পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SN98R খাজ করেক সাহেবের ও জলালউদ্দীনের সমাধি মালিক আহসান । সে-সময়ে যিনি হিন্দু রাজা ছিলেন, তাহাকে জ্যোতিষীরা বলিয়াছিল যে যদি কোন মুসলমান সেনাপতি দুর্গের প্রাচীর স্পর্শ করিতে পারেন তাহ। হইলে কারা মুলমানদের অধিকারে আসিবে। কুতবউদ্দীন এ-কথা জানিতে পারিয়া হিন্দু সৈন্যদের ব্যুহ ভেদ করিয়া অসীম সাহসিকতার সহিত আসিয়া দুর্গ-প্রাচীর স্পর্শ করিলেন । জ্যোতিষীর বাক্য কি মিথ্যা হইতে পারে ? অমনি দুর্গ মুসলমানের হাতে পড়িল । এমন করিয়াই মুসলমান কর্তৃক বঙ্গবিজয় ঘটিয়াছিল ! দুর্গের প্রাচীরের নীচে মালিক আহসীনের কবর রহিয়াছে । কারার অধিবাসীরা মালিক আহসানকে মুস্কিল আসানে পরিণত করিয়াছেন এবং সমাধির উপরকার দুর্গের দেওয়ালে চূণকাম করিয়া বিশেষত্ব বজায় রাথিয়াছেন । এই কিংবদন্তীর মুলে কোন সত্য আছে বলিয়া মনে হয় না, কেন-না, এই সমাধির গায়ের খোদিত লিপি হইতে জানা যায় যে ১১৭৯ খ্ৰীষ্টাব্দে কুতবউদ্দীনের মৃত্যু হইয়াছিল! এখানকার লোকেরা বলে প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যার সময় এই কবরের নিকট যে প্রদীপ জালাইয়া দেওয়া হয় তাহা অতি প্রবল ঝড় বাতাসেও কখনও নিবিয়া যায় না । গঙ্গার তীরে কুবরিঘাটে মৌলানা থাজগীর সমাধি রহিয়াছে । উহার গায়ের খোদিত লিপি হইতে জানা যায় যে ১৪০০ খ্ৰীষ্টাব্দে এই সমাধি-মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। মৌলানা খাজগী দিল্লীর বিখ্যাত নাসিরউদ্দীন চিরাগের উত্তরাধিকারী এবং জৌনপুরের কাজী সাহেবউদ্দীনের শিক্ষক ছিলেন । মৌলানা সাহেব সেকালের এক জন অতি বিখ্যাত পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন । এখানে একটি কিংবদন্তী আছে যে, অতিবড় মুর্থ ব্যক্তিও যদি মৌলানা সাহেবের পাশে বসিয়া একমনে চল্লিশ দিন অধ্যয়ন করে তাহা হইলে সেও পৰ্য্যস্ত পণ্ডিত হইয়া যায় । খাজা কবির সাহেবের সমাধির পাশে মেদিনার অধিবাসী সৈয়দ কুতুবউদ্দীনের সমাধি। কথিত আছে, সৈয়দ সাহেব মুসলমান সেনার সহিত আসিয়াছিলেন । চৈত্র মাসে এখানে এক বৃহৎ মেলা হয় । এ মেলায় শীতলা-মন্দিরের গায়ে লাগান বিষ্ণুমূৰ্ত্তি স্ত্রীলোকের সংখ্যাই বেশী হয় । বন্ধ্যা-নারীরা সৈয়দ সাহেবের কবরের পাশে যে হরীতকী গাছ আছে