পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NEBR পffরলে মিলনের পথ সহজ হয় । সমাজতত্ত্ব ও মৃতত্বের সাহায্যে দুই সমাজের সংস্কৃতির মুলগত সাদৃশু নির্দেশ করিয়া তাহার উপর একতার ভিত্তিগঠন আল্লাসসাধ্য বলিয়া মনে इम्ल I অবগু এইরূপ অনুশীলন বা গবেষণা করিবার সুযোগ বা অবসর সকলের ভাগ্যে ঘটিয়া উঠে না। আমাদের মধ্যে ইiহার এই সম্বন্ধে তত্ত্বানুসন্ধানে আগ্ৰহাম্বিত ও সমর্থ তাহারা ইহার অনুশীলন করিলে সমাজের প্রভূত কল্যাণ সাধন হইতে পারে। সাধারণতঃ প্রত্যেক সমাজের নেতৃবর্গের মধ্যে অন্ততঃ কতিপয় উদারচেতা ব্যক্তি অt:ছন । র্তাহীদেরই সম্মিলিত চেষ্টা ও প্রযত্নে উভয় সমাজ একত্বের অভিমুথে চালিত হইতে পারে। তঁহারা যদি সংসদে সম্মিলিত হইয়া সঙ্কীর্ণ জাতিগত স্বর্থ অপেক্ষণ সমষ্টিগত স্বার্থের দিকে লক্ষ্য রাখিয়া উভয় সমাজের পরস্পরের প্রতি কৰ্ত্তব্য নির্ণয় করিয়া দেন তাহা হইলে উভয়েরই মঙ্গল সাধিত হইবে। উভয় সমাজের এই কৰ্ত্তব্য নিৰ্দ্ধারণে সমাজতত্ত্ব ও নৃতত্ব সেবীদের সিদ্ধান্তগুলি নেতাদিগকে পথনির্দেশ করিতে পরিবে । স্থানীয় সমাজের ও সংস্কৃতিয় সহিত প্রবাসী বাঙালী সমাজের কোন কোন বিষয়ে ঐক্য ও কোন কোন বিষয়ে পার্থক্য আছে তাহ পর্যালোচনা করিয়া বৈশিষ্ট্যের যথাসম্ভব সামঞ্জস্ত করিয়া এবং ঐক্যে গুরুত্ব আরোপ করিয়া দুই সমাজের ভিত্তি দৃঢ় করিবার উপর স্থির করিতে হইবে। মৃতত্ত্ব ও জাতীয় ইতিহাস আলোচনার ফলে অস্তিপ্রাদেশিক ও অস্তির্জাতিক মিলনের পক্ষে আমাদের যে জাত্যভিমানরূপ অন্তরায়ের উল্লেখ করিয়াছি তাহার অপসারণ ও পরস্পরের প্রতি সম্ভাব ও শ্রদ্ধা বৃদ্ধি হইবার সম্ভাবনা । কারণ নৃতত্ব অনুশীলন করিলে দেখা যায় যে ভারতের বিভিন্ন জাতির মধ্যে জাতিগত এবং সংস্কৃতিগত ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ विछभांन व्यां८छ् । নৃতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতদের মতে ভারতে পারাবাহিকভাবে যে জাতিগুলি বসবাস করিয়াছে তাছাদের মধ্যে সর্বপ্রাচীন ছিল সম্ভবতঃ একটি মৃগয়াজীবী, কৃষ্ণবর্ণ, খৰ্ব্বকায়, অধুনাবিলুপ্ত নিগ্ৰিটো বা নিগ্রেপ্রায় জাতি। তৎপরে আগে কৃষিকাৰ্য্য ও গ্রাম্য সভ্যতার প্রবর্তক সঙ্ঘবদ্ধ মুণ্ডা, সাওতাল, উীল প্রভৃতি কোল জাতির পুর্বপুরুষেরা। ইহারা সম্ভবতঃ ককেশীয় জাতির একটি নিম্নতর শাখা । তদনন্তর ভূমধ্যসাগরের বেলাভূমিতে উদ্ভূত লম্বাটে মস্তকবিশিষ্ট ( dolichocephalic ) ভূমধ্যসাগরোপকূলস্থ ( Mediterranean ) জাতির দ্রাবিড়ী বা ‘অঙ্কুর’ শাখা এদেশে আগমন করে । ত'হারাই সম্ভবতঃ এদেশে প্রথমে ধাতুত্রব্য নিৰ্ম্মাণ ও ব্যবহার, কৃত্রিম জলসেচন দ্বাৰা কৃষিকার্ধ্যের উন্নতি সাধন এবং নাগরিক সভ্যতা প্রবর্তন করে। তাহাদের অনেক পরে আল্পস্ ও তৎসংলগ্ন পৰ্ব্বতমালার সন্নিদেশে উদ্ভূত আল্পাইন ( Alpine) জাতির একটি শাখা সম্ভবতঃ পর্মীর গিরিবযু হইয়া এখানে আগমন করে । ইহাদেরই মিশ্র বংশধর বর্তমান বাঙালী, গুজরাট, মহারাষ্ট্রীয়, কুর্গ ও আরও দুই-একটি অল্পধিক গোলাকৃতি মস্তকবিশিষ্ট (Brachycephalic) জাতি। লম্বাটে মস্তকযুক্ত আর্যজাতি ও অল্পাধিক গোল মস্তকযুক্ত ভোটচীন (Tibeto-Chinese) মোঙ্গোলীয় জাতি আল্পাইন জাতির অনেক পরে ভারতে আগমন করে । বাঙালীদের পূর্বপুরুষেরা যখন বঙ্গদেশে প্রবেশ করেন, তখন এই দেশ প্রধানতঃ কোল জাতিদের আবাসভূমি ছিল, আর এখানে দ্রাবিড়ভাষী ‘অন্তর’-বংশীয় কতক লোকেরও বসতি ছিল এইরূপ প্রমাণ পাওয়া যায়। নবাগত আলপাইন জাতির সহিত এই আদিম নিবাসী কোল ও দ্রাবিড়ীদের অল্পধিক সংমিশ্রণে যে জাতির উদ্ভব হয় তাহার উচ্চশ্রেণীগুলির মধ্যে কিঞ্চিৎ পরিমাণে ‘আর্য্য-শোণিতের সংমিশ্রণে বাঙালী জাতির উৎপত্তি, আধুনিক নৃতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতেরা অনেকেই এইরূপ অনুমান করেন। - যদিও রিসলির কল্পিত মোঙ্গোলীয় ও দ্রাবিড় জাতির Mefiestą Įrefstā ēsofsą (Mongolo-Dravidian origin of the Bengalis*) wv awfwv xfèrri qwa সিদ্ধাস্ত হইয়াছে, তথাপি বাংলা দেশের আসাম-সীমাস্তবাসী বাঙালীদের মধ্যে কোনও কোনও স্থলে মোঙ্গোলীয় শোণিতের অতি সামান্ত সংমিশ্রণের আভাস দৃষ্ট হয়। সুতরাং বলা বাইতে পারে যে শ্বেতাভ আলপাইন জাতির সহিত কৃষ্ণবর্ণ “কোলমুণ্ডা” ও ধূসর বা পাণ্ডুবৰ্ণ