পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ ভিতরের ছাদ শ্বেতবর্ণের, তাঁহাতে নানাবিধ মনোরম রেখাচিত্র। বারানার পর চতুষ্কেণ একটি ঘর, তাহার দরজা অৰ্দ্ধবৃত্তাকার। উপরের বৃত্তাদ্ধ ঘুরাইরা পাথরে এক ছড়া পুষ্পহার কাটা হইয়াছে। দরজার কাঠের মধ্যে দুইটি भषूद्र-भबूबैौ, ठांशप्नब्र विब्रिब्र शर्डौब्र बन । नौकब्र घरब्रब्र পাশ দিয়া উপরে সিঁড়ি উঠিয়াছে, তাহীর ধাপগুলি শুভ্ৰ । মীনার গৃহখানি যেন মীনারই প্রতীক । যুবরাজের ভূত্য সিঁড়ি বাহিয়া উপরের বীরাঙ্গায় গিয়া যুদ্ধ আহবান করিল। ভিতর হইতে এক বৃদ্ধ আসিয়া দরজা খুলিয়া দাড়াইল। ভূত্যের প্রশ্নের উত্তরে বৃদ্ধ৷ কি বলিল, যুবরাজ শুনিল না, কিন্তু সে বৃদ্ধার ডান হাতের নিষেধ-মুদ্রাটি লক্ষ্য করিল। হাতের তালুটি চিৎ করিয়া কনিষ্ঠ মণিবন্ধের দিকে আনিয়া, মধ্যম ও অনামিক একত্র বাকাইয়া, তর্জনী ও অঙ্গুষ্ঠকে কঠিনভাবে সোজা করিয়া ধরিয়া জানাইল, “নাই।” ঐ অঙ্গুলি-সঞ্চালনে একটা অবর্ণনীয় রিক্ততা ব্যক্ত করিল। ভূতা আসিয়া বলিল, মীনা গৃহে নাই। কিছুক্ষণ পূৰ্ব্বে রাজদূত আসিয়া তাহাকে প্রাসাদে ডাকিয়া লইয়া গিয়াছে। যুবরাজ অসীম বিস্ময়ে ক্ষণকাল ভূত্যের মুখের দিকে চাহিয়৷ রহিল । রাজার আজ এ-সময়ে তাহীকে আহবান করিবার তো কোনও কারণ নাই । যুবরাজ পুনরায় ভূত্যকে জিজ্ঞাসা করিতে পাঠাইলেন, রাজপ্রাসাদ হইতে রথ আসিয়াছিল কি না । ভূত্য উত্তর অনিল, “ন।" । যুবরাজের রথ শশব্যন্তে প্রাসাদের দিকে ধাবিত হইল। (8) রাজার গুপ্তচর যদি বায়ুর মত সৰ্ব্বত্র সঞ্চরণ না করিল, তবে আর সে রাজা কেমন ? ধৰ্ম্মরাজের গুপ্তচরগণও যদি সৰ্ব্বত্র না যাইত তৰে তিনি প্রবল-প্রতাপান্বিত নৃপতি হইতে পারিতেন না । যখন মীনা রঙ্গমঞ্চ ছাড়িয়া যুবরাজের সঙ্গে উত্তানে গিয়াছে, তখন এক জন চর ও দুই জন চরী তাহাজের অনুসরণ করিয়াছে । কিন্তু তাৎীর কোন ষড়যন্ত্র সন্দেহ করে নাই। তাহাজের কর্তব্য ছিল মীনা কিপরিমাণ পারিতোষিক পায় তাহাই রাজাকে জানানে । عدد ح---لا গুহাচিত্র ((ల --- गौनां वथन बूवब्रांcखब्र निक्कै विवांद्र णहेब्र cनांख शृंtश् नां शिबा छनभूछ नामtश्द्र मिश्क फणिन, उथन मूtउद्र भन्न সন্দেহের উদ্রেক হইল। সে অন্তরালে থাকিয়া রোহিতাশ্বের ছদ্মবেশ ধারণ দেখিল । মীন যখন তাঁহাকে তাহার বার্তার কথা স্মরণ করাইয়া দিল, এবং সে-বার্তা নিজে আগাগোড়া আবৃত্তি করিল, তখন দূতের কিছুই বুঝিতে বাকী ब्रहिल नां । রোহিতাশ্ব নগর-স্থার অতিক্রম করিবার পূর্বেই ধরা পড়িল । তখন দেখিল নিজের প্রাণরক্ষার একমাত্র উপায় রাজার কাছে গিয়া সব খুলিয়া বলা । মধ্যরাত্র অতিবাহিত হইবার পূর্বেই রোহিতাশ্ব রাজদূতের সঙ্গে রাজসকাশে গেল । প্রভাতে বন্দীর সঙ্গীত রাজার নিদ্রাভঙ্গ করিল না, কেননা, তাহার বহু পূৰ্ব্বেই রাজা শয্যাত্যাগ করিয়াছিলেন এবং গুপ্তচরের নিকট আবার সমস্ত ব্যাপার আদ্যোপাস্ত শুনিতেছিলেন । চর রাজগৃহ ত্যাগ করিবার সময় লক্ষ্য করিল, রাজার চক্ষু অগ্নিবর্ণ, মুখে দারুণ ক্রোধের চিহ্ন । সে ভীতমনে ধীরে ধীরে নিজ গৃহাভিমুখে প্রস্থান করিল। যুবরাজ রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করির প্রাসাদের এক জন প্রহরীকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “মীনা ওপরে स्रष्टछ् ?* “হ্য।” “রাজসকাশে ?” “sı | r”

  • তার সঙ্গে কে আছে ?”
  • সঙ্গে কেউ নেই।”

“মহারাজ কি বিশ্রাম করছেন ?”

  • না, তিনি বিচারে বসেছেন ৷”

“কার বিচার ?” “মীনার !" সহসা যুধরাজের ঘনকৃষ্ণ চোখদুটি কাতর হইয়া পড়িল । তিনি সশঙ্ক পদক্ষেপে সিড়ি বহিয়া উপরে উঠতে লাগিলেন। প্রত্যেকটি পাদক্ষেপ যেন বলিতে লাগিল, “সে যুবরাজ নয়, সে এ-রাজ্যের ভাৰী রাজা নয়, সে অপরাধী, সে কুপার ভিখারী - -o