পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

صوsu 8 প্রবাসী ১N®৪২ সঙ্গে এসেছিলেন জাহাজে আমাদের তুলে দিতে । বোট ছাড়বার দেরি ছিল ব’লে আমরা ওখানে ভূমিকম্পের মিউজিয়াম দেখতে গেলাম । ১৯২৩ সালে জাপানে ষে ভীষণ ভূমিকম্প হয় তারই নানা রকম ছবি, ভাঙা পোড় छिनिष*ख, cण नमञ्चकांद्र cनएलब्र डौषण अवहांब्र विबब्र१, সব রয়েছে। ইয়োকোহামা ও টোকিও একেবারে ভূমিসাৎ হয়ে গিয়েছিল, কত লক্ষ লক্ষ প্রাণ ষে নষ্ট হয়েছে তার আর ইয়ত্তা নেই। নিজেদের সেই ভীষণ ভাগ্যপরীক্ষায় ওরা কত সহজে উত্তীর্ণ হয়েছিল শুধু এইটুকু থেকেই বোঝা যাৰে ধে ওদের সমস্ত বিনষ্ট হয়ে যাবার পর ভূমিকম্পের দিন থেকে ঠিক এক মাস পরে, খোলা জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের মাটিতে বসিয়ে ওদের প্রাথমিক শিক্ষার যে স্কুল, তা আরম্ভ হয়ে যায়। জাপানে সৰ্ব্বসাধারণের শিক্ষার ব্যবস্থা দেখে সত্যই মুগ্ধ হতে হয় । সকালবেলা টোকিওতে দেখতাম দলে দলে হাজার হাজার দরিদ্র বালক-বালিকা স্কুলের পোষাক প'রে চলেছে—কোন দলকে পাহাড়ের উপর বনভোজনে নিয়ে যাওয়া হ’ল, কোনও দলকে হয়ত কোন দেশহিতকরী বক্তৃতা ও লণ্ঠন-চিত্র হবে সেইথানে বলিয়ে দেওয়া হ’ল, কোন দলকে বা টোকিওতে যে বিখ্যাত যুদ্ধের মিউজিয়াম আছে তাইতে বিনাটিকিটে দুই-তিন জন শিক্ষক নিজের সঙ্গে ক’রে নিয়ে গেলেন। গত রুশ-জাপান যুদ্ধের সময়ে যে যে যোদ্ধা স্বদেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন, মিউজিয়ামে তাদের রক্তের দাগ চিহ্নিত ছিল্প পোষাক দেখিয়ে তাদের সাহস, তাদের স্বদেশপ্রেম, তাদের মৃত্যুগৌরবের কথা বলে ব'লে ছোট ছেলেমেয়েদের মনে স্বদেশপ্রেম জাগিয়ে স্কুলের শিক্ষকের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সকল জিনিষ দেখিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রতি ছেলেমেয়ের ৬ বৎসর থেকে ১২ বৎসর অবধি আৰম্ভিক শিক্ষার ব্যৱস্থা আছে, তার পরে অবগু নিজের ইচ্ছা এবং সাধ্যমত। বিলাতের মত জাপানেও দেশের সাধারণ সকলেই সংবাদপত্র পড়ে ও সকল দেশের সংবাদ রাখে । জনসাধারণের शूरुिथांब्र छछ ७थांtन भव:ब्रब्र कांशंtजब्र झांभ अङारु कम করা হয়েছে, কিন্তু যারা তাও কিনতে অসমর্থ, তাদের জন্ত বড় বড় রাস্তার ফুটপাথে কাঠের দেওয়ালের উপর চার-পাঁচটা খবরের কাগজ প্রতিদিন টাঙিয়ে দেওয়া হয়, সেইখানে দাড়িয়ে জরিত্র লোকেরা দেশের প্রয়োজনীয় সকল সংবাদ জেনে নেয়। সেখানে সকল সময়ই দেখেছি লোকের ভিড় থাকে—সকল দেশের সংবাদ জানবার জন্ত যে সাধারণের কত আগ্রহ তাই থেকেই ষোঝা যায়। বেলা বারটায় আমাদের জাহাজ ছেড়ে দিলে। শ্ৰীমতী মজুমদার ও তার পুত্র আমাদের কাছে বিদায় গ্রহণ ক’রে যখন জাহাজ থেকে নেমে গেলেন তখন সত্যই মনে হচ্ছিল কোনও আত্মীয়কে ছেড়ে যাচ্ছি। জাহাজ ছেড়ে যাবার পর যতক্ষণ দেথা গেল, ততক্ষণ র্তার জেটিতে বাড়িয়ে ছিলেন । প্রতি মানুষের, প্রতি জিনিষের, প্রতি দেশের ভালমন দুই দিকই আছে। জাপানে অতি অল্প দিন ছিলাম, তার মধ্যে ভাল জিনিষ অনেক cनtथझि, ७वः भक किडूझे দেখি নি যদি বলি ত ভুল বলা হবে। ভাল-মন্দ সকল দিক না দেখলে একটি জিনিষকে ঠিক এবং সম্পূর্ণভাবে হয়ত জানা যায় না ; কিন্তু আমার মনে হয় যে দেশের মধ্যে থাকতে পাচ্ছি না, যাদের সঙ্গে ঘর করবার সম্পর্ক নয়, সে দেশকে দোষে গুণে সম্পূর্ণভাবে যদি নাও জানি তো আমার পক্ষে বিশেষ কিছু ক্ষতি হবে না। আমরা দু-দিনের জন্ত বেড়াতে গিয়েছিলাম। যে-জায়গায় যে-জিনিষটি তাল দেখেছি, কিনে নিয়ে এসেছি, দেশে নিজের ধাড়িতে রাখব ব'লে। তাদের দেশে তারা ষে জিনিষটি খারাপ ভাবে তৈরি করে, সে জিনিষটি তো আনি নি। তেমনি তাদের দেশের গুণ, তাদের ভাল প্রথা, তাদের সুনীতি, সেইগুলিই শুধু যদি দেখে আসতে পারি, জেনে আগতে পারি, শিখে আসতে পারি, তাহলেই আমার মনে হয় আমার প্রয়োজন সাধন হ’ল । খারাপ যা-কিছু তা আমায়ের দেশে ষয়ে নিয়ে আসবার তো কোন দরকার নেই । তাই আমার চোখে জাপান তার সৌজন্ত, তার সৌন্দর্য, তার স্বাদেশিকতা নিয়ে যদি কিছু অযথারূপেও উজ্জ্বল প্রতিভাত হয়ে থাকে তো আমি সেইটিই আমার লাভ ৰ'লে মনে করব।