পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Hළු মালীকে ডাকিয়া ভাল ভাল আমরুত পাড়িয়া আনিতে বলিলেন। আমাদের আশ্রমের প্রতি অনুরাগ আরও একটু বেশী বাড়িয়া গেল। সকলে মনের আনন্দে ইচ্ছানুরূপ পেয়ারা খাইতে লাগিলাম । হনুমানদাস বাবাজী হাসিতে লাগিলেন । আমরা তাহার সনত্বে রক্ষিত ছবিগুলি যখন দেখিতে আরম্ভ করিলাম তখন সকলেরই মুখ গম্ভীর হইয়া গেল। . ভারতীয় চিত্রশিল্পের অপুৰ্ব্ব নিদর্শন এই চিত্রগুলি । পৌরাণিক কাল্পনিক ও ঐতিহাসিক এই চিত্রগুলি দেখিয়া আমরা সকলেই মুগ্ধ হইলাম । মাতা যশোদার কোলে শিশু কৃষ্ণের যে হুন্দর ছবিধান দেখিলাম তাহার সহিত তুলনা হইতে পারে এমন চিত্র বর্তমান যুগের দক্ষ শিল্পীদের হাতেও ফুটিয়া উঠে নাই । একে একে আমরা পয়ত্রিশখানি ছবি দেখিলাম। আমরা ইহা ছাপাইবার জন্ত চাহিলাম, কিন্তু ঐ এক কথা—কখনও দিব না । করিয়া বাবা নানক ও মর্দানার’ একখানা ছবির প্রতিলিপি লইয়াছিলাম। হনুমানদীস বলিলেন যে, আমার অনেকগুলি আমি অনেক মিনতি । "প্রবাসনা ; SNS念ミ ছবি চুরি গিয়াছে। ক্ষিতীশ বাবু বলিলেন—বড়ই আপশোষের কথা, কি ভাবে চুরি গেল, বলুন ত? বাবাজী এ-কথায় আর কোনও উত্তর দিলেন না । আমরা অনেক সাঁধ্যসাধনা করিয়াও ছবিগুলির পরিচয় কিংবা প্রতিলিপি গ্রহণ করিবার অনুমতি পাইলাম না । শিল্পী ক্রমান সুধীনের করুণ মিনতিতেও কোন ফল হইল না । আশ্রমের বিপরীত দিকের আমবাগানে বসিয়া আমরা জলযোগ করিলাম এবং যিনি এইরূপ স্ববন্দোবস্ত করিয়াছিলেন র্তাহীকে মন মনে অসংখ্য ধন্তবীদ দিলাম । এলাহাবাদ ফিরিতে সন্ধা! হইয়া গিয়াছিল । নলিনী বাবু মধ্যে মধ্যে র্তাহার পেট্রোলের বিলের কথা তুলিতেছিলেন, সে ভয় আমাদের ছিল না, বোধ হয় ক্ষিতীশ বাবুকে লক্ষ্য করিয়াই বলিতেছিলেন–জানি না এতদিনে বিলটি তাহার কাছে আদিয়া পৌছিয়াছে কি না x - * এই প্রবন্ধের ছবিগুলির জন্ত আমরা এলাহাবাদ যাদুঘরের অধ্যক্ষ মিঃ ভিয়াস, শ্ৰীমান সুধীন সাহ এবং যুক্ত নলিনী বাবুর নিকট ঋণস্বীকার করিতেছি । প্রবাসী বাঙালীর বর্তমান সমস্যা ও তাহার সমাধান সম্বন্ধে দুই-একটি কথা ঐশরৎ চন্দ্র রায়, রাচি y প্রবাসী বাঙালীর বর্তমান অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্ত সম্বন্ধে সাধারণ ভাবে আলোচনা করা, এবং লুভন্ধ এই সমস্তার সমাধানে কিরূপ সাহায্য প্রদান করিতে পারে সেই সম্বন্ধে দুই-একটি কথার অবতারণা করা এই প্রবন্ধের উদ্দেশু । অনেক দিনের কথা নহে—পচিশ বৎসর পূৰ্ব্বেও ভারতের সর্বত্র প্রবাসী বাঙালী সমাদৃত হইতেন, এমন কি কোনও কোনও স্থলে চরিত্র-প্রভাবে পূজিত হইতেন বলিলেও অভু্যক্তি হয় না। কিন্তু অধুনা সাধারণ প্রবাসী বঙালীর আর সে মুদিন নাই। র্তাহীদের অনেকেই আজ স্বদেশে অপরিচিত এবং প্রবাসে উপেক্ষিত ও অবজ্ঞাত । সাধারণের ধারণা এই যে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অস্তিপ্রাদেশিক ঈর্ষ্যাই আমাদের এই অবস্থাবিপৰ্য্যয়ের একমাত্র বা অন্ততঃ প্রধান কারণ । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে একথা আংশিকভাবে সত্য হইলেও সম্পূর্ণ সত্য নহে। ধীরভাবে আনুপুৰ্ব্বিক চিন্তা করিলে দেখা যায় যে, আমাদের স্বকৃত অপরাধ, ক্রটি ও অনবধানতাও এজন্ত আংশিকভাবে দায়ী । আমার দৃঢ়বিশ্বাস, যথাযথ চেষ্টা করিলে বঙ্গজননীর