামিল । রবীনের মা ছাদের উপর ভিজা কাঠ শুকাইতে দিয়াছিলেন, ভিজিতে ভিজিতে সেগুলি তুলিলেন । বুষ্টির জলে ভাল স্বসিদ্ধ হয় বলিয়া কলসী কয়েক জল ধরিলেন । এমনই করিয়া ঘণ্টাখানেক ভিজিয়া যখন কাপড় ছাড়িতে গেলেন তখন বেশ শীত বোধ হইতে লাগিল । বধূকে উদৃেশ করিয়া বলিলেন—বউম, সন্ধেটা তুমিই দেখিও আমার শীত শীত করছে, একটু শুই । কঁথাখানা দিও ত মা । ব্যস, সেই শোওয়াই শোওয়া । তিন দিন পরে রবীনকে নিকটে ডাকিয়া বলিলেন—দেখ বাবা, একটা কথা তোর কাছে লুকিয়ে রেখেছিলাম, ইচ্ছে করেই বলি নি, পাছে তুই দুঃখ করিস । শোম । ब्रयौन कांङद्र करé वणिण-ञांछ थांक, खांण झ८ब्र -ব’লে । —না, বাবা; রোগের কখন কি হয় বলা যায় না, শুনে -রাখ। তুই একদিন জিজ্ঞাসা করেছিলি, ই, মা, আমাদের $N98R নাকি অনেক ভাল ভাল কাপড় আছে ? আমি বলেছিলাম, আছে । তবে সেগুলো না বলে নেওয়া নয়, ওঁর পাওনা । রবীন চঞ্চল হইয়া বলিল—আজি থাক না, মা । —না রে, শোন । শুনেছি ষার চাকরি করে, তাদের চাকরি ছড়িয়ে দিলে হয় পেনসান দেয়, না-হয় মোটা টাকা । বুড়ে বয়সে খাটবার ক্ষমতা ত থাকে না, তাই কোম্পানী দয়া করে । কিন্তু বিনি-দোষে বুড়ো বয়সে ওঁকে চাকরি ছাড়িয়ে দিলে, এক পয়সা দিলে না । রাগ ক’রে উনি যা পেয়েছিলেন কাপড়, জাম, টাকাকড়ি এনেছিলেন । রবীন যেন পাথর বনিয়া গিয়াছে। নিশ্বাস বন্ধ করিয়া মায়ের পানে চাহিয়া আছে । মা বলিতে লাগিলেন—লোকে ব’লবে অদ্যায়, কিন্তু উনি ধৰ্ম্মত কোন অন্তীয় করেন নি । মরবার দিন আমায় ব’ললেন, দেখ, ছেলেটা যেন না শোনে এ-কথা । হয়ত রাগ ক’রে যা করেছি, তা অন্তায়ই । লোকে আমায় নাম দিচ্ছে। আমি বললাম, না, অন্তায় করনি। আমরা না থেভে পেয়ে মারা যাই যদি, লোকে চেয়েও দেখবে না । তুমি স্থির হও ; যদি অন্তায়ই হয়, সে অন্তায় যেন তোমার আমার মধ্যেই শেষ হ’য়ে যায়, ছেলেকে যেন না ছুতে পারে । তাই করেছি, বাবা । ওঁর আন সব জিনিযই একে একে বিক্ৰী ক’রে দিয়েছি । আজ যদি আমি মরি, কাল তোকে অন্তায় ক’রে নেওয়া জিনিষের এক টুকরো দিয়েও সংসার চালাতে হবে না । সব শেষ ক’রে দিয়েছি । বলিয়া শ্রাস্তিতে তিনি চক্ষু মুদিলেন । বহু ক্ষণ পরে চক্ষু চাহিয়া দেখিলেন, রবীন তেমনই চিত্রাপিতের মত বসিয়া আছে । আপনার একখানি উত্তপ্ত হাত দিয়া রবীনের ডান হাতখানি তিনি বুকের উপর টানিয়া আনিয়া বলিলেন— জানি, দুঃখু পাবি, কিন্তু না ব'লে যে আমি শাস্তিতে মরতে পারতাম না, রে । বড় দুঃখু নয় রে ? রবীন শুধু বলিল—ন । 聯 聯 聯 骨 পুরাপুরি সংসার ঘাড়ে পড়িতেই রবীন দেখিল, এখানে ছিদ্র বহু। এদিকে তালি দিতে গেলে ওদিকের ফাক বাড়িয়া যায়, ওদিকের অভাব মিটাইতে গেলে এদিকের