পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

68b,” ও পূজাপ্রণালী প্রভৃতির তথ্যানুসন্ধান এবং তাহদের বিভিন্ন গ্রাম বুলি (patois ), পল্লী-সঙ্গীত, লোকনৃত্যের পদ্ধতি, জনশ্রুতি বা কিম্বদন্তী, ব্ৰতকথা, উপকথা প্রভূতি সংগ্ৰহ করিতে পারিলে বাংলা-সাহিত্যের পরিপুষ্টি হইতে পারে। ञांनtनद्र बिषम्न, डीशूङ रुब्रिनांथ cघांव भश*ग्न भांनाङ्भ জেলায় এইরূপ তথ্য সংগ্রহের সম্মানিত পথ-প্রদর্শক হইয়াছেন। তিনি ভূমিজ-বীর লালসিংহের জীবন-চরিত প্রণয়ন করিয়া তথাকথিত চুহাড় ভূমিজ জাতির উপর আমাদের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিয়াছেন । তিনি দেখাইয়াছেন যে চরিত্রবল, সহসে, সমর-কুশলতায়, কৰ্ত্তব্য-নিষ্ঠায় ও বুদ্ধিমত্তায় ভূমিজ-সৰ্পর লালসিংহ সভ্যতর জাতির অনেক প্রখ্যাতনামা বীরপুরুষের সমকক্ষ ছিলেন এবং লালসিংহের বুদ্ধিমতী, কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠাপরায়ণা বীর জননীও অনেক খ্যাতনামী আর্য্যনারীর পাশ্বে স্থান পাইষার যোগ্য। ছিলেন । বস্তুতঃ সভ্য জাতিদের মধ্যে যেমন সময়ে সময়ে প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তি আবিভূত হইয়া নুতন আদর্শ ও ভাব-সম্পদ দ্বারা আপন আপন জাতি বা সমাজকে বেগে ঠেলিয়া উন্নতির পথে অনেকটা অগ্রসর করাইয়া দেন, অসভ্য বা অৰ্দ্ধ-সভ্য জাতি বা সমাজেও কখনও কখনও সেইরূপ ক্ষণজন্ম পুরুষ জন্মগ্রহণ করেন এবং সমাজ বা ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে স্বজাতিকে উন্নতির পথে ধাক্কা দিয়া থানিকটা ঠেলিয়া দেন । র্তাহীদের সম্বন্ধে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করিতে পারিলে কেবল ষে দেশের লুপ্ত ইতিহাসের আংশিক উদ্ধার হয় তাহ নয় ; আদিম নিবাসীদের প্রতি অবজ্ঞার পরিবর্তে শ্রদ্ধা ও প্রীতি উদ্রিব্রু হয় এবং বিভিন্ন জাতির পরস্পরের মধ্যে সম্ভাব বৃদ্ধি হইয়া দেশের ও জাতির মঙ্গল সাধিত হইতে *ोंtद्र ! প্রবাসী N98R পরিশেষে, এই সম্পর্কে সাহিত্যচর্চার অীর একটি প্রণালীর সম্বন্ধে দুই-এক কথা বলিব । উপন্যাস কিংবা কথা-সাহিত্য রচনায় র্যাহীদের রুচি বা বেীক আছে তাহারা এই সব আদিম জাতির মধ্যে উপন্যাস ও কথা-সাহিত্য প্রণয়নের অভিনব উপাদান পাইতে পারেন। স্নেহমমই, প্রেমভক্তি, বাৎসল্য, শৌর্য্য-বীৰ্যা, সৎসাহস, ধৰ্ম্মামুরাগ, সৌন্দর্য্যপূহ ও রস-রূপের বোধ প্রভূতি যে-সমস্ত বৃত্তি প্রকৃত মনুষ্যত্বের পরিচায়ক সেগুলি ভূমিজ সাওতাল, খাড়িয়া, মুওা প্রভৃতি জাতিদের মধ্যেও অল্পবিস্তর প্রস্ফুটিত হইয়াছে । সুতরাং সাহিত্য-স্থষ্টির মুল উপকরণ এই সমস্ত জাতির কৃত্রিমতাহীন সরল জীবনেও পাওয়া যাইতে পারে। তবে সে উপকরণ যথাযথ সংগ্ৰহ করিবার জন্ত তাহদের জীবন-ধারার সহিত সম্যক পরিচয়ের দ্বারা তাহদের প্রতি আস্তরিক প্রাণম্পর্শী সহানুভূতি অর্জন করিতে হইবে,—কবির সহিত “গুচি করি মন” আর্য্য অনাৰ্য্য, হিন্দু মুসলমান খ্ৰীষ্টান, সবাকার হাত ধরিতে হইবে,-বিভেদ ভুলিয়া “একটি বিরাট হিয়া” জাগাইয়া তুলিতে হইবে,— সকলকে সাদরে একই মাতৃযজ্ঞে আহবান করিতে হইবে,— ডাকিতে হইবে— “এসে হে পতিত, হোক্ অপনীত সব অপমানভায় । মীর অভিষেকে এসে এসো ত্বর, মঙ্গলঘট হয় নি যে ভর, সবার পরশ পবিত্র-করা তীর্থ-লীয়ে । আজি ভারতের মহা-মানবের সাগর-তীরে ।***

  • বিগত ১৮ই মে তারিখে পুরুলিয়ার হরিপদ-সাহিত্য-মন্দিরের বাৎসরিক অধিবেশনে সভাপতির অভিভাষণের দ্বিতীয় অংশ ।