পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

xOOH মমতা নিজে যখন কাহাকেও বরণ করিবে, তখনও কি যামিনী তাহাকে ধরিয়া রাখিতে পারিকেন ? তাহাট কি তিনি চাহিবেন ? না, না, কস্তার বিচ্ছেদে তাহার হদয় *ठषा खांèिद्रा cशरण७ ठिनि ममठांब्र गुरtथद्र १८थ দাড়fইবেন না । সে যদি নারীজীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সৌভাগ্যে সৌভাগ্যবতী হয়, তাহা হইলে যামিনীর নিজের রিক্ত জীবনের লজ্জাও যেন অনেকট। ঢাকিয়া ধাইবে । কিন্তু মমতাকে তিনি আর কাহারও আভিজাত্যের অভিমানের খাতিরে ভাসাইয়া দিতে পারিবেন না । সে দরিদ্রের গৃছে যদি ভালবাসিয়া যাইতে চায়, তাহাতে ঘামিনীর আপত্তি নাই, কিন্তু প্রেমহীন স্বর্ণ-শৃঙ্খল ধেন তাহার গলায় কেহ না পরাইয়া দেয় । কাল যে মানুষগুলির আগমন ঘটবে, না-জানি তাহারা কেমন ? বেশী আশা যামিনীর ছিল না, তবু চোখেও না দেখিয়া একেবারে একটা মত গড়িয়া তুলিতে তিনি ப82:Till) $N988 চাছিলেন না । দেখাই যাক। ছেলে সঙ্গে আদিবে কি না কে জানে ? ছেলের বাপকে দেখিয়া ত বুঝা যাইবে না ছেলেটি কেমন ? যাহা হউক, আজই সন্ধার পর চিঠি লিখিয়া মমতাকে তাহার মামার বাড়ি হইতে আনষ্টিয়া লইতে হইবে । প্রভ} হয়ত ঠাট্টা করিবে, কিন্তু উপায় ত নাই ? এখনও অস্ততঃ বছর-তিনের ভিতর বিবাহের কোনো সম্ভাবনা নাই, জানিলে মমতা বেশী বাকিয়া বসিবে না । সুরেশ্বরকে বেশী চটাইতে এখন ঘামিনীর সাহস হইতেছিল না। ডাক্তারে তাহার স্বাস্থ্য-সম্বন্ধে নানা রকম আশঙ্কা করিতেছিল, এখন তাহাকে অধিক উত্তেজিত না করাই ভাল । এমন সময় নিত্য আসিয়া খবর দিল যে যাবু উঠিয়} গৃহিণীর খোজ করিতেছেন । ঘামিনী বাস্ত হইয়া তাড়াতাড়ি ফিরিয়া চলিলেন । ( ক্রমশঃ } তথাগতের সাধনার একটি দিক ঐনিরঞ্জন নিয়োগী প্রবুদ্ধের ধৰ্ম্ম ও সাধন প্রণালী এখন সভ্যজগতের গবেষণার একটি প্রধান বিষয় । সাৰ্দ্ধ দ্বিসহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে ৰোধিক্রমতলে তিনি যে-আদর্শ লাভ করিয়াছিলেন এবং প্রায় অৰ্দ্ধ শতাব্দী ধরিয়া যে-আদর্শ তিনি সাধন ও প্রচার করিয়াছিলেন তাহার স্বগ্নতত্ত্ব ও অন্তর্নিহিত মৰ্ম্মকথা জানিবার চেষ্টা নানাভাবে করা হইতেছে । দুঃখবাদে তাছার ধৰ্ম্মের আরম্ভ, নিৰ্ব্বাণে তাহার পরিণতি—এই ভাবেই স্থলতঃ বুঝতে ও বুঝাইতে চেষ্ট সাধারণতঃ দেখা যায়, কিন্তু তাহার দুঃখবাদ বা নিৰ্ব্বাণ ইহার কোনটির অর্থই যে নিশ্চিত ভাবে কেহ এখনও স্থির করিতে পারিয়াছেন তাহা মনে হয় না । তিনি নিজে যে-সত্য প্রচার করিয়াছিলেন যদি কেবল তাঁহাই হুনিশ্চিত জানা আমাদের পক্ষে সম্ভব হইত, তাহা হইলেও অন্ততঃ তাহার আদর্শ ও সাধনার বিষয়ে আমরা অনেকটা সন্দেহখুন্ত হইতে পারিতাম, কিন্তু র্তাহার সাধনপন্থা ও আবিষ্কৃত সত্যগুলির সূক্ষ্মানুস্বল্প ব্যাখ্যা ও তাহার সাক্ষাৎ শিষ্য ও পরবর্তী অমুচরদিগের বহু শতাব্দী বিস্তৃত দার্শনিক টীকা ও জল্পনা-কল্পনা তাহার প্রকৃত শিক্ষাকে এত অধিক পরিমাণে জটিল করিয়াছে যে তাহার ধর্মের স্বরূপ বুঝিতে পারা এখন একটি, মহা সমস্তার বিষয় । অদ্ভুত মেধাসম্পন্ন মনস্বী শাক্যসিংহ যে সাধনের বস্তু সৰ্ব্বসাধারণের জন্ত প্রচার করিয়া গেলেন, তাহার শিষ্যদের পাণ্ডিত্যের উর্শনভিরূপ তর্কজালে লোপ পাইরা তাক পুনরায় কৰ্ম্মকাণ্ডে পৰ্য্যবসিত হইল এবং ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্মের ষে ক্রটি দূর করিবার জন্ত প্রধানতঃ র্তাহার চেষ্টা ছিল, সেই বহিরঙ্গ ক্রিয়াকলাপই নুতন ভাবে আসিয়া তাহার পুরুষকারের ধৰ্ম্মকে জড়ম্বত,ব করিয়া দিল ।