পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ কারণ-মাণিকপুর 9S আমাকে স্ত্রী ও সন্তান লইয়া তাহার দয়ার ভিখারী হইতে বলেন ? ‘না ; কিন্তু প্রথমে তুমি পৃথিবীর প্রথম জনক-জননীর সমুথে প্রতিজ্ঞ কর, আইভিকে গ্রহণ করিবে।’ রবার্ট যেন মন্ত্রমুগ্ধ হইয়া গিয়াছিল ; প্রতিবাদ করিবার শক্তি ছিল না। সে আইভিকে ধরিয়া তুলিল এবং ভক্তিবিনম্রকণ্ঠে কহিল, ‘প্রতিজ্ঞা করিলাম, আমি মিস আইভি ফ্রেজারকে পত্নীৰূপে গ্রহণ করিব।” তাহারা বাহির হইয়া যাইতেছিল ; বাবু মুখেঞ্জলাল বলিলেন, "াড়াও । তিনি বালিশের নীচ হইতে তিন হাজার সাত শত সাত টাকা তিন আনার চেকখানি বাহির করিলেন এবং উহার পুষ্ঠে লিখিলেন, “মিসেস আইভি পিটারকে দেয়।” চেকখানি আইভির হাতে দিয়া তিনি বাহির হইয়া গেলেন। তখন গির্জার প্রোতঃকালীন ঘণ্ট বাজিতে লাগিল । 擊 © © © ‘লো-লাইনস-এর বাসিন্দারা সেলিন হইতে বিশালবপু কৃষ্ণকায় ভারতীয় ব্যক্তিটিকে আর দেখিতে পাইল না। কিন্তু "আসানগুলের আবালবৃদ্ধবনিতা দেখিল ইথেন্দ্রলাল বাবু তেমনি পরম নিশ্চিন্তে ডিভিসনাল সুপারিন্টেণ্ডেন্টের আপিলে যাতায়াত করিতেছেন। কেহ জিজ্ঞাসা করিবার পূৰ্ব্বেই তিনি বলিতেন, "অীরে ভাই, আমি ব্রাহ্মণ-সন্তান, দেশ পশ্চিমে ; আমার কি পোষায় এই ভুতের বেগার ” কারা-মাণিকপুর । ঐযোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত ইতিহাসপাঠক মাত্রেই কারা-মাণিকপুরের কথা জানেন । এলাহাবাদ হইতে কারার দূরত্ব একচল্লিশ মাইল। এই কারা একদিন ঐশ্বৰ্য্যশালী সুন্দর নগর ছিল, আজি তাহt ধ্বংসে পরিণত হইয়াছে। এই করে। শহরেই মুলতান আলাউদ্দীন খালুঞ্জী তাহার খুল্লতাত ও শ্বশুর জলালউদ্দীন খালদ্বীকে হত্যা করিয়াছিলেন। এলাহাবাদ আসিয়া অনেক বন্ধুবান্ধবের কাছে কারার কথা শুনিয়াছি, অনেক কিছু ওখানে দেখিবার আছে জানিয়া উৎসাহিত হইয়াছি, কিন্তু সঙ্গী জোটে নাই, সুযোগও মিলে নাই, কাজেই চুইচপি, বসিয়াছিলাম,—ভাবিয়ছিলাম, একদিন একাই সেখানে যাইব । এইবার একদিন সুযোগ ঘটিল। বন্ধুবর ঐযুক্ত নলিনীকান্ত সেন এলাহাবাদ হিসাববিভাগের এক জন উচ্চ রাজকৰ্ম্মচারী। নলিনী বাবুর বেড়াইবার উৎসাহ আছে, শক্তিও আছে । শিকারের প্রতিও তাহার অদম্য অনুরাগ। এতগুলি গুণ থাকা সত্বেও ॐiरॉब्र ८कांथN७ वङ्ग-धकü धाeब्र श्ञ्च न । cश्वांब्र নলিনী বাবুর শুীলিকাপতি ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার ভূতপূৰ্ব্ব সভ্য ঐযুক্ত ক্ষিতীশচন্দ্র নিয়োগী মহাশয় পূজাবকাশে এলাহাবাদে বেড়াইতে আসিয়া নলিনী বাবুৰ অতিথি হইয়াছিলেন । আমি ক্ষিতীশ বাবুকে বলিলাম— চলুন একদিন কার বেড়াইয়া আসি ৷ ক্ষিতীশ বাবুর দেখিলাম এ-বিষয়ে অসাধারণ উৎসাহ ! এইরূপ উৎসাহ ও উদ্যম না থাকিলে কি সিমলা-দিল্লী করিতে পারিতেন, না বজেট লইয়াই তর্কযুদ্ধ করিতে পারিতেন ! কিংবা সাতসমুদ্র-তের-নদী ডিঙ্গাইয়া আসিতে পারিতেন। এইবার নলিনী বাবুর টনক নড়িল । তিনি রাজী হইলেন । মিসেস সেন—ত্রমতী ইলাদেবী আমাদের জলযোগের ব্যবস্থা করিবার ভার লইলেন, এ-বিষয়ে তার বেশ স্বনাম আছে বলিয়া নিশ্চিন্ত ছিলাম। ১২ই নবেম্বর ২৬শে কাৰ্ত্তিক আমরা কারা দেখিতে রওনা হইলাম । সঙ্গী ফুটিল মন নয়। ক্ষিতীশ বাবু, নলিনী বাবু, র্তাহার মামা বগুড়ার উকীল নরেন্দ্রশঙ্কর বাবু, নলিনী