পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ጫ• প্রবণসী $NBBR স্বদেশের পল্লীগ্রামে বাই, তখন মালেরিয়ার ভয়ে সঙ্গে নিয়ে যাই হয় সোডা, নয় ডাব ; অথচ ভুলে যাই বে সেখানেও সেখানকারই জল খেয়ে স্বাস্থ্য বজায় রেখে আরও পাঁচ জন ভদ্রসস্তান বাস করছে। যাক, বিলাসপুরে বেশ তড়বড়ে বাঙলা বলে এমন এক জন অ-বাঙালী ছেলে, পশ্চিমা হ’তে পারে, মারহাটি হ’তে পারে, দু'জনের জন্ত নিরামিষ খাবারের অর্ডার নিয়ে গেল। ডুঙ্গারগঢ়ে চাকরে থালায় ক’রে থাবার দিয়ে গেল—পরিষ্কার সুরভি আতপ চালের ভাত, খান-চারেক লাল আটার রূচী আর আট-নয়ট আলুমিনিয়মের বাট ক'রে বী, ডাল, টক, আচার, তিন-চার রকমের ভাজী, তরকারী, দই, চিনি, পায়েস, আর পাপর দিয়ে গেল । এক টাকা ক’রে নিলে, আমরা পরম পরিতৃপ্তির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন সমাধা করলাম। “ভূক্ত রাজবদাচরেৎ”—ভীষণ গরম, সব কাঠের জানালাগুলি ফেলে দিয়ে গাড়ীর কামরা অন্ধকার ক’রে মনে করলুম একটু ঘুমিয়ে গ্রীষ্মকালের দিনশ্চৰ্য্য করবে, কিন্তু অগ্নি-সখী পবনদেব এখন স্বৰ্য্য-সখী হ’য়ে দেখা দিলেন। কি ভীষণ তপ্ত হাওয়া জানালার পার্থী ভেদ ক’রে চলতে লাগল,—যেন আগুনের হলুক বইছে। আর সঙ্গে সঙ্গে তেমনি খুলে । ঘুম দূরে থাক, প্রাণ যেন আই-চাই করতে লাগল। সারা দুপুর আর বিকাল ধরে এই লু চ’লল । বিছানাপত্র এমন তেতে উঠুল ষে অনেক রাত পৰ্য্যন্ত *ांब्रम छेिण । ৰিকালে ওয়ার্দ্ধ ষ্টেশনে গাড়ী ষ্ট্ৰীড়াল। আমাদের कांभब्रांद्र ऐठिभरथा झ-छन देश८ब्रख दां श्रांचtणांहे७िब्रांन देछिनচালক উঠেছে, এক জন অধিবুড়ো, লম্বা-চওড়া জবরদস্ত চেহারার লোক, অন্ত জন ছোকরা, রোগা পাতলা । আধবুড়ে লোকটি বৰ্দ্ধন-মহাশয়ের সঙ্গে ভাব ক’য়ে নিলে— মুখপাতে বাঙালী জাতির মুখ্যাতি ক’রে—সাহেব কবে বছরথানেক ক'লকাতায় ছিল, তখন দেখেছে যে ভারতবর্ষের সব wtre+ asa statoast educated, clever, acute. ওয়ার্দ্ধ থেকে গাড়ী ছেড়ে দিতে এই ইঞ্জিনওয়াল সাহেৰট चञांभांtबद्ध यजू८ण, “मिछेiब्र नीNGौ ७हे शांज़ेौरङ छ'rणटझन, ইঞ্জিনের পিছনেই যে থার্ড ক্লাস গাড়ী খানা আছে, সদলে তাতে উঠেছেন।” গান্ধীজীর সঙ্গে আমরা এক ট্রেনে সহধত্রিী। তার দর্শন তো একবার পাওয়া চাই। সাহেৰ ৰ’ললে—“আমিও আগের ক্টেশনে গাড়ী থামলে তাকে দেখতে যাব।” থাকীর হাফপ্যান্ট আর কামিজ প’রে ট্রেনে উঠেছিলুম, রাত্রে ঘুমাবার জন্ত লুজী পরি, তার পর গরমের তাড়ায় আর লুঙ্গি ছেড়ে হাফপ্যান্ট পরতে প্রাণ চায় নি। লুঙ্গী বছর তিরিশ পয়ত্ৰিশ হ’ল, বৰ্ম্ম আর মালয় দেশ থেকে বাঙালী মুসলমান খালাসী আর বর্শ্ব-প্রবাসী অন্ত শ্রেণীর লোকেদের অবলম্বন ক’রে বাঙলা দেশে ঢুকেছে। লুঙ্গী সমস্ত দক্ষিণপশ্চিম এশিয়ার সাধারণ পোষাক, আমার মনে হয়, ক্রমে লুঙ্গী ভারতবর্ষের পোষাক হ’য়ে দাড়াবে—অন্ততঃ ঘরোয়া পোষাক হ’য়ে, তবে তার কিছু দেরী আছে। যাক, এখনও লুঙ্গী বাঙালী হিন্দু ভদ্রলোকের সামাজিক পোষাক হয় নি। মহাত্মাজীর সঙ্গে দেখা করবো, বড় বাক্স থেকে ধুতী বা’র করবার স্ববিধা নেই, অগত্যা লুঙ্গী ছেড়ে ফেলে খাকীর হাফপ্যান্ট আর শর্ট পরে নিলুম। র্তার সঙ্গে একটু কথা কইবারও ছিল। আমি ভারতবর্ষে রোমান অক্ষর চালানোর পক্ষে, তবে আমার মনে হয় উপস্থিত দেশের লোকে রোমান অক্ষর চট্‌ ক’রে নিতে চাইবে না। দেশের লোকের সামনে বিষয়টার অবতারণা একটুখানি ক’রে রাখতে চাই ব’লে হালে আমি একটা বাঙলা প্রবন্ধ লিখি, “আনন্দবাজার পত্রিকা” গত বৎসরের পূজার সংখ্যার সেটি প্রকাশিত হয়, আর কলকাতায় গত ডিসেম্বর মাসে যে প্রবাসী-ৰাঙালী-সাহিত্যসম্মেলন হর তার সভাপতি স্তর ঐযুক্ত লালগোপাল মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের দৃষ্টি সেই প্রবন্ধটি আকর্ষণ করে, তিনি তার অভিভাষণে ভারতে রোমান-লিপি প্রচলনের পক্ষে কিছু বলেন। তার পরে অামি ইংরেজীতে এই বিষয়ে একটি বড় প্রবন্ধ লিখেছি। রোমান অক্ষর ভারতবর্ষের ভাষার জন্ত চলা উচিভ কিনা সে-বিষয়ে প্রশ্ন গাধীজীর কাছেও কেউ কেউ তুলেছিলেন। কিন্তু তিনি এ-বিষয়ে খোলাখুলি মত এখনও দেন নি। এ দিকে ইন্দেরে গত এপ্রিল মাসে গাধীজীর সভাপতিত্বে যে নিখিল-ভারত-হিন্দীসাহিত্য-সম্মেলন হয় ভাতে নাগরী অক্ষরের সংস্কার করবার জন্ত একটা সমিতিগঠিত হয়, আমাকেও সেই সমিতির অন্ততম সদস্ত ক’রেছে । সে-বিষয়ে ক'লকাতায় ইতিমধ্যে আমাদের