পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞানের পরিভাষা শ্ৰীবীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বাঙ্গালা ভাষায় বিজ্ঞান আলোচনা হইতেছে অনেক দিন হইতেই। কিন্তু গত দুই তিন বৎসরের মধ্যে ইহা আশ্চর্যারূপ প্রগার লাভ করিয়াছে। বর্তমানে কেবল মাত্র বিজ্ঞান আলোচনার জন্তই একাধিক বাঙ্গালা পত্রিক প্রকাশিত হইতেছে এবং সাধারণ পত্রিকাগুলিতেও জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক <थयक निम्नभिड (धकां* कब्र éथांब्र झाॉ*ांन श्हेब्रां দ্বীড়াইয়াছে। ফলে বাঙ্গালী ভাষায় বহু বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ লিখিত ও প্রকাশিত হইতেছে। ইহা ব্যতীত, সম্প্রতি কলিকাতা-বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা পর্যন্ত সকল শিক্ষণীয় বিষয় বাঙ্গালা ভাষায় শিক্ষা দিবীর প্রস্তাব করিয়াছেন এবং বিজ্ঞান এই সকল শিক্ষণীয় বিষয়ের অন্তর্গত হওয়াতে বৈজ্ঞানিক পরিভাষা ইত্যাদি রচনার জন্ত কমিটি নিযুক্ত হইয়াছে। এই সময়ে পরিভাষা-রচনা-সম্পর্কে সম্যক আলোচনা হওয়ার প্রয়োজন আছে । পরিভাষা নিভুল, সরল এবং যতদূর সম্ভব সুপ্রচলিত হওয়া একান্ত আবশুক কিন্তু এ-বিষয়ে যথোচিত মনোযোগ দেওয়া হইতেছে বলিয়া মনে হয় না । পারিভাষিক শব্দের নির্দোষ এবং যথার্থ অর্থ-তোতক হওয়ার উপরে বিজ্ঞান-সাহিত্যের সাফল্য সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে । Calcula৪-উদ্ভাবক প্রতিভাশালী গণিতবিৎ লাইবনিৎজ, এ সম্পর্কে স্বাহ বলিয়াছেন, তাহ বিশেষরূপে প্রণিধানযোগ্য। দুরূহ গাণিতিক সমস্তার সমাধানে calculus-এর অসামান্ত সাফল্যের কারণ নির্দেশ করিতে গিয়া লাইবনিৎজ, বলিয়াছেন—“The terminological expressions in mathematics are most helpful—when they express the inmost nature of the matter shortly,–and as it were—give a picture of it.”. In this way the labour of thought is reduced to a wonderful manner.” —“গণিত-বিজ্ঞানে, পরিভাষা বদি যথাযথ হয়, অর্থাৎ শব্দগুলি বিষয়-বস্তুর অন্তর্নিহিত ভাৰ সংক্ষেপে প্রকাশ করে এবং সঙ্গে সঙ্গে ইহার একটি চিত্র চক্ষের সম্মুখে উপস্থিত করে, তাহা হইলে ইহারা অতিশয় কাৰ্য্যকরী হয় ।...এইরূপে ইহাদের সাহাষ্যে মানসিক পরিশ্রম অভাবনীয়রূপে লঘু হইয় পড়ে।” এই কথা বিজ্ঞানের সকল শাখা সম্বন্ধেই সমানভাবে প্রযোজ্য । - লাইবনিৎজের এই বাক্য যে সম্পূর্ণ সত্য, তাহ সহজেই দেখিতে পাই । তড়িৎ-বিজ্ঞানের পরিভাষা-সম্পর্কে জনৈক ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনীয়ার লেখককে বলিয়াছিলেন, যে, কেবল মাত্র পরিভাষার তালিকাটি পাঠ করিয়াই তড়িৎ-বিজ্ঞান সম্বন্ধে তাহার অনেক অস্পষ্ট ধারণা পরিষ্কার হইয়াছে। পরিভাষা সম্পর্কে পূৰ্ব্বোক্ত কথাগুলির উপর বারংবার জোর দিবীর কারণ আছে। প্রকৃত পারিভাষিক শব্দের এই অস্তর্নিহিত ক্ষমতা সম্বন্ধে অনেকটা ঔদাসীন্ত লক্ষিত হয় । শ্রেষ্ঠ মনীষীগণের রচনাতেও যখন যথার্থ পরিভাষার অভাব দেখিতে পাই, তখন বাংলা ভাষা ও বাঙ্গালী পাঠকের দুর্ভাগ্য স্মরণ করিয়া দুঃখ হয়। পারিভাষিক শব্দের এই অন্তর্নিহিত শক্তি একটি দৃষ্টাস্ত লইর আলোচনা করিলে স্পষ্ট হইবে। দৃষ্টান্তটি আচাৰ্য্য প্রফুল্লচক্সের নাম-সম্বলিত একটি নিবন্ধ হইতে গৃহীত (প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৪১ ) । রেডিয়াম-আবিষ্কারক মাদাম কুরির জীবনী-প্রসঙ্গে এই প্রবন্ধে radio-activityর তর্জমা করা হইয়াচে—“স্বতঃ-জ্যোতিৰ্ম্ময়" । রেডিয়ম ও woją się w radio-active qg qĘts »f{wtt radiantenergy বিকীর্ণ হইতেছে সত্য ; কিন্তু এই শক্তি দৃশ্যমান নহে। এ কথা উল্লিখিত প্রবন্ধেও কয়েক লাইন পূর্বেই বলা হইয়াছে। বাংলা ভাষার জ্যোতি’ শব্দটি দৃপ্তমান êon witnts (visible radiant energy) atof ব্যবহৃত হয় ; ইহার ব্যুৎপত্তিগত অর্থও তাঁহাই। তৎসৰেও radio-activityT Tkvtl TS:-æJtfðrýz ETTtte l fsU