পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(36 প্রৰণসী S\తి83 জানিস্তাম তাহা ঠিক কি না স্থির করিবার নিমিত্ত কবিকে মান্দ্রীজের কাগজখানির উক্ত সংবাদটি পাঠাইয়া দিয়াছিলাম এবং এ-বিষয়ে ঠিক তথ্য কি জানিতে চাহিয়াছিলাম । উত্তরে কবি লিখিয়াছেন – “জৰ্ম্মনিভে আমার বই বিক্রি হরু হয়েছিল প্রবল বেগে । ইতিমধ্যে যুদ্ধ বেধে গেল। অবশেষে যখন হিসাব মেটাবার সময় এল তখন মার্কের এমন অধঃপতন হোলো যে তাকে [ মুনফার প্রভূত সমষ্টিকে ] টাকায় পরিণত করতে গেলে এক আঁজলাও ভরে না । সমস্ত আয় জুৰ্ম্মনিকেই দান করে এলুম। তাঁর { মার্কের ] মূল্য যদি হ্রাস না হোতে তা হলে বিশ্বভারতীর জন্তে আজ আমাকে ভিক্ষের বুলি বয়ে বেড়াতে হোতে না । আজ আমার বই সেখানে কী পরিমাণে বিক্রি হয়, এবং তার গতি কোন পথে আমি কিছুই জানি নে । এই টুকু জানি আমার তহবিলে এসে পৌছয় না । সেজষ্ঠ দুঃখ করে ফল নেই, কেন না লাভের অঙ্ক বেশি হবার প্রত্যাশা করি নে,-বস্থত যুরোপের হাটে আমার বই বিক্রির মুনফা তর্কের অতীত, হিসাবের খাতাটা দর্শনশ্রবণের অগোচরে । আমার পক্ষে হিটলারের প্রয়োজনই হয় না । মনকে এই বলে সাস্বনা দিই যে একদা এমন দিন ছিল যখন কালিদাস প্রভৃতি কবি রসজ্ঞ মহলে তাদের কাব্যের প্রচার হলেই খুলি হতেন । আমার :থ এই যে বিক্রমাদিত্যের ঠিকানা পাওয়া যায় না। তথন এক জন কোনো অসাধারণের উপর ভার ছিল সৰ্ব্বসাধারণের হয়ে কবিকে পুরস্কৃত করা । পাই কোথায় তেমন রাজা । এমন যদি হোতে সাধারণের মধ্যেই শক্তি ও ভক্তি অনুসারে র্যার যখন খুলি পরিতোষ প্রকাশের জন্ত কবিকে পারিতোষিক পাঠাতেন তা হলে কপিরাইট আগলানোর মত বণিগৰ্ব্বত্তি সরস্বতীর মন্দিরে অগুচিত বিস্তার করত না । রুচিও আছে রৌপ্যও আছে জনসমাজে এমন সমাবেশ স্থলভ নয় অথচ তারা দুটাক পাচশিকার পরিমাণেই তাদের দক্ষিণ্য প্রকাশ করেন—তার ফলে ধীদের রুচি আছে অথচ সামর্থ্য নেই দণ্ডটা তাদেরই নিষ্ঠুর ভাবে ভোগ করতে হয় । বাণীকে সোনার দরে বিক্রির বৈশ্যরীতি বৰ্ব্বরতা একথা মানতেই হবে ।” আমরা গত মহাযুদ্ধ শেষ হইবার অনেক পরে যখন ১৯২৬ সালে জামেনী গিয়াছিলাম তখনও সেখানে ཐཱ་ག་སོགས། ། নাথের বহির খুব বিক্ৰী দেখিয়াছিলাম। কয়েক জায়গায় এক হোটেলে তঁtহার সঙ্গে ছিলাম ; দেখিতাম, সকল বিকাল তাহার টেবিলে তাহার বহিগুলির জামান অনুবাদ হোটেলের চাকরচাকরাণীরা পৰ্য্যস্ত কিনিয়া শু,পাকারে রাখিয়া গিয়াছে, সেগুলিতে র্তাহার নাম স্বাক্ষরের অনুগ্রহের জন্ত । তাহ দেখিয়া পরিহাস করিয়া বলিয়াছিলাম, “আপনি এক-একটা দস্তখতের কিছু একটা মুল্য ধাৰ্য্য করলে কিছু অর্থাগম হ’ত,” কিন্তু তিনি এই বণিগ বৃত্তির ইঙ্গিত গ্রহণ করেন নfই । বঙ্গে নারীর উপর অত্যাচার গত মাসে আলবার্ট হলে ত্রযুক্ত সরলা দেবী চৌধুরানীর সভানেত্রীত্বে বঙ্গে নারীহরণের প্রতিকারার্থ একটি সভার অধিবেশন কইয়া গিয়াছে । এবিষয়ে অনেকে অনেক কথ: বলিয়াছেন লিখিয়াছেন, আমরাও বলিয়াছি লিথিয়াছি, পুনঃ পুনঃ বলিতে লিখিতে হইবে, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে কাজও করিতে হইবে । নারীরা আপনাদিগকে রক্ষা করুন, পুঙ্কযেরাও র্তাহাদিগকে রক্ষা করুন। নারীরক্ষা ব্যতিরেকে সমাজস্থিতি অসম্ভব । বাঙালী অনেক বিষয়ে অধম তাহাতে সন্দেহ নাই । বঙ্গে নারীর উপর অত্যাচারের জন্ত বাঙালী পুরুষ ও নারীর যে পরিমাণে দায়ী তাহ অবশ্য স্বীকাৰ্য্য । তাহীদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত তাহাদিগকে করিতে হইবে, তাহাও ঃসন্দেহ । কিন্তু আজরা ভারতবর্ষের অন্তান্ত জাতিদের সহিত তুলনায় যতটা অধম, তার চেয়ে বেশী হীনতা স্বীকার করাও ঠিক নয়। কোন কোন সভায় ও খবরের কাগজে অনেক বার বলা হইয়াছে, পঞ্জাবে ও অন্ত কোন কোন প্রদেশে বঙ্গের মত নারীহরণ হয় না । তাহা ঠিক নয় । ইহা আমরা কয়েক বার পুলিস রিপোট হইতে দেখাইয়াছি । যথা—১৯৩৪ সালের জানুয়ারী মাসের মডার্ণ রিভিযুতে ১০৬ পৃষ্ঠায় আমরা লিখিয়াছিলাম — “...in Bengal, in 1932, there were altogether 693 cases of crimes against women. The numbers of snch