পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ আবৰ্ত্ত (t' অনশন ভ্ৰকুটি হানে। মাথার উপর আবরণ নাই, পাশে দেওয়াল নাই, কোথাও বসিয়া যে ক্লাস্তির নিশ্বাস ফেলিবে उडप्लेगू नमब्र७ शंष्ठ नहेि । ছোট ছেলেমেয়েগুলি অবুঝ ; সময়ে-অসময়ে বীপের কাছে হাত পাতে, আবার করে, না পাইলে রাগ করিয়া কাদিয়া জালাতন করে । অভাবের তীব্র তাড়নায় ঠাণ্ড মেজাজের রবীন কেমন যেন রুক্ষ হইয়া উঠিয়াছে। ধমক ত দেয়ই, চড়টা-চাপড়টাও চলে। বউ অবশু সব সময়েই সুধা বর্ষণ করে না । ছেলেমেয়ের পক্ষ লইয়া দু-কথা বলিতে গেলেই পাশের বাড়ির লোকে কৌতুকে কান পাতিয়৷ জানালায় আসিয়া দাড়ায় । লজ্জিত হইয়া রবীন সরিয়া পড়ে । আগের দিন রাত্রিতে বউ জানাইয়া দিয়াছিল, একটিও পয়সা আর ঘরে নাই, উপার্জন না করিতে পারিলে কাল প্রাতে ইড়ি চড়িবে না । দুশ্চিন্তায় রবীন সারারাত্রি ঘুমায় নাই। সংসারের চিস্তা ছাড়িয়া সে কেবল বাবার কথাই ভাবিয়াছে, মৃত্যুকালে মা যে-সব কথা বলিয়া গিয়াছিলেন সেই সব কথা লইয়া আলোচনা করিয়াছে । তাবিয়া ভাবিয়া স্থির করিয়াছে, অন্তীয় তাহারা কিছুমাত্র করেন নাই । সততার পুরস্কার যেখানে মুথের সামান্ত একটি সাধুবাদেও লোকে উচ্চারণ করিতে চাহে না, সেখানে সাধুতা মূর্খতারই নামস্তির। মা ঠিকই বলিয়াছিলেন, অন্তায় কিছু নাই । যেখানে লোকে নিজের স্তায্য পাওনা বুঝিয়া লইতে চায়, জনমত ধিক্কার দিয়া অমনি কালি ছিটাইতে থাকে। অন্তায় তাহার পিতা কিছুমাত্র করেন নাই। আর যদি অষ্টায়ই করিয়া থাকেন সে অন্তায় তাহীদের সঙ্গে শেষ হইয়াছে কে বলিগ ? সে-জন্তায় বংশপরম্পরায় চলিতে থাকুক। সন্তানদের সে শিক্ষা দিয়া যাইবে, নিজের গ্রাস মুখে তুলিতে নিজের যে-কোন cष्टे (अवथ आहेन-विशङ्ङि थभन किङ्क नरश्) निमनौब्र নত্বে । অক্ষম সাধুতার মত পাপ আর নাই । প্রভাতে উঠিয়া মন বাধিয়া সে ডাক্তারখানায় গির বসিল । প্রথমেই আসিল পরাণের বিধবা স্ত্রী । —আর বাবা, কাল রাত থেকে তেমনি জর, টোয়া টেকুর-রবীন শক্ত হইয়া বলিল, দিনকতক ওষুধ খেতে হবে ; আর পয়সা চাই, বুঝলে ? —পয়সা কোথা পাব, বাবা । দুঃখী মানুষ— —ত হ’লে ভাল ওষুধও পাবে না । ওষুৰ কিনবো কি দিয়ে ? —অগত্যা পরাণের স্ত্রী আঁচলের গ্রন্থি খুলিয়া চারিটি পয়সা টেবিলের উপর রাখিয়া বলিল,—হেই বাবা, আর নেই, দুঃখী মানুষ । ভাল ওষুদ্র দিস বাবা । রবীন টেবিলের পানে চাহিল না, ঔষধ চালিয়৷ , বলিল—চার দাগ—চার ঘণ্টা অন্তর, বুঝলে ? পরাণের স্ত্রী গমনোন্মুখী হইতেই রবীনের ইচ্ছা হইল উহাকে ডাকিয়া পয়সাকটা ফিরাইয়া দেয় । আহা ! দুঃখী মানুষ । কিন্তু সেই মুহূর্তে অন্ত কয়েকটা রোগী আসিয়া পড়ায় সে সঙ্কল্প কার্য্যে পরিণত হইল না । ভাবিল, কাল ফিরাইয়া দিব । রোগীরা রবীন-ডাক্তারের ভিন্ন মুৰ্ত্তি দেখিয়া বিস্মিত হইল, বে যাহা পারিল দিয়া ঔষধ লইল । অবশেষে গাঙ্গুলী-বুড়াকে পয়সার কথা বলিতেই তিনি বলিলেন—তুই বলিগ কিরে, রবে, এক শিশি জল দিয়ে পয়সা নিবি ? রবীন বলিল—ন হ’লে আমার চলবে কিসে? গাঙ্গুলী হাসিলেন-ই, তোর আবার চলবার ভাবন । তোর বাবা যা রেখে গেছে— তীব্রস্বরে রবীন বলিল—পরের ধন কেউ কম দেখে না । ওসব বাজে কথা রেখে, গুমুন, পয়সা যদি দিতে পারেন ত ওষুধ পাবেন, নইলে পথ দেখুন। গাজুলী কুদ্ধ হইয়া উঠিয়া দাড়াইলেন—ই-পয়সা দেবে? পয়সাই যদি দেবি ত তোর জল ওষুধ খেয়ে মরি কেন ? গারে কি আর পাস-করা ডাক্তার নেই ? ভারি অহঙ্কার, বাপ দোকান লুট ক’রে রাজা করেছে বলে আমরা ভয় ক’রে চলবো নাকি ? বলিতে বলিতে তিনি কোমরের কাপড়টা ভাল করিয়া কষিয়া পরিলেন । কাপড় পরিবার সময় ট্যাকে গোটা-কয়েক টাকা ঈষৎ শব্দ করিয়া উঠিল এবং উহারই ধান ভেনে খাই, গরিব পয়সা না দিলে মধ্যে একটি টাকা গড়াইয় নিঃশব্দে পাপোষের উপর পড়িল।