পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ፃ8 পর হইতে কোনওরূপ মুসলমান বিদ্রোহের সম্ভাবনা ঘটে নাই । কিন্তু বৰ্ত্তমানের এই সমস্তাবহুল কালে একবার কোন প্রকারে বিদ্রোহ-বহ্নি ভাগরিত হইলে, চীন সাধারণ-তন্ত্র বিচলিত হইয়া পড়িবে সন্দেহ নাই । ১৯২৮ সাল হইতে লিঙুকিয়াং অঞ্চলে চীনশাসন সমস্তাসস্কুল হইয়া উঠিয়াছে। ১৯১১ হইতে ৯২৮ সাল পর্য্যস্ত মিঃ ইয়াং সেঙ-সিন্‌ সুদক্ষ হস্তে ইহার শাসনভার পরিচালনা করিয়াছেন । ১৯২৫ সালের পর হইতে চীনের রাজনৈতিক অশাস্তি নৌ-বাণিজ্যের পথে যথেষ্ট বিঘ্ন সঞ্চার করে ; ঠিক সেই সময়েই সোভিয়েটগণের অর্থনৈতিক নীতি সিঙুকিয়াং প্রদেশের অস্তর অধিকার করিয়া বর্গিল । ১৯২৮ সালে গভর্ণর ইয়াং সেঙ-পিনের হত্য এক যুগাস্তের অন্তরালে যবনিকা পাত করিল ; মুসলমানগণের চীন-বিদ্ব্যে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, আর কোনও সুনিপুণ নেতা রুক্ষহস্তে পরিচালন-দণ্ড গ্রহণ করিতে পাfরলেন না । দীর্ঘকাল ব্যাপিয়া শাস্তি ও শৃঙ্খলার মধ্যে যসবাস করিয়া জনসংখ্যা শস্ত্রই বৰ্দ্ধিত হওয়ার ফলে তুর্কী কৃষকগণকে উত্তরের অপেক্ষাকৃত বসতি বিরল যাযাবর দেশে বাস করিবার জন্ত গমন করিতে হইয়াছে । ইহাতে চৈনিক শাসক-সম্প্রদায় সন্তুষ্ট ছিলেন বটে কিন্তু মঙ্গোল ও কলাকগণ নিতান্ত বিক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল । জনসাধারণও ক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল। এইরূপে গভর্ণর ইয়াং-এর রাক্তত্ত্বকালে চৈনিক শাসননীতি দেশীয়গণের মনে এক বিদ্বেয-বহি জাগরিত করিল। বtfহরের প্রেভাবের মধ্যে সোভিয়েটগণের প্রভt<ই সমধিক প্রসিদ্ধ। ১৯১৫ সালের পর সিঙকিয়াং-এ সোভিয়েট বাণিজ্য-প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। শীঘ্রই সিঙকিয়াং-এর সীমান্ত-রেথ ব্যাপিয়া তুর্ক সিব রেলওয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ফলে এই প্রদেশের উৎপন্ন দ্রব্য অনায়াসে বিদেশে চালিত হষ্টত লাগিল। তদুপরি রুশিয়া “ফ্ৰী-ট্রেড" নীতির অনুসরণ করিয়া প্রাচ্যের নানা দেশে বাণিজ্য-বিস্তার করিতে সক্ষম হইল। এই সুযোগে ক্ষশিল্পী উভয় দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যৌগস্বত্র স্থাপনের উদ্দেশ্যে লিঙfকয়াং-এর সহিত বন্ধুত্ব গু:ব স্থাপন করিল। অবশেষে ১৯২৫ সালে চীন-সোভিয়েট সখী-নীতি স্বাক্ষরিত হওয়ায় উভয় • - »e8९ দেশে পরম্পর প্রতিনিধি প্রেরণের অপুৰ্ব্ব সুধোগ আসিল । এইরূপে কশিয়া এখানে তাহার বাণিজ্যপ্রসার দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করিতে সক্ষম হইয়াছে । ইহাতে স্থানীয় চৈনিক শাসকবর্গের নানা অসুবিধা হইতে লাগিল। তাহারা দেখিলেন সিঙকিয়াং-এর আর্থিক ভাস্করকে সোভিয়েট রাহু সম্পূর্ণরূপে গ্রাস করিয়াছে । ফলে চীনের বাণিজ্য-শক্তি হ্রাস পাইল । ইহার পুনরুদ্ধারকল্পে চৈনিক শাসকগণ জনসাধারণের উপর অধিকতর শুল্ক স্থাপন করিলেন । ইহাতে সিঙকিয়াং-এর অধিবাসীবৃন্দ আরও বিদ্রোহী হইয়া উঠিল, অগ্নিতে স্কৃত:হুতি পড়িল । এই সময়ে এখানে অনাহূতভাবে আর এক বৈদেশিক রাষ্ট্রের অভু্যদয় হইল। ১৯২৯ সনে যখন চীনের বৈদেশিকগণের নিকট হইতে অস্ত্র-আমদানি নীতি বন্ধ হইয়া গেল তখন সিঙ,কিয়াং ভারতের মধ্য দিয়া যুদ্ধান্ত্র সঞ্চয় করিতে লাগিল । ইহাতে চীন সরকার আশঙ্কিত হইয়া পড়িলেন । ১৯৩৯ সালের শেষ ভাগে স্থানীয় শাসনকৰ্ত্তীর মৃত্যুর পর চীন-কর্তৃপক্ষ স্বাধীন হামি প্রদেশের উপর তাহীদের প্রত্যক্ষ শাসন-জলি বিস্তার করিতে প্রয়াস পাইলেন ; ইহাতে হামি তুর্কীগণ বিদ্রোহী হইয়া উঠিল ও অনায়াসে চীন দৈন্তদলকে পরাজিত করিয়া, মা চুং ইঙ, নামক এক যুবক সেনাধ্যক্ষ-পরিচালিত, কানুস্থ মুসলমান বাহিনী*সহিত সখ্যত স্থাপন করিল। কারাসরের টর্গট মঙ্গোলগণের নিকট সাহায্য-ভিক্ষা করিয়া চীন সেনাবাহিনী বিফলমনোরথ হইল । অসন্তোযের ফলে সিঙ কিয়াং-এ মঙ্গোৰুগণের দুৰ্দ্ধান্ত অধিনায়ক গুপ্তভাবে নিহত হইল। ফলে এই প্রদেশের সমুদয় মঙ্গোল অধিবাসী চীনের প্রতি তাহাজের বগুত। অস্বীকার করিল। ১৯৩১-৩৩ সালের মুসলমান বিদ্রোহীগণ নন। দেশ দখল করিতে লাগিলেন । এই . সময়ে বিপন্ন চৈনিক সরকার শ্বেত রুশীয়গণকে লইয়া এক বিরাট বাহিনী স্বাক্ট করিলেন । তাহাদের সাহাষাকল্পে ম’ফুরিয়ার চীনাগণকে লইয়া আর একটি দুৰ্দ্ধৰ দলেরও অভু্যদয় হইল। এই ৰিশাল সম্মিলিত সেনাবাহিনী সাইবেরির সীমাস্ত-প্রদেশ অতিক্রম করিয়া অগ্রসর হইতে লাগিল । ১৯৩৩ সালের মধ্যেই চীন কর্তৃপক্ষ উত্তরের সিঙুকিয়াঙের অধিকাংশ লুপ্ত রাজ্য আবার স্বাধিকারে