পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রণবণ অামার দেখা লেণক 8S) আমি সহজে যাইতাম না, তাহার নিকট হইতে দূরে ५८द्र थांकिउांम । श्रांभांब्र भtन श्रांtझ्, ७कनिन उँांशंब्र জ্যেষ্ঠ পুত্রবধু (গোবিন্দ বাবুর পত্নী। গোবিন বাবু, ভূদেব শবুর মধ্যম পুত্র ছিলেন, জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ মহেন্দ্রদেবের বাল্যকালেই মৃত্যু হইয়াছিল, সেই জন্ত গোবিন্দ বাবুর পত্নীকেই জ্যেষ্ঠ পুত্রবধু বলিলাম ) আমাদের তিন সহোদরকে একখানা থালাতে করিয়া জলখাবার দিলে ভূদেব বাবু এক গাছ লাঠি লইয়া সেইখানে উপস্থিত হইয়া বলিয়াছিলেন, “শালার যদি খাবার নিয়ে কুকুরের মত কামড়া-কামড়ি করিস, তাহ’লে লাঠি-পেটা করব।” আমার বয়স তখন সাত বৎসর কি অtট বৎসর হইবে । একে ত তাহীকে দেখিলেই আমার ভয় হইত, তাহার উপর “লাঠিপেটার” ভয়ে আর তাহার ত্রিসীমানায় যাইতাম না । ইহার অনেক দিন পরে, যখন ভূদেব বাৰু পেন্সন লইয়া চুচুড়ায় বাস করিতেন, তখন আমি হুগলী কলেজে পড়িতাম । সেই সময় আমি সৰ্ব্বদাই তাহার কাছে যাইতাম । তিনি কখনও বিলাতী বস্ত্র ব্যবহার করতেন ন। র্তাহীর পরিবারভুক্ত সকলের জন্তই, ঢাকা, শাস্তিপুর বা চন্দননগরের কাপড় ক্রয় করা হইত। চন্দননগর বা ফরাসডাঙ্গার কাপড় আবগুক হইলে আমাকে বলিতেন । আমি সংবাদ পাইলেই, আমাদের প্রতিবেশী হরিশ ভড়কে টtহার কাছে পাঠাইয়া দিতাম । হরিশ ভড়ই তাহার বাটতে ফরাসডাঙ্গার কাপড় জোগাইত। ভূদেব বাবু কখনও সাদা ধুতি বা সরু পাড়ের কাপড় পরিতেন না, তিন আঙ্গুল চারি আঙ্গুল চওড়া কাল রেলপাড়, মতি-পাড় বা কাশীগাড় শাড়ী পরিতেন । তিনি দীর্ঘাকৃতি পুরুষ ছিলেন, সাধারণতঃ আটচল্লিশ ইঞ্চ চওড়া বস্ত্র ব্যবহার করিতেন ; কিন্তু অত অধিক বছরের শাড়ী সহজে পাওয়া যাইত না, তাই হরিশ ভড় তাহার আদেশমত কাপড় বুনিয়া দিত। ভূদেব বাবু আহারকালে কাটা ও চামচ ব্যবহার চরিতেন। আসনে বসিয়া থালাতে থাইতেন, কাটা চমিচ :্যবহার করিতেন বলিয়া চেয়ারে বসিয়া টেবিলে খাদ্যদ্রব্য থিয়৷ থাইতেন না। ধুমপানে তাহার বিশেষ অনুরাগ ‘ছল, আলবোলার নল সৰ্ব্বদাই তাহার মুখে লাগিয়া .াকিত। অত্যধিক ধূমপান করিতেন বলিয় তাহার শুভ্রগুম্ফ পিঙ্গল বর্ণ ধারণ করিয়াছিল। প্রৌঢ় বয়সে তাহার শ্মশ্র ছিল না, বাৰ্দ্ধক্যে উপনীত হইয়া তিনি শ্মশ্র রক্ষা করিয়াছিলেন । র্তাহীর মস্তকের কেশ ঘোর কৃষ্ণবর্ণ ছিল, কিন্তু গুম্ফ ও শ্মশ্র সম্পূর্ণ শ্বেত ছিল । আমার বাল্যকাল হইতে প্রায় পচিশ-ছাব্বিশ বৎসর পর্য্যস্ত যাহাকে বহুবার দেখিয়াছি, র্যাহার উপদেশ শ্রবণে ধন্ত হইয়tfছ, র্তাহার সম্বন্ধে দুই-চারি কথায় কিছু লেখা অসম্ভব । সুতরাং তাহার সম্বন্ধে আর অধিক কিছু না লিথিয় তাহারই সামসময়িক আর এক মহাপুরু:ষর কথা বলিব । ইনি ভারতবিখ্যাত পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর । বিদ্যাসাগর মহাশয় শেষজীবনে, বোধ হয় বৎসরাধিক কাল চিকিৎসকগণের পরামর্শে চন্দননগরে গঙ্গার তীরে গিয়া বাস করিয়াছিলেন। চন্দননগরে স্ত্র্যাণ্ডের দক্ষিণপ্রান্তের গঙ্গাগর্ভে যে বাট আছে, তিনি সেই বাট এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণে আর একটি বাট ভাড়া লইয়াছিলেন । প্রথমোক্ত বাটটি তাহার অস্তঃপুর ও শেষোক্ত বাটটি র্তাহীর সদরবাটী বা বৈঠকখানা-রূপে ব্যবহৃত হইত। চনাননগরে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ইহা দ্বিতীয় বার বা শেষ বারের অবস্থান। আমার পিতার মুখে শুনিয়াছিলাম যে, আমার জন্মগ্রহণের পূৰ্ব্বে বিদ্যাসাগর মহাশয় একবার কয়েক মাসের জন্ত চন্দননগরে গিয়া বাস করিয়াছিলেন । সেই সময় আমার পিতা তাহার নিকট পরিচিত হইয়াছিলেন । শেষবার বিদ্যাসাগর মহাশয় যখন চন্দননগরে বান, আমার পিতা তখন বৰ্দ্ধমানে কাৰ্য্য করতেন, প্রতি শনিবারে বাটতে আসিতেন । সেই সময় একদিন বাবা বলিলেন, “বিদ্যাসাগর মহাশয় এখানে আসিয়াছেন, আজি বৈকালে তোমাকে তঁtহার কাছে লইয়া যাইব ।” স্কুলে র্যাহার “বর্ণপরিচয় প্রথম ভাগ” হইতে “সীতার বনবাস” পর্যস্ত এবং “উপক্ৰমণিকা’ হইতে “খজুপাঠ তৃতীয় ভাগ” পর্যন্ত পড়িয়ছিলাম, র্যাহার অসাধারণ দয়া ও দানের কথা ভারত-বিদিত, যিনি বিধবা-বিবাহের প্রবর্তক, বাঙ্গালা গদ্যসাহিত্যের জনক, সেই বিদ্যাসাগর মহাশয়কে দেখিতে যাইব শুনিয়া আনন্দে অধীর হইয়া উঠিলাম । বৈকালে বাবার সঙ্গে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আবাসে