পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগষাঢ় কি জমি বলছিলাম ? অ’ চনা-সাহেবের সার্টিফিকেটের কথা—সে ষে কত প্রশংসা ক’রে লিখেছেন, তা আর কি বলব। সর্টিফিকেটখনি হয়ত ট্রাঙ্কেই আছে, দেখি, আপনাকে এনে দেখাতে পারি কিনা ৷ শরদিন্দু বাবু মেয়-কামরার দরজায় গিয়া বলিলেন,-- ঘুমুচ্ছ নাকি ৷ একবার শুন নিকিন এদিকে। এক জন বর্ষীয়সী স্থলাঙ্গী মহিলা চোখ মুছিতে মুছিতে রাগত ভাবে দোর-গোড়ায় আসিলেন। —টাঙ্কটা খুলে আমার সাটিফিকেটখানা বার করে fদতে পারবে ? —কি জানি, তোমার ছাট ফাট কোথা আছে আমি কি ক’রে জানূব । ইংরেজী বলবার বুঝি আর জায়গা পাও না ? এটা বাড়ি-ঘর নয়, ষ্টীমার, চুপ ক'রে শুয়ে পাক গে, আর জালিও না । —এক জন ভদ্রলোককে দেখাতে হবে যে, দাও না ওটা খুল। - কি জালাতন, এখন ওসব খোলা যায় নাকি ? ইচ্ছে হয়, তুমি ভেতরে এসে খুজে নাও । --ত কি ক’রে হয় ? -ठब न1 श्ब्रड भब्र cग घाँ७, पञांमि अtब्र ७षांtन দ্বাড়িয়ে থাকৃতে পারব না । এৰাৱ শরদিন্দু বাবুর জঙ্গ সত্য সত্যই একটু মায়া কইল । বিষয়ত চাকিবার জষ্ঠ শরদিন্দু বাৰু জোর করিয়া হাসিয়া বলিলেন—এক্সকিউজ মি টুডে, কাল সকালে আপনাকে ওটা দেখাব । ট্রাঙ্কের তল থেকে এখন ওটা বাৰু করা আর এক হাঙ্গাম-বিশেষ । —কেন আপনি অত ব্যস্ত হচ্ছেন? আপনার কাছ থেকে ত সবই শুনলাম, আবার দেখে কি হবে ? --না, না, বলেছি যখন দেখাৰই । আচ্ছা, আপনারাও কুশীন, কেমন ? —t 1 –এই কুলিন ৰামুনের মেয়ে নিয়ে আমি একটা কৰিভা লিখেছিলুম। কবিতাটা বেশ হয়েছিল, কিন্তু কোন সম্পাদকই ছাপলেন না । প্রত্যেক কাগজে পাঠিয়েছিলুম। অথচ

هو متحمسوني به

আটাশ ঘণ্টার জন্য סיצ8 একটা উত্তর পর্য্যস্ত পাই নি। অবিশুি আমরা ত আর প্রতিভাবান কবি নই, যে, যা লিখব তাই-ই উৎকৃষ্ট কাব্য হবে, কিন্তু তবু আমাদের পরিশ্রমের ত কিছু মুল্য দেওয়া উচিত । —তা ত নিশ্চয়ই— এই ত আপনি ঠিক বুঝতে পেরেছেন। আচ্ছা দেখুন, আপনার কাছে একটা পরামর্শ জিজ্ঞেসূ করি। ঐ কবিতাটা আর নূতন কয়েকটা কবিতা লিখে ছোটখাট একথান বই ছাপান কি ভাল ? -भन्म कि । —আচ্ছ বেশ আপনাকে কিন্তু সাহায্য করতে হবে। আপনার উচ্চশিক্ষিত, বইখানার উপর প্রয়োজনবোথে যদি একটু-আধটু রিটাছ ক’রে দেন, তাহলেই ৰাজারে চলে যাবে । --আপনি কিন্তু ভুল কচ্ছেন, আমি কবিতা লিখতে জানা ত দূরের কথা, বুঝতেও পারি না । —ও ব’লে আমার ঠকাতে পারবেন না, আপনার মত ধার হটে চোখ আছে, তিনি কবি না হয়েই পারেন না । ছা, চোখ ছিল আমার জেঠামশায়ের—ওরকম দ্বিতীয় একজোড়া চোখ আমি আর দেখি নি। তার চোথের দিকে একবার চাইলে, কার সাধ্য ছিল মাথা নামায়। ৰাস্তবিক তিনি এক জন মহাপুরুষ। আর বসিয়া থাকিতে না পারিয়া কনুইয়ের উপর ভর করিয়া হেলান দিলাম। শরদিন্দু বাৰু বলিয়। যাইতে লাগিলেন— ওরকম চরিত্র আজকাল দেখা যায় না । অল্পবয়সে তিনি সহজেই খারাপ হতে পারতেন। তিনি বলতেন, র্তার সমস্ত ধেীবনটা কেবল প্রলোভনের ভেতর দিয়ে কেটেছে। প্রলোভন মানুষের কি সৰ্ব্বনাশটাই না করতে পারে ? চোখের পরে আমার নিজের বন্ধুকেই রাজার তুলাল থেকে পথের ভিখিরী হ’তে দেখলাম। আপনি একেৰাৱে শুয়ে পড়লেন যে, উঠে বহন ; এখন পর্য্যস্ত বৰূশাও ত ছাড়ায় নি। মাদারীপুর পর্যন্ত চলুন জেগেই ৰাষ্ট্র, তার পর সেখান থেকে কিছু মিষ্টি থেয়ে ঘুম দেওয়া ধীৰে ।