পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মত আইন এবং তৎসমুদয়ের সহায়ক লাঠির সাহায্যে ভারতবর্ষে যেখানে যখন দরকার সেখানে তখন “শাস্তি” স্থাপিত বা রক্ষিত হয় বটে, ইহা কেহ অস্বীকার করিতে পারে না । কিন্তু ডাকাইতি প্রতি মাসে ও সপ্তাহে অনেক হয় এবং তাঁহাতে গ্রামের লোকেদের শাস্তি নষ্ট হয়, *সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা অনেক হয় ও তাহাতে मांश्च रुङ ७ श्रांश्ठ झग्न, श्र*ांख्रि शdü, gरु९ नांद्रौश्ब्र१ ও নারীর উপর অত্যাচার অনেক হয় ও তদুপলক্ষ্যে খুন-জখমও অনেক হয়—ইহাও কেহ অস্বীকার করিতে পারিবে না। অশাস্তির এই সব কারণ বাড়িতেছে বলিয়া আমাদের ধারণা, কিন্তু সরকারী ষ্ট্যাটিষ্টিক্সের সাহায্যে এই ধারণার সত্যতা প্রমাণ করিবার উপায় নাই । দুর্ভিক্ষ ও খাদ্যের অপ্রাচুর্যাকে শাস্তি বলা যায় না। মহামারী ও নানাবিধ সংক্রামক রোগে লক্ষ লক্ষ লোক কষ্ট পায় ও মরে । ইহাকেও “শাস্তি" বলা যায় না । কেবল মাত্র যুদ্ধকেই শাস্তির বিপরীত অবস্থা মনে করা ভুল। বুদ্ধকে শাস্তির বিপরীত অবস্থা মনে করিবার কারণ প্রধানতঃ এই, যে, ইহাতে মানুষ হত ও আহত, ইহাতে সম্পত্তি বিনষ্ট ও লুষ্ঠিত হয়, মানুষ তাহার ধনপ্রাণ নিরাপদ মনে করিতে পারে না, এবং যুদ্ধের অবস্থার নারীদের উপর অত্যাচার হয় । ভারতবর্ষে শাস্তির সময়ে দণ বিশ পচিশ পঞ্চাশ বৎসরে দুর্ভিক্ষ ও অম্লাঙাবে, মহামারীতে, ডাকাইতিতে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামীয়, এবং নারীদের উপর নানা অত্যাচারে শোচনীয় যাহা-কিছু খটিয়াছে, তাহ অন্তান্ত দেশে ঐ রূপ দীর্ঘকালে যুদ্ধের সময়ের শোচনীয় ব্যাপার-সমূহের সহিত তুলনা করিলে বুঝা যাইবে, ভারতবর্ষে বহুবর্ষব্যাপী যুদ্ধের অভাব আছে বটে, কিন্তু যুদ্ধজনিত অশাস্তি অপেক্ষণ এদেশে অশাস্তি কম কিনা তাহা বিশেষ সন্দেহের বিষয় । এদেশে যুদ্ধাভাব আছে অতএব অশাস্তি নাই শাস্তি অাছে, ইহা না-হয় মানিয়া লইলাম । কিন্তু ভারতশাসন বিল দ্বারা লিবার্টি অর্থাৎ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হইতেছে, এই পরিহাস, বাঙ্গ বা বিদ্রুপে অব্রিটিশ মানুষদের হাসা উচিত, ৰদি উচিত, ন কুদ্ধ হওয়া উচিত ? কিন্তু ইহা একটি অর্থে সত্য কথা বলিয়া মনে করা যাইতে পারে। স্তর সামুয়েল হোর বলেন নাই, বিলটার দ্বারা কাহার স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত SN○8。 হইতেছে। সুতরাং যে-কোন লোক বা লোকসমষ্টির স্বাধীনতা নিরঙ্কুশ হইলেই বলা যাইতে পারে,যে,ইহার দ্বারা স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হইতেছে। অতএব, ভারতবর্ষের লোকেরা ইহার অনুগ্রহে কতটুকু স্বাধীনতা পাইবে, তাহার পরিমাণ নিৰ্দ্ধারণার্থ অত্যুৎকৃষ্ট রাসায়নিক নিক্তি আমদানী না করিয়া বলা যাইতে পারে, ভারতবর্ষের গবর্ণর-জেনার্যাল বাহাদুরকে ইহা পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়াছে। সামরিক, বৈদেশিক প্রভৃতি কতকগুলি রাষ্ট্রীয় বিভাগ “রক্ষিত” (reserved) হিসাবে সম্পূর্ণ র্তাহ'র অধীন থাকিবে। বাকীগুলি নামে “হস্তান্তরিত” (transferred) হইলেও তিনি সেগুলির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্ৰণ করিতে পরিবেন এবং র্তাহীর ইচ্ছা ও মঞ্জি অনুসারে তিনি ভারতশাসন আইনের কোন অংশ বা সমুদয় অংশ স্থগিত রাখিতে পারিবেন। অধিকন্তু তিনি স্বয়ং, ব্যবস্থাপক সভার সাহায্য ব্যতিরেকে, শুধু অল্প কালস্থায়ী অডিঙ্গাঙ্গ নহে, চিরস্থায়ী বা দীর্ঘকালস্থায়ী আইন করিতে পরিবেন । বস্তুতঃ গবর্ণরজেনার্যালকে যেরূপ ক্ষমতা দেওয়া হইতেছে, সেরূপ ক্ষমতা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধিপতির বা অন্ত কোন সভ্য দেশের নৃপতির নাই, এবং তাহ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্ৰীষ্টিয়ান, বা মুসলমানদের শাস্ত্রে তাহদের নৃপতিদিগকে দেওয়া হয় নাই । শাসনটা চলিবে অব্রিটিশ কালা আদৰ্মীদের উপর ঃ হতরাং ব্রিটিশ জাতি বিনা চিন্তায় অবিচারিত ভাবে মানিয়া লইয়াছে, যে, ব্রিটিশ দ্বীপে এরূপ শক্তিমান লোক সব সময়েই পাওয়া যাইবে যাহারা গবর্ণর-জেনার্যাল রূপে ঐ পদের অতিমানব কাৰ্য্যভার বহন করিতে পরিবে। যদি ব্রিটিশ ম্যাদিগকে শাসন করিবার কথা হইত, তাহা হইলে ব্রিটিশ জাতি কখনই এরূপ ও এত ক্ষমতা অতিবুদ্ধিমান অতিঅভিজ্ঞ অতিশক্তিমান কোন মানুষকেও দিতে রাঙ্গী হুহঁত না । ی সমুদয় ভারতবর্ষ সম্বন্ধে গবর্ণর-জেনার্যালকে যেমন স্বাধীন করা হইয়াছে, এক একটি প্রদেশ সম্বন্ধে, গবর্ণরজেনার্যালের অধীনে, প্রাদেশিক গবর্ণরদিগকে সেইরূপ ক্ষমতা দিয়া স্বাধীন করা হইয়াছে। সিবিল সাধিল, পুলিস সাধিস প্রভৃতিতে লোক নিযুক্ত করিবেন এবং তাহাদের বেতন পেন্সন পদোন্নতি অবনতি ছুটি ইত্যাদির