পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q68 ধীরে ধীরে সে পাদক্ষেপে রাজার গৃহতলের কাছাকাছি গিয়া থামিল । সিড়ি শেষ না হইতেই হঠাৎ সব নিম্পন্দ इहेब्र *फ़िल । मtन श्हेंण ५ङक्र१ cय श्रमदग्न मूवब्रांछ८क উপরে বহন করিয়া লইয়া গিয়াছিল, বুঝি তাহারা সহস৷ *ांशांt१ °द्रि-१ड झ्हें १ क्रिीब्रां८झ । ( t ) fতন মাস পরের কথা । এক গ্রীষ্মের মধ্যাহ্নে এক জন তরুণ বৌদ্ধভিক্ষু এক বিস্তৃত প্রাস্তরের উপর দিয়া ধীরপদে চলিতেছিল। তাহার সারা দেহ ঘৰ্ম্মত্তি, অতিশয় ক্লােস্ত । গাত্রীবরণের পীতবর্ণ পায়ের কাছে গৈরিক অভি ধারণ করিয়াছে । তাহার ডান হাতের নীচে ঘাড় হইতে একটি ভিক্ষাপাত্র ঝুলিতেছে, সে হাতে একটি দও । বা-হাতে ছোট একটি কমণ্ডলু, জলে ভরা। তাহার মুখ গভীর বিষাদের ছায়া । প্রাস্তরটি বৃক্ষহীন, তাই রৌদ্রের প্রতাপ এত বেশী। ভিক্ষু বহুক্ষণ পর্যন্ত কোনও মানুষের মুখ দেখে নাই। সে যে অতি সুদীর্ঘ পথ অতিক্রম করিয়া আসিয়াছে তাহ তাহার পোষাকের ও দেহের অবস্থা দ্বারা সহজেই অনুমান 4ब्लो सोच्न । ভিক্ষুর গন্তব্যস্থল পাঁচ ক্রোশ দূরবর্তী একটি পাহাড় । দীর্ঘ যাত্রার পর আজ প্রভাতে দূর আকাশ-কোলে সেপাহাড় দেখিতে পাইয়া ভিক্ষুর চিত্ত আশায় ভরিয়া উঠিয়াছে। তাই দ্বিপ্রহরের দারুণ রৌদ্রেও পথচলা বন্ধ হয় নাই। সে সঙ্কল্প করিয়াছে, আজি সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে সেখানে পোছিবেই। প্রথম মনুষ্য দর্শনেই তিক্ষু জিজ্ঞাসা করিল পাৰ্ব্বত্য বিহার কত দূর, এবং কোন পথে সেখানে যাইতে হয় । পথিক ভিক্ষুকে সম্বৰ্দ্ধনা করিয়া পথের সন্ধান দিল । যখন স্বৰ্য্য পশ্চিম আকাশে নামিরা পড়িয়াছে, তখন পরিব্রাজক দীর্ঘ পথের শেবে, অস্তগামী স্বৰ্য্যকে পশ্চাতে রাখিয়া এক শৈলচুড়ায় উপবেশন করিল। তাহার নীচেই তাহার বহু-ঈপ্সিত বিহারমালা পৰ্ব্বতগাত্রের ভিতর অৰ্দ্ধচন্ত্রাকারে অবস্থিতি করিতেছে। দুই পৰ্ব্বতের মধ্যস্থলে সুগভীর উপত্যক । নিয়ে নদী। বর্তমান সময়ে প্রবণসী S^こ8ー。 শুধু বালুক ও উপলরাশিতে পরিণত। স্থানটি জনপদের কোলাহলের বহু দূরে, নিবিড় শাস্তিতে পূর্ণ। ভিক্ষু সতৃষ্ণনয়নে বহুক্ষণ পৰ্য্যস্ত পৰ্ব্বতগাত্রে খোদিত গুছাশ্রেণী নিরীক্ষণ করিল, তার পর ধীরে ধীরে পর্বতচূড়া হইতে নামিয়া নদী উত্তীর্ণ হইয়া পরপারে গেল । সেখান হইতে প্রস্তরের সিড়ি বাহিয়া উপরে উঠিয়া দেখিল, সম্মুখে এক মনোরম চৈত্য, মধ্যে পদ্মাসনস্থ বিশাল বুদ্ধ-মুৰ্ত্তি । ভিক্ষু পাদুকা ত্যাগ করিয়া পাশের জলাধারে গিয়া কমণ্ডলুতে জল লইয়া হস্ত-মুখ প্রক্ষালন করিল। তার পর বুদ্ধ-মুৰ্ত্তির সন্মুখে বসিয়া আরাধনায় রত হইল। বুদ্ধদেহের সৌম্য ভাব, চক্ষুর গভীর নির্ভীক দৃষ্টি, হস্ত-পদের অসীম স্থৈৰ্য্য যুবকের ক্লান্ত ইদয়ে শক্তি সঞ্চার করিল। সে স্থিরদৃষ্টিতে বহুক্ষণ ধরিয়া সে মূৰ্ত্তি নিরীক্ষণ করিল, তার পর গুহর সন্মুখ ভাগে বসিয়া বিশ্রাম করিতে লাগিল । এক জন ভিক্ষু আসিয়া তাহকে পাশ্ববর্তী এক বিহারে লইয়া গেল এবং পানাহার প্রদান করিল। নবাগত ভিক্ষু অtহার করিতে করিতে দেখিল, যে, উহার দ্বারদেশে ও অভ্যস্তরে এমনভাবে কয়েকখানি দপণ রাখা হইয়াছে যে একের প্রতিচ্ছায়া অপরে পড়িয়া পশ্চিমাকাশ হইতে শুল স্বৰ্য্যালোক প্রাচীরগাত্রে প্রতিফলিত করিতেছে, এবং প্রাচীরের পাশে উচ্চ কাষ্ঠাসনে দাড়াইয়া এক জন ভিক্ষু বর্ণসহযোগে তুলিদ্বারা চিত্র করিতেছে। ভিক্ষু বিস্মিত হইয়া দেখিল, সে এক রাজপ্রাসীদের চিত্র, সেখানে রাজl, রাণী, পরিচারক, পরিচারিকা, সর্থী সভাসদ প্রভূতির অতি স্বাভাবিক সমাবেশ। জিজ্ঞাসা করিয়া জানিল অজণ্টা (তাই এ বিহারের নাম )—বিহারের অধিকাংশ ভিক্ষুই চিত্রবিদ্যায় পারদর্শী । সন্ধ্যায় সে বিহারবাণী ভিক্ষুদের সহিত চৈত্যে উপাসনা করিল। উপাসনার প্রত্যেকটি শব্দ প্রস্তররাশির মধ্যে অতি গভীর তাবে প্রতিধ্বনিত হইয়া ভিক্ষুর হৃদয় উদাত্তভাবে তরিয়া দিল । উপাসনার পর ভিক্ষু বিহারের অধ্যক্ষের সাক্ষাৎকারে গেল। অধ্যক্ষ স্থৰিয়, তাহাকে দেখিবামাত্র অবাক হইয়া চাছিলেন। বলিলেন, “ভিক্ষু, তুমি তো সাধারণ মানব নও, তোমার কপালে ধে রাজচক্রবর্তীর চিহ্ন।” তরুণ