পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Goo প্রবণসী ১৩৪২ BB BBS BB BBBBBS BBB BBBB BBBS BBBB B BDDDBB BB BBB BBBBS BBB DB DB BBB BBB BBDD BBB BB BBB BBBBB BB BB BB BBB BBB BBBB BBBS BB BBBBS DBS BDB DBB DDS B BBB লক্ষ্য করিবার বিষয় কটিদেশের উপর তিন-লহরীবিশিষ্ট একটি অপরূপ মেখলা –বড় বড় প্রবালের মাঝে ছোট মুক্ত গাথা । পায়ের গুলফদেশ ঘিরিয়া সোনার নুপুর। কপোলে অগুরু, বক্ষে চন্দন এবং পদতলে অলক্তের লেথা । কিশোরীর নৃত্যভঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গে মুক্তাহার ও তৎসংলগ্ন রেশমের ফিতাটি যুদ্ধ মুছ কম্পিত হইতে থাকে ; রমণীয় চন্দ্রহারটি ধীরে ধীরে আছড়াইয় পড়ে । এক-একবার কিংশুকদলের মত তাহার সুকোমল চরণ ছুটি উৰ্দ্ধে উখিত হয়। যুবরাজের উজ্জ্বল আয়ত চক্ষুণ্ডুটি অনিমেষ ভাবে সে-দৃশ্য নিরীক্ষণ করে। বিজয়-মালিকা সাজিয়াছিল এক আর্য্যরাজমহিী ; মীনা হইয়াছিল নাগরাজকন্ত । বিজয়-মালিকা সঙ্গীতে সকলের মনোহরণ করিয়াছিল ; মীনার নাগমৃত্য যুবরাজের হৃদয়ের অন্তস্তলে এক অনুভূতপূৰ্ব্ব পুলকের শিহরণ বহাইয়াছিল । তাহার ক্ষীণ কোমল দেহখানি এক-একবার সপভঙ্গীতে বাকিয়া পড়ে, এক-একবার সপের মত সঙ্গীতের প্রতাবে স্তিমিত হইয়া থাকে ; আবার সপের মাথা-তোলার ভঙ্গী করিয়া এক-একবার উন্নত উচ্ছসিত হইয়া উঠে । কি অপরূপ, কি মনোমুগ্ধকর সে সপমৃত্য । হয়ত বিজয়-মালিকা বাস্তবিকই সে- অভিনয়ের চন্দ্ৰ ; কিন্তু মীনা তাঁহারই পাশে অতি উজ্জ্বল, অপরিসীম মাধুর্যভরা, একটি তারা । ( २ ) অভিনয়শেষে, গ্রন্ট যুীবিতানের নীচে প্রস্তরাসনের উপর প্রসেন সমাসীন, তাছার পায়ের কাছে বঙ্কিম ভঙ্গীতে মীনা বসিয়া আছে। বাহিরে নিৰ্ম্মল জ্যোৎস্নাধারণ সমস্ত উদ্যান প্লাবিত করিয়ী রাথিয়াছে । যুথিকার গন্ধের সস্থিত কিশোরীর অঙ্গরাগ ও দেহসৌরভ মিলিয়া প্রসেনের প্রাণ এক অপূৰ্ব্ব মাধুর্য্যে ভরিয়া দিতেছে। সে মুগ্ধভাবে মীনার লম্বা লম্বা, চাপার কলির मउ श्रां७णसणि निछ झूहे शंप्ङब्र भूर्टांब्र भcषा Gश्ण জ্যোৎস্নার একটা ঝলক, সুমধুর সঙ্গীতের একটা মূর্ছনা, সুকোমল পুপ-কোরকের একটু সৌরভ । যেন সুদূরের একটা মনোরম আশা, কিশোর-প্রাণের একটা রঙীন কম্পন, নব-বসন্তে তরুণী ধরিত্রীর একটা ত্রীড়াকুষ্ঠিত আনন্দে;চ্ছসি তাহার মধ্যে মুৰ্ত্তি গ্রহণ করিয়াছে । মীনার স্নিগ্ধ দুইটি চক্ষু অসীম কৃতাৰ্থতার সহিত যুবরাজের প্রতি চাহিয়া আছে । যুঞ্জ বাতাসে তাহার কানের পুষ্পকুণ্ডল গুটি কঁাপিতেছে । প্রসেন বলিলেন, “মীনা, তুমি বড় সুন্দরী । আমি জীবনে তোমীর দেহের মত এমন হুকুমার একটি দেহ দেখি নি ।” লজ্জায়, গৌরবে মীনার শির নত হইল । সহসী, কি জানি কেন, ত{হীর পশম-পেলব পক্ষরজি অশ্রুসিক্ত হইয়া পড়িল । প্রসেন তাহার বেপথুমান দেহঘষ্টিখানি নিজের আরও কাছে টানিল । তার পর সহসা ঈষৎ কম্পিত, অথচ দৃঢ়কণ্ঠে বলিলেন, “মীনা, তোমাকে আমার যুবরণী করব। আমার রাজ্যের তুমি রাণী হবে।” মীনার সুবিস্তস্ত কেশদম প্রসেনের পায়ের উপর লুটাইয়া পড়িল । তীব্র উচ্ছ্বাসে তাহার বক্ষ স্পন্দিত হইতে লাগিল। ভয়াৰ কবুতর যেমনভাবে নীড়ের আশ্রয় লয়, তেমনই করিয়া মীন প্রসেনের আশ্রয় খুজিতে লাগিল । কিছুক্ষণ পরে মীনা মাথা তুলিয়া বলিল, “যুবরাজ, আমার সঙ্গে কেন উপহাস করছেন ?” যুবরাজ গম্ভীর ভাবে বলিলেন, "উপহাস কি রকম f” মীনা বলিল, “মন্দ্র-ছুহিতা সুভদ্রা আপনার যুবরাণী এবং এ-রাজ্যের ভাবী রাণী । অযথা কেন এ অনভিজ্ঞ বালিকাকে ছলনা করছেন, যুবরাজ "ি যুবরাজ দৃঢ়কণ্ঠে বলিলেন, “সে বিবাহ হবে না।” মীনা ধীরে ধীরে বলিল, “সাত দিন পরে মদ্র-কুহিত। মহাসমারোহে এসে পৌছবেন, তখন আমাদের নাট্যাভিনয় ङ्यः ।"