পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫১২ এ-রকম স্পর্শ ষ্টি ঘটে কেন ? কারণ, পদ বা পদাংশ পরিবর্তিত হয়ে কখনও কখনও নব নব রূপ ধারণ করে, যদি পূৰ্ব্ব ও পরিবর্তিত শব্দের মধ্যে বেশ একটা ধ্বনিগত সাম্য থাকে। কিন্তু শুধু ধ্বনির মিল নয়, অর্থেরও মিল কিছু থাকা চাই। এখানে মনোরথ অর্থের দিক দিয়ে মনোহুর্থের কাজ স্বচ্ছন্দে চালিয়ে নিচ্ছে, অস্তুতঃ তার অযোগ্যতা সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন ওঠে নি। আর এদিকে উচ্চারণের মিল ত আছেই। স্পর্শদুষ্ট হ’লেও ভাষার ক্ষেত্রে এরা একেবারে অনাচরণীয় নন। ধ্বনিসাম্যের ফলে আর এক রকম স্পর্শদোষের উদ্ভব হয়, কিন্তু এগুলি কৌতুক প্রসঙ্গ ছাড়া ভাষায় অল্পই ব্যবহৃত হয় । ছোট ছেলেরা কখনও কখনও এ-ধরণের শব্দ ব্যবহার ক’রে বসে কিন্তু তার জন্ত শাস্তিও পেতে হয়। "Protractor” ব্যতীত 'protector দিয়ে যে জ্যামিতির চিত্র আঁকা যায় না mathematicএর শিক্ষক মহাশয়ের বেত্ৰদণ্ড তা বারংবার বুঝিয়ে দেয়। আমরা ঠাট্টার ছলে মাতালের নামানুসারে চা-থোরকে ‘চাতাল’ বলি। জনৈক অভিভাবক সেদিন কোন অধ্যাপককে ব’লছিলেন যে তার পুত্র ইংরেজীতে একটু deficit, ছেলেবেলা থেকে নিজে ত পড়ানোর সময় পান নি কিনা ! কাঠের ও টিনের মিস্ত্রিরা রিপিট (rivet ) ক’রে কাঠ বা টিন জুড়ে । মিস্ত্রি-সমাজে রিপিট • কথাটা খুব চ'লে গেছে। ডায়মন ( diamond ) কাটা বাজু ও পায়নাফুলি ( pine-apple ) সাড়ি স্কুলকলেজে-পড়া মেয়েরাও মাঝে মাঝে প’রে থাকেন । নবেম্ভাবিত পিটুনি পুলিস খবরের কাগজ মারফৎ দেখছি বাংলার পল্লীগ্রামেও বাসা বাধল। মালসি (M. L. C.) ও তাই । এটা বোধ হয় এমূ-এল-সি ও মালসা এই দুটো শব্দের ধ্বনিসহযোগে গঠিত । - অজ্ঞতা উপেক্ষ বা অনবধানত হেতু ব্যাকরণের নিয়ম উল্লভৰন শৰাবিপৰ্য্যয়ের আর একটি কারণ । লব্ধপ্রতিষ্ঠ লেখকদের রচনাতেও এই ধরণের বিপর্যন্ত শব্দের প্রয়োগ দেখা যায়। স্বাধীনচেতা মধুসূদন কেবল শ্রুতিমধুর হবে বলে বরূপানী না লিখে বারণী লিখেছিলেন। मान भरन श्रां★क नेि-ध्द्र झ्नि कुणप्त कि नl । िि%ङ কোন বন্ধুকে লিখেছিলেন যে এ-রকম প্রয়োগ কেন প্রবাসী $N98R করেছেন। বাঙ্কণী শব্দটার সঙ্গে পূৰ্ব্বপরিচয়ই এখানে স্পর্শদোষ সংঘটন করেছে, এই রকম অনুমান হয়। শরৎচন্দ্র ‘লইয়াছি’র স্থানে ‘নিয়াছি’ লেখেন, "দিয়াছি’র প্রভাবে সম্ভবত। এটাকে analogyর উদাহরণ বলা চলতে পারে। ভাষার নিয়মানুমোদিত না হ’লেও নিয়াfছ-টা চলে গেছে । কিন্তু নবগান ‘গেতে শুনলেই কানে তুলে দিতে ইচ্ছে করে । একাৰ্থবোধক শবদ ও প্রত্যয়াদির যোগে প্রায়ষ্ট পুনরুক্তির স্বষ্টি হয়, কারণ উক্ত ধা-তাও অনেক সময় অনুক্ত ব’লেই প্রতিভূতি হয় । ‘অদ্যাপিও’ ( অদ্য+ অপি +ও )র ‘আপি’ এবং ‘ও’ এই দুইটি অব্যয়ই একৰ্থিবাচক, কিন্তু "অদ্যাপিণ্ড ব্যবহার করেন র্যারা, তাদের মন ‘অদ্যাপি’র অর্থ ‘অদ্য'র চেয়ে কিছু বেশী বলে গ্রহণ করে না। ধরে দিলে ব’লবেন—ও তাই ত । ‘আয়ত্তাধীন’ “কিয়ুৎপরিমাণ’ "কেবল মাত্র প্রভৃতি শব্দও এই শ্রেণীতে পড়ে। উদ্বেলিত’, ‘অধীনস্থ’, ‘সশঙ্কিত’, ‘নিঃশেষিত’ প্রভূতি শব্দকেও এই শ্রেণীরই অন্তর্গত করা যায় । উপরের শব্দগুলিতে যে প্রত্যয়গুলি যোগ করা হয়েছে সেগুলি সম্পূর্ণ ‘অনাবশ্যকীয়’। ‘অধীনস্থ' শব্দটি fallen vacant under your kind disposal ozo offiz; দেয়। এরকম ভুল বাঙালীর মুখে ও হাতে প্রায়ই বেরোয়। আমরা যখন যার "underএ’ কাজ করি তখন তার । আবার তার কাছ থেকে চ’লে গেলে তারই "againstএ’ জটলা পাকাই । ইংরেজী prepositionএর গায়ে বাংলা post-positionএর হরিহর রূপ। ব্যাকরণের ধৰ্ম্মাধিকরণে এই অপরাধ দণ্ডবিধির আমলে আসতে পারে । কিন্তু সৌজপ্ততা-বোধে এ-সবও উপেক্ষা করা হয়ে থাকে। দেখা যায় ‘নিরপরাধী ও নিৰ্ব্বিরোধী লোকই বেশীর ভাগ ধরা পড়ে। ‘অংশীদার’ ‘ভাগীদার’ রীতি সাবধানী’ লোককেও সদাসৰ্ব্বদা ফাকি দেয়। অত্যন্ত গুরুতর কথার সময়ও আমরা গাম্ভীৰ্য্য রক্ষণ করতে পারি না । শ্রেষ্ঠকেই যখন মৰ্য্যাদা দিই তখন “শ্রেষ্ঠতম’কে অবজ্ঞা কবি কেমন ক’রে ? ইংরেজীতেও innermost প্রভৃতি শব্দ श्रै७िङ्गः क्षाश्च । বিদেশী শব্দ বাংলায় এসে ধর্থন জাত হারায় তখন