পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় বাঙালীর চরিত্র 8$వి বাঙালীর গড়া তিনটি প্রতিষ্ঠান লওয়া যাক । কাহারও নিনা করিবার জন্ত এ আলোচনা করিতেছি না, বাঙাল্পীচরিত্রের পরিণতি বুঝিবার জন্তই আমাদের এ আলোচনার প্রবৃত্ত হইতে হইয়াছে। বাঙালীর গড়া নামকরা <aडिर्छांटनब्र भ८था श्रांछ कfजकांडांब्र विषंबिछांलग्न ७ीवर কংগ্রেসী করপোরেশন ও বোলপুরের শাস্তিনিকেতন ধরা যাইতে পfরে। ভাল করিয়া পরীক্ষা করিলে এ তিনটির মধ্যে ব্যক্তিত্ববাদী, অসামাজিক, বাঙালীর হাতের পরিচয় পাওয়া ধায় । বিশ্ববিদ্যালয়ই হউক আর করপোরেশনই হউক, তাহা মোটামুটি এক-এক জন মহা শক্তিশালী বাঙালীর কীৰ্ত্তি ৷ আশুতোষ, চিত্তরঞ্জন অথবা রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত সকলেই চরম ব্যক্তিত্ববাদের উপাসক। র্তাহার যে-সকল প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তুলিয়াছেন, তাহা অসংখ্য লোকের বহুমুখী ব্যক্তিত্বের সম্মিলিত প্রকাশ নয়। অর্থাৎ তাহ কোনও সমাজের দ্বারা গড় জিনিষ নয় । যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের নাম করা হইয়াছে, তাহারা একান্ত ভাবে ব্যক্তিবিশেষের স্থষ্টি । অন্ত যাহারা আশুতোষ চিত্তরঞ্জন বা রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কাজ করিয়াছেন, তাহার নিজেদের ব্যক্তিত্বকে সম্পূর্ণরূপ বাদ দিয়া কাজ করিয়াছেন । নয়ত প্রতিষ্ঠান-চালনায় এই সকল মহাপুরুষের পাশে বেশী দিন তাহাদের স্থান হয় নাই । ফলতঃ প্রতিষ্ঠানগুলি একান্ত তাবে অtশুতোষ, চিত্তরঞ্জন অথবা রবীন্দ্রনাথের প্রতিচ্ছবি হইয়া দাড়াইয়াছে, এবং এই তিন জন মহাপুরুষই মজ্জায় মজ্জায় ইংরেজী আমলের ব্যক্তিত্ববাদী বাঙালী । গ্রামের মধ্যে একবার একটি সভায় দেখিয়াছিলাম যে, রাহার কার্য্যারম্ভের পরে আসে তাহারা সমস্ত সভার একটা সম্মিলিত সত্তাকে স্বীকার করিয়া লয় । দেরি করিয়া আসিলে তাঁহার সভাকে সাষ্টাঙ্গে প্ৰণিপাত করিয়া পরে তাহার অঙ্গীভূত হইয়া যায়। কিন্তু শহরে বাঙালীর সভায় দেখিয়াছি যে বাহারা দেরিতে আসেন, এমন কি র্যাহার সভার মধ্যেও আছেন, তাহারা সভার কোন স্বতন্ত্র সত্তা আছে বলিয়া মানেন না । বাহিরে যে ষদ্ধ, মৰু অথবা রামের সঙ্গে তাছাদের অলিপি ছিল, সভার মধ্যে তাহার ধে আর বন্ধ মধু রাম নাই, বরং একটি বৃহৎ সমাজের আদি স্বরূপ বিরাজ করিতেছেন, এ-কথা তাহারা ভুলিয়া বনি । সভার মধ্যে থাকিয়াও ব্যক্তিগতভাবে তাহারা পরস্পরের সুখ-দুঃখ লইয়া আলোচনা করেন । অথচ এমন হইবার কোনও কারণ নাই । সভাস্থ আমি এবং বাহিরের আমির মধ্যে ষে আকাশপাতাল প্রভেদ আছে ইহ স্বীকার করাই সমাজ-জীবনের মুলকথা । বোম্বাইয়ে একদিন ট্রামে ঘাইতেছিলাম এমন সময় এক ব্যক্তি চীৎকার করিয়া অপর এক জনের সঙ্গে কথাবার্তা বলিতেছিলেন। ট্রামের কণ্ডাক্টর তৎক্ষণাৎ তাহাকে ফিসফিস্ করিয়া বলিয়া গেল, “বাৰু, এটি আপনার বাড়ি নয়, আরও দশ জন আছেন।” অথচ এরূপ ঘটনা বৰ্ত্তমান কলিকাতা শহরে কল্পনা করাও বোধ হয় কঠিন । ট্রামে, বাসে, রেলগাড়ীতে যে মুহূৰ্ত্তে আমি উঠিলাম সেই মুহূৰ্বেই বে আমি আর আমি নই, বরং একটি ক্ষুদ্র সমাজের সভ্য, এ-কথা সৰ্ব্বদা ভুলিয়া আমরা অন্দরমহলের আমির মত আচরণ করি। বাঙালীর ব্যক্তিত্ত্ববাদ-প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে তাহার এই অন্দরমহলের জীবনই বড় হইয়া উঠিয়াছে । বাঙালীর কংগ্রেসে, করপোরেশনে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সৰ্ব্বত্রই আসল কাজকৰ্ম্ম অন্দরমহলে ঘুটিয়া থাকে । ইংরেজের অনুকরণে বে-সকল মিটিং করা হয়, সেখানে কোনও সমস্তfর সমাধান হয় না। অন্দরমহলে যে সমাধান আগে হইতে ঠিক হইয়া আছে, তাহাই মিটিঙে পাস করাইয়া লণ্ডয়া হয় । তাহাতে অস্ততঃ বাহিরের জগতের কাছে আমাদের সামাঞ্জিক ঠাট বজায় থাকে। রবীন্দ্রনাথ, আশুতোষ অথবা চিত্তরঞ্জনের হাতে পড়িয়া এরূপ অন্দর-মঙ্কণী অভ্যাসের দ্বারা হয়ত বিশেষ কোনও ক্ষতি হয় নাই, কিন্তু তাহাদের পরে, তাহাজের অপেক্ষ নীরেস লোকের হাতে পড়িলে যে ঐ সকল প্রতিষ্ঠানের দ্বারা দেশের প্রভূত ক্ষতি হইবে না, তাহ কে বলিতে পারে ? তিন জনেই সমাজ নামক কোনও অশরীরী বস্তুকে সন্মান করেন নাই। তাঙ্কার যে দেশের প্রভূত কল্যাণসাধন করিয়াছেন এ-কথা সত্য, কিন্তু ৰাঙালীকে নূতন সমাজ বাধিতে হইলে যে-সকল সামাজিক গুণ আয়ভ করিতে হইবে, যেগুলি ইংরেজ শাসনের পূৰ্ব্বে ছিল অথচ এখন লোপ পাইয়াছে, যেগুলি ইংরেজের নিজের মধ্যে আছে এবং ইংরেজ-জাতিকে প্রভূত শক্তিদান করিতেছে,