পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্মস্বত্ব ঐসীতা দেবী (a ) মামার বাড়ি আসিয়া গুছাইয়া বসিবার আগেই মা তাহাকে লইয়া যাইতে আসিয়া হাজির হওয়ায় মমতা অত্যন্ত চটিয়া গেল। বাড়িতে ত টেকা দায়, একটা কথা বলিবার মামুষযুদ্ধ সেখানে নাই । আবার বাড়ি হইতে বাহির হইলেও কাহারও সয় না, এ এক আচ্ছা জালা ! সে মুখ ভার করিয়া বলিল, “আজকেই যাব কেন ? এই ত সবে এলাম। বাবার আমায় কি দরকার 鸣f?” শুধু চিঠি লিথিয়া পাঠাইলে, বা অন্ত কাহাকেও পাঠাইলে মমতা পাছে না-আসে বা বেশী রকম রাগারগি করে, এই তয়ে যামিনী চা খাওয়া হইয়া যাইবার পর, নিজেই তাহাকে লইয়া যাইতে আসিয়াছেন । মমতার কথার উত্তরে তিনি বলিলেন, “বিশেষ দরকার না থাকলে শুধু শুধু তোমাকে বিরক্ত করবার জন্তেই কি আর নিতে এসেছি মা ? তুমি না গেলে তোমার বাবা বড় বিরক্ত হবেন । অ{জ চল, আবার না হয়, দু-চার দিন পরে এস।” মমতা আর কিছু না বলিয়া কাপড়-চোপড় গুছাইতে চলিয়া গেল। প্রভা যামিনীকে খাতির করিয়া বসাইয়া বলিল, “ব্যাপার কি ঠাকুরঝি ? ছেলেমানুষ এসেছে, আমনি তাকে সাত-তাড়াতাড়ি হিচড়ে নিয়ে চলুলে কেন ?” যামিনী বলিলেন, “মেয়ের বাপের খেয়াল, আমি কি করব বল ?” প্রভা ব্যাপারখানা ঠিক আন্দাজ করিয়া লইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “দেখতে আসবে বুঝি কেউ ?” ষামিনী সম্মতিসূচক ঘাড় নাড়িয়া জানাইলেন তাহাই বটে । এ-বিষয়ে বেশী কথাবাৰ্ত্ত কহিৰার ইচ্ছা তাহার ছিল না । কিন্তু তাহার না থাকিলেই বা কি আসিয়া যায় ? প্রভার কৌতুহলের অস্ত ছিল না। সে ব্যগ্রভাবে আবার জিজ্ঞাসা করিল, “নিশ্চয়ই রাজা কি জমিদার ? নইলে ঠাকুরজামাই এত ব্যস্ত কি আর সাধে হয়েছেন ?” যামিনী বলিলেন, “আমার এইটুকু মেয়ের বিয়ে দেবার মোটেই ইচ্ছে নেই। নিতান্ত ওঁর জেদে মেয়ে দেখান হচ্ছে। রাজা কি জমিদার সে-সবের খোজও করি নি কিছু। বেশী টাকাকড়ি নেই বোধ হ’ল ওঁর কথা থেকে।” প্রভা বিজ্ঞভাবে বলিল, “হ্যা, টাকা না থাকলে আর তোমার কর্তাটি এগোতেন কি না ? কিন্তু তুমি মেয়ের বিয়ে দিতে চাও না কেন এখন ? ছেলেবেল দিয়ে দেওয়া ভাল ভাই, তখন মেয়েদের অত স্বাধীনতা বাড়ে না । তার পরে কে কাকে পছন্দ ক’রে বসবে তার ঠিক কি ?” যামিনী হাসিবার চেষ্টা করিয়া বলিলেন, “নিজে ত স্বাধীন ভাবেই বিয়ে করেছ, তাতে খুব ঠকেছ ষলেও মনে হয় না। তবে নিজে বিয়ে করার উপর অত চটা কেন ?” প্রভা একটু অপ্রস্তুত হইয়া বলিল, “আমি ঠকি নি ব’লে কি আর কেউ ঠকে নি ? হাজারটা দৃষ্টাস্ত রয়েছে ।” যামিনী বলিলেন, “দৃষ্টাস্ত আর কিসের নেই বল ? মা বাপে বিয়ে দিয়েছে, এমনও লাখ মেয়ে অমুখী হয়েছে, उांब्र७ कि नृठेखि cनई ? उदू यांमि निरखद्र कभांण निरछ বেছে নেওয়ারই পক্ষপাতী।” এমন সময় মমতা আর লুসি আসিয়া পড়ায়, আলোচনাটা থামিয়া গেল। মমতাকে যখন এ-বাড়িতে থাকিতেই দেওয়া হইবেন, তখন সে ক্ষতিপুরণ-স্বরূপ লুসিকে লইয়া যাওয়া স্থির করিয়াছে । একটা কথা বলিবার লোক তাহার থাকা চাই ত ? ষামিনীকে বলিল, “মা আমি কিন্তু লুলিকে নিয়ে যাচ্ছি।” যামিনী বলিলেন, “আমার আর তাতে কি আপত্তি ? তোমার মামীীমাকে বলেছ ?” মামীমাকে তখন অবধি বলা হয় নাই। লুসি নিজেই