পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রণৰণ কাপড় বুনেছে। সুগঠিত পায়ের পেশী, পায়ের দাবনার পেশীগুলিও স্বপুষ্ট, স্বপরিস্ফুট ; ছুই কালে রঙের পায়ের মাঝ দিয়ে কোমরের লাল কাপড়ের একটা ভাগ একটু কোচার মতন ঝুলছে, ইটু পর্য্যস্ত ; মাথা উচু ক’রে যুবক দাড়িয়ে ; জুইহাতে জুই ৰাসার বালা, তাতে তার গায়ের চমৎকার কালো রং আরও ফুটে উঠেছে ; ডান হাতে একটা লাঠি, গলায় কতকগুলা রঙ্গীন পুতির মালা, কাধে একখানা কালো হলদে আর অন্ত রঙে রঙ্গীন চাদর বা গামছার মত ; মুখের ভাব সরলতা-মাখানে, মাথার বাবরী চুল কাধ পর্বত্ত এসে নেমেছে—একটা কঁসি কি পিতলের চকুচকে ফিতার আকারের অঙিটা মাথার চারদিক বেড় দিয়ে তার ঝাকড়া কালো চুলকে আটকে ঠিক ক’রে রেখে দিয়েছে। এই সরল সুন্দর বেশে কোল যুবকটিকে পশ্চিমে ঠিকেদারের পাশে কত না সুন্দর দেখাচ্ছিল । ছোকরা যেন একেবারে সেই আৰ্য্যপূৰ্ব্ব যুগ থেকে সরাসরি এই ১৯৩৫ খ্ৰীষ্টাব্দে নেমে এসেছে, তার আদিযুগের সমস্ত রোমাল, সমস্ত সরল ঋজু সহজ হুন্দর মানবিকতার আবহাওয়া নিয়ে—আর্য্য আর দ্রাবিড়দের ভারতে পদার্পণ করবার আগে যে কোল জাতির দ্বারা ভারতীয় জীবনযাত্রা-পদ্ধতি আর ভারতীয় সভ্যতার পত্তন হয়েছিল সেই কোল জাতির আদিম যুগের মূৰ্ত্তিমান প্রতীকস্বরূপ ঐ কেলি-যুবকটিকে আমার মনে হ’তে লাগল। বাস্তবিক, যুবকটিকে দেখে চোখ যেন জুড়িয়ে গেল । মিনিট কতকের মধ্যে গাড়ী আবার রওনা হ’ল, আর প্রাচীন যুগের এই চিত্র আমার চোখের সামনে থেকে চিরতরে অস্তৰিত হ’ল। প্রাচীন জগৎ, প্রাচীন জীবনযাত্রীর পদ্ধতি চিরকালের জন্ত চ’লে গিয়েছে, তার জন্ত ঃখ ক’রে লাভ নেই—যেটুকু দুঃখ বা আক্ষেপ করা যায় সেটুকু এই জন্ত যে একটা সুন্দর জিনিষ চ'লে গেল বলে ; কিন্তু তা বলে অতীতের রোমাল-এর জন্ত আধুনিকের জ্ঞান-বিজ্ঞানময় জগৎকে ছাড়তে আমি প্রস্তুত নই ; অতীতের জীবনের রসবত্তাকে সারল্যকে যদি আধুনিক জীবনের মীরসতার মধ্যে, কপটতার মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে পারি, তবেই অর্তীতের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা সার্থক হৰে। যত দিন বেড়ে চ’লল, স্বৰ্য্যদেবের প্রকোপ ও তাত পশ্চিমের যাত্রী 8$3 বৃদ্ধি পেতে লাগল। বৰ্দ্ধন-মহাশয় আর আমি উভয়ে পূৰ্ব্বে পরিচিত ছিলুম না, ট্রেনে প্রথম পরিচয়, আমরা উভয়ে এক যাত্রার যাত্রী ; একই জাহাজে আমাদের গতি । তিনি ক'লকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন কুর্তী সস্তান ; বিজ্ঞানে এখানকার উী-এসসি, আর পরে লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়েরও উী-এসসি মৰ্য্যাদা সংগ্রহ ক’রে এনেছেন । কিন্তু এখনও পাকা চাকরী কোথাও হয় নি। এবার রসায়নের একটি বিশেষ বিষয় নিয়ে তিনি গবেষণা করবার জন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাসবিহারী ঘোষ বৃত্তি নিয়ে এক বছরের মতন লণ্ডনে চলেছেন। তিনি একটু গভীরগম্ভীর প্রকৃত্তির লোক, সায়ন্ত্রিশ-আটত্রিশ বৎসর বয়স* অকৃতদার, একটু অতি মাত্রায় অলৌকিক শক্তিতে বিশ্বাসী—আজকাল আত্মৰিন্থত আত্মবিক্রীত বাঙালী fem natta “Oriental Orientalo Ru আউড়ে ইউরোপের মুখে ঝাল খেয়ে সাবেক সেকেলে ঢঙের नेिले छिनिtषद्ध छिड८ब्रञ्च पञांपैं-4द्र कनब्र कब्रयांब्र cष ५कल्ले হিড়িক উঠেছে, যেটা অনেক সময়ে একটা অসহ ন্তাকামি ভিন্ন আর কিছু নয়, আর যেটাকে “প্রাচ্যামি” আখ্যা আমার এক বন্ধু দিয়েছেন, সেই “প্রাচ্যামি”র কোনও ধার বদ্ধন-মহাশয় ধীরেন না, অথচ তার সরল সাদাসিধে ধরণ-ধারণ দেশী চালচলনের দিকে তার সহজ পক্ষপাতিত্ব আমার বেশ লাগল। ইউরোপে যাচ্ছি, ট্রেনে আবার এই গরমে বিলিতি খান খেয়ে অর্থনষ্ট ক'রে মরি কেন ? স্থির করলুম আমরা ডুঙ্গারগড় ষ্টেশনে ষে হিন্দু ভোজনাগার অাছে সেখানে নিরামিষ ভাত ডাল তরকারী থাবো । ট্রেনে বিলাতযাত্রী আর এক জন বাঙালী বন্ধুর সঙ্গে পরে দেখা, তিনি ভীত হয়ে বললেন, “মশাই, যাচ্ছেন বিদেশে, এসব দিশী হোটেলের খাওয়া খেলে কলেরা হয়ে মারা যাবেন।” আমাদের এই বন্ধুটির কোনও অপরাধ মাইঃ আমরা সাধারণতঃ একটু শিক্ষিভাভিমানী, একটু আলোকপ্রাপ্ত আর তার উপর একটু বিদেশাগত ভাগ্যবান হ’লে, স্বজাতির রীতিনীতির থেকে এবং সম্ভব হ’লে ৰন্থক্ষেত্রে স্বজাতীয় লোকেদের থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াই। বিশেষ একটু আত্ম-কেন্দ্রী ভাৰও মনের মধ্যে আসে ; ভাই অনেক সময়ে যখন ক'লকাতা থেকে