পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় বিদ্যমান তাহাই কবিবরের জীবনের মহত্তম ঘটনা । সৰ্ব্বাংশে পাশ্চাত্য-মুখ যে মধুসূদন, র্তাহার মাতৃ-ভাষাকে একাত্ত তুচ্ছ ভাবিয়া ঘৃণার সহিত বর্জন করিতে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত হয়েন নাই –পরে, প্রতিভাগ্নির উত্তেজনায় যিনি এ-দেশে থাকিতেই প্রাচ্য ও প্রতীচ্য নানা ভাষার, নানা নাহিত্যের সহিত সুপরিচিত হইবার নিমিত্ত কোন কষ্টকেই কষ্ট জ্ঞান করেন নাই –এবং ভৎপরে এই দেশেই র্যাহার পারস্বত-প্রতিভা ইংরেজী-ভাষার বাহনেই স্বপ্রকাশ করিতে আরম্ভ করিয়ffছল, এবং করিতে থাকিত, যদি না ঘটনা-চক্রের মধ্য দিয়া বঙ্গমতা তাহার এই অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন, অথচ পুর্ণমাত্রায় পথভ্রষ্ট সন্তানটিকে নিজ ক্রোড়ে টানিয়া না লইতেন । যাহা হউক, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরিল —মধুসূদন tঙ্গলা-সাfহত্যে মনোনিবেশ করিলেন । ইহাই মধুসূদনের औषप्नब्र मझ्खम घछेन । ठिनि ८ष ७धू कृखिवांटमन মায়ণ ও কাশীরামের মহাভারত পড়িয়াই ক্ষান্ত ছিলেন, tহা নছে ; জয়দেবের “গীতগোবিন্দ” বিদ্যাপতি প্রমুখ ‘বৈষ্ণব পদাবলী,” কবিকঙ্কনের "চণ্ডী,” ভারতচঞ্জের ‘অন্নদামঙ্গল” ইত্যাদি তাৎকালিক বাজniসাহিত্যক্ষেত্রে তনি রস-লোলুপ চিত্তে পরিভ্রমণ করিয়াছিলেন ; ভাষার প্রমাণ তাছার কাব্যাদিতে, বিশেষতঃ “চতুর্দশপদী কবিতালী’তে মুস্পষ্ট-ভাবে পাওয়া যায় । এইৰূপে প্রস্তুত টুতেছিলেন বলিয়াই তিনি পাইকপাড়ার রাজ-নিকেতনে ব-প্রভিষ্ঠিত রঙ্গালয়ে প্রত্নাবলী” নাটিকার অভিনয় উপলক্ষে বর.গৌরদালের কাছে ঐ পুস্তকখানির অপ্রশংসা প্রকাশ রিতে এবং তিনি নিজেই উছা অপেক্ষণ ভাল নাটক ঙ্গিালীয় লিখিতে পারেন, এৰূপ গৰ্ব্বোক্তি করিতে সাহসী ইয়াছিলেন। তাছার পর হইতেই মধুসূদনের কাব্য-প্রভিভ। তি স্বল্প-কাল মধ্যেই কেমন সমুজ্জ্বল ভাবে স্ব-প্রকাশ করিয়া ifৎকালিক সুধীমণ্ডলীকে চমৎকৃত করিয়া তুলিয়াছিল, সেথা এথানে না বলিলেও চলে। “মেঘনাদ-বধ” লিখিতে লখিতে অমৃতের অভিলাষী মধুসূদন সুস্পষ্ট-ভাবে বুঝিরাছিলেন , ঐ কাব্যখানিই তাহাকে অমর করিবে । তিনি আরও বিয়াছিলেন যে, বঙ্গ-সরস্বতীর পদাম্বুজে শরণ লওয়াতে tহার কৃপাই উহার একমাত্র কারণ । তখন তিনি arge=btు মধুসূদনের বঙ্গ-ভাষা ৪২১ হর্ষেীৰেল চিত্তে কৃতাঞ্জলি হইয়। তাছার মনোভাবের এই শুভ পরিবর্তনটি মুলার অলঙ্কারে মণ্ডিত করিয়া বঙ্গসরস্বতীর ঐচরণে নিবেদন না করিয়া থাকিতে পারি্লন না। উপরি উক্ত চতুর্দশপদী কবিতাটিই ঐ নিবেদন এবং উছাই র্তাহার রচিত প্রথম চতুর্দশপদী কবিতা । ইহার পরে, সঙ্কল্পিত কাব্যাদির মধ্যে কয়েকখানি লিখিয়া এবং অন্তান্তগুলি না লিখিয়াই অতি ব্যস্তে তিনি ইউরোপ-যাত্র করেন, সেখানে প্রবাসকালে তিনি সঙ্কল্পিত ‘চতুৰ্দশপদী কবিতাৰণী” লিখিয় তাহার অতি সংক্ষিপ্ত কবি-জীবন সমাপ্ত করেন । কিন্তু তাহা হই লও এ চারি বৎসরের জীবনই তাছাকে অমর করিয়াছে। ইহার মুল কিন্তু পরিত্যক্ত বঙ্গ-সরস্বতীর ক্রোড়ে তাহার পুনরাগমন । ভাই বলিয়াছি, ঐ ঘটনাটিই তাহার কবিজীবনের মহত্তম ঘটনা । “মেঘনাদ-বধ” রচনার সময়ে তিনি উহা মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে অনুভব করিয়াfছলেন। তাই দেখিতে পাই ঐ মহাকাব্যথানি শেষ করিয়াহ তিনি কবি-মাতৃভাষা লিথিয়া মনের আবেগ মিটাইয়াছিলেন। পরে উহাই পরিমাজ্জিত-রূপে র্তাহার শেষ কাব্যে প্রথম স্থান পাইয়াছে । দুঃখের বিষয়, অলঙ্কারমণ্ডিত ঐ কবিতাটির অলঙ্কার উন্মোচন না করিয়া শুধু কাব্যার্থ গ্রহণ করাতেই অনেকের কাছে উছার দুব্যাখ্যার স্বষ্টি । উহার কাব্যার্থ গ্রহণে पञांमाख्-जून्नड पञर्ष ठ ह्ब्रझे नों ? दब्र६ ५हे थांब्र*ांदे एझ cरुকবি বজালা-ভাষাকে তুচ্ছঙ্গনে নানা পর-ভাষা শিক্ষার জন্ত দেশে দেশে ভ্রমণ করেন ; পরে বঙ্গ-কুল-লক্ষ্মী স্বপ্নে তাছাকে স্বদেশে ফিরিতে এবং স্বদেশের ভাষা ও সাহিত্য আলোচনা করিতে, আদেশ করিলে, তিনি সেই আদেশ পালন করেন এবং দেখেন যে, বঙ্গ-ভাষার সাহিত্য-ভাওরি মহামূল্য রত্নাদিতে পূর্ণ। বলাই বাহুল্য, ঘটনার বিরোধী এই ব্যাখ্যা একাত্তই কু-ব্যাখ্যা । এই কু-ব্যাখ্যার ভ্রমেই অনেক শিক্ষিত প্রবীণ ব্যক্তির মুখেও প্রশ্ন শুনিতে হয়,—“মধুস্থান কি বিলাত থেকে ফিরে এসে মেঘনাদ-বধাদি কাব্য রচনা করেন ?” বড়-বড় ছুইখানি জীবন-চরিত প্রচলিত থাকিতেও আমাদের