পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&es প্রবাসী SN98షి DD DBB S BBBB BBD DS BBB BB BB BB BBB BB BB BB BBB D BBB BB BBS বেশ হয় ।” খিচুনি খাই ।” মমতার রূপের মহাভক্ত লুসি। নিজের চেহারায় তাহার বিশেষ রূপের বালাই নাই, তাই সৌন্দর্ঘ্যের প্রতি তাহার লোভও যেমন শ্রদ্ধাও তেমন । তাহার কাছে সুন্দর হইলে মানুষের সাত খুন মাপ। মমতার কথা শুনিয়া সে বলিল, “ইস, তোমাকে আবার পছন্দ না ক’রে ফিরে স্বাবে । ছাড়ির কালি মেখে চটের কাপড় প’রে গেলেও না । বাংলা দেশে তোমার মত চেহারা অলিতে-গলিতে গড়াচ্ছে কি না ?” নিজের রূপের এত উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় মমতা যে একেবারেই খুশী হইল না, তাহা নহে। তবে মুখে সেটা ত আর প্রকাশ করা যায় না ? কাজেই গম্ভীর ভাবেই বলিল, *আহা, রূপ ত কত ?” লুসি হঠাৎ অন্ত কথা পীড়িল । বলিল, “আচ্ছা দিদিতাই, সত্যি ক’রে বল ত, তোর বিয়ে করতে একেবারেই ইচ্ছে করে না ? না ও-সব ঢং ? বলতে হয় ব’লে বলিস্ ?” মমতা মুখ লাল করিয়া চুপ করিয়া খানিক বসিয়া রহিল । একেবারে সত্য কথা কি বলা যায় ? আর নিজের মন নিজেই কি সে ভাল করিয়া জানে ? কখনও মনে হয় এক রকম, কখনও মনে হয় আর এক রকম । বিবাহ একেবারেই করিতে সে চায় না, ইহা একেবারেই ঠিক নয়। ষোল-সতের বৎসরের এমন মেয়ে বাংলা দেশে কোথায়, যে মনে মনে এই রঙীন স্বপ্নটি দেখে না ? তাহার হৃদয়ের গোপন ঘরে সেই চিরকালের রাজকন্ত বসিয়া, বিনি-সুতার মালা কি গাখিতেছে না ? সে মালা কাহার গলায় পড়িবে, তাহা ত সে জানে না এখনও । কত বার সেই চিরকালের রাজপুত্রের মুখ কত রকম রূপে সে দেখিয়াছে। কিন্তু আজও দিনের আলোয় স্পষ্ট করিয়া সে তাঁহাকে চেনে না । লুসি বলিল, “কেমন, এখন চুপ মেরে যেতে হ’ল ত ? হ’ বাবা, পথে এস। অমন বক-খাৰ্ম্মিক সবাই সাজে ।” মমতা বলিল, “মোটেই আমি বক-ধাৰ্ম্মিক নই। একেবারে বিয়ে করব না, এমন কথা ত আমি কোন দিন বলি নি ? তাই ব’লে এখন করব কেন ? লেখা-পড়ু শিখলাম না, মানুষ হ’লাম না, এখনই ৰোকার মত বিয়ে লুসি বলিল, “কেন, ছোট বয়সে বিয়ে করলেই বুঝি ইতি-খিচুনি খেতে হয় ? এই ত আমার দিদিমার বিয়ে হয়েছিল এগার বছরে, তিনিই ত সারাক্ষণ দাদুকে বকুনি দেন ।” মমতা লুসিকে থামাইবার আর উপায় না দেখিয়া উন্ট আক্রমণ করিল। বলিল, “ও তোমার বুঝি তারি বিয়ের সথ, তাই আমাকে এত ক’রে ভজাচ্ছ ? তা বেশ ত চল না, আজ তোমাকেই দেখিয়ে দেওয়া যাক । পছন্দ করে ত বেশ, তোমাকেই ওদের ঘরে বিয়ে দিয়ে দেওয়া যাবে ।” লুসি বলিল, “তা আর না ? আমি অমনি গেলাম আর কি তাদের সামনে ? আমাকে তারা পছন্দ করবেই বা কেন ? যা না কেলে মুৰ্ত্তি ? তা ছাড়া আমি ত ব্ৰাহ্ম সমাজের মেয়ে ।” মমতা বলিল, “তাতে কি ? মাও ত ব্ৰাহ্মসমাজের মেয়ে ?” লুসি বলিল, “পিসীমার মত চেহারা থাকলে আর ভাবনা ছিল কি ? সমাজ-টমাজ ভুলে মানুষ লেজ তুলে দৌড়ে আস্ত। পিসেমশাই যা করে পিসীমাকে বিয়ে করেছিলেন, তা বুঝি জান না ?” মায়ের বিবাহের অত ইতিহাস মমতার জানা ছিল না । লুসি তাহার মায়ের কাছে অনেক কথাই শুনিয়াছে। মমতাকে শুনাইতে তাহার আপত্তি ছিল না, কিন্তু এই সময় যামিনী মানের ঘর হইতে বাহির হইয়া আসায় তাহাকে, थांभिग्नी षांहेtड ङ्हेंडण । আজ খাওয়া-দাওয়া সকাল-সকাল সারিয়া, চাকরবাকরকে সময়-সত ছাড়িয়া দিতে হইবে । না হইলে, তাহারা বিকালের জলযোগের আয়োজনে যথাক্সালে লাগিতে পারিবে না। কাজেই স্নানের পরে সকলে একসঙ্গেই খাইতে বসিয়া গেলেন । হরেশ্বরও স্বজিতকে লইয়৷ এই সঙ্গেই বসিয়া গেলেন । নিজে অবহু মাছের ঝোল ভাত ভিন্ন আর কিছু খাইলেন না । হজিত লুসিকে দেখিয়া জদ্রতার খাতিরে - একবার জিজ্ঞাসা করিল, “বেটু এল না কেন ?”