পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগষাঢ় হরীর দোকানে বিক্রয় করিতে গেলে সবাই ভাবিবে সে fর করিয়াছে । লোকটি চশমা পরিষ্কার করিয়া সোনাট এপিঠ-ওপিঠ :লি করিয়া দেখিল । অনেক গবেষণার পর এই মীমাংসা রিল যে দু-শ টাকার সোনায় যদিই-বা এক-শ টাকার দি থাকে, তবুও ত এক-শ টাকার সোনা নিশ্চয়ই আছে । সুতরাং অনেক দরকষাকষির পরে নটবরের তের fকা রোল্ফগার হইয়া গেল । ছেলেটি দুই দিন হইল ভাত খাইয়াছে। নটবর তাহাকে ঙ্গে লইয়া বাহির হইল। থোকার হাত ধরিয়া সে চলিল হরের অস্তরের দিকে—সহস্ৰ লোকের কোলাহল-মুখরিত Įstał ! বড় রাস্তার ধীরে একটি লোক হিন্দী, উর্দু, ইংরেজী ও ংলা ভাষার অদ্ভূত মিশ্রণে উচ্চৈঃস্বরে বক্তৃতা দিতেছে বং কি-কি সব রকমারী যাহ্ববিদ্যা দেখাইতেছে আর গহাকে কেন্দ্র করিয়া বৃত্তাকাররূপে ঘিরিয়া রহিয়াছে অসংখ্য }ংমুক প্রাণী । নটবর ভীড়ের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল । ছেলের গনের কাছে চুপিচুপি কি-যেন বলিয়া শেষে বলিল,—আর আমি যদি তোকে এক-আধটু মারিও তবুও কিন্তু কিছু নে করিস না তুই । খালি খুব ক’রে র্কাদিস— বুঝলি ? জনতার মধ্যে যে-ব্যক্তির প্রতি ঈঙ্গিতে নটবর ছেলের ষ্টি আকর্ষণ করিল সে এক জন মুত্র তরুণ । তাহার সাজগাজের মধ্যে বেশ একটা পারিপাট্য দেখা যায়। লোকটি ক্ষমালে মুখ ঘষিতে ঘষিতে শুেন-দৃষ্টিতে বাজীকরকে লক্ষ্য করিতেছিল। থোকা লঘুগতিতে ভীড়ের মধ্যে লোকটির ঠিক পাশে আসিয়া দাড়াইল । মাথাটি এপাশ-ওপাশ করিতে করিতে লে-ও যেন বাঙ্গীকরকেই দেখিতে চায় । তীর-কম্পিত দৃষ্টিতে একবার পিছনে চাহিল। নটবর দূর হইতেই চোক টিপিয়া তাহাকে ভরসা দিল । পাঞ্জাবীর তলেই ফতুয়া । ছেলেটি বাজীকরের প্রতি দৃষ্টি রাপিয়াই একবার অতি ধীরে তাহার হাত বাড়াইল । *८ब्रहे नांब* श्रृंक ७ दिशांग्न कठिं झांडछि छैiनिब्र निल পলাতক ve్సe مكصعسعسع একেবারে নিজের বুকের নিকটে। লোকটির দিকে একবার চাহিয়া দেখিল । না, সে তাহার আচরণ মোটেই লক্ষ্য করে নাই । আস্তে আস্তে বাহিরে আসিল । নটবর হাসিতে হাসিতে তাহার নিকটে আসিয়! বলিল,—কই দেখি ! কি নিলি ? খোকা লজ্জিত ভাবে বলিল,—কিছু নিই নি । আমার ভয় করছে বাবা ! নটবর ভয়ানক রাগিয়া উঠিল। মুখ বিকৃত করিয়া ছেলের স্বরের অনুকরণে বলিল,—ভয় করছে ৰবি ! কেন ? আমি রয়েছি কি করতে ? পরেই আবার ছেলের কাধে মেহের সহিত মৃদ্ধ বাঁকুনি দিয়া এবং গলার স্বর যথাসাধ্য কোমল করিয়া বলিল,—ষা বাবা ! তোর কিছু ভয় নেই। আমিই ত আছি—এই এখানেই । জর থেকে উঠলি, এখন ত আর তোর উপোস একবেলাও সইবে না । খোকা আবার গিয়া ছাড়াইল তাহার পূৰ্ব্বের সেই জায়গাটিতেই। তাহার সারা মুখ দিয়া যেন আগুন বাহির হইতেছে। পা-দুটিকে সে কোন রকমেই সোঙ্গা করিয়া শাসনে জানিতে পারিতেছে না । অলক্ষ্যে থাকিয়া কে-ধেন তাহার জিবৃটিকে টানিয়া রহিয়াছে। অবশেষে সে লোকটির জামার তলায় ধীরে তাহার হাত প্রবেশ করাইয়া অসীম ক্ষিপ্রতার সহিত ফতুয়ার পকেট হইতে নিঃশব্দে মনি-ব্যাগটি অপসারিত করিয়া লইল । পাশ হইতে কে এক জন চেঁচাইয়া উঠিল—আরে, রে । চুরি করলে ষে । আর যায় কোথায় 1 ছেলেটিকে সকলে বিরিয়া ধরিল। কিল চড়ও সমানে চলিতে লাগিল। কয়েক জন গেল পুলিস ডাকিতে। কোথা হইতে একটি লোক ছুটিয়া আসিয়া ছেলেটিকে দারুণভাবে মারিতে মুরু করিলউলটাইয়াপালটাইল,—এই শ–আমারও সেদিন পকেট মেরেছিল । সে-দিন ছেড়ে দিয়েছিলাম । আবার ব্যাট এসেছিল এই কাজ করতে ? না, না! পুলিসে দেবেন কেন ? এসব ছেলেকে পুলিলে দিলে কিসম্য হবে না ।